ভাজপা শিবিরের বক্তব্য অনুযায়ী, এই পাঁচ নেতা – নেত্রীর মধ্যে একজনকে দলের ব্যাটন দেবে কেন্দ্রিয় নেতৃত্ব।
শেষ কথা বলার মালিক বিজেপির সর্ব ভারতীয় নেতৃত্ব। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বিশ্বস্ত হাত যার উপর থাকবে,তিনিই হবেন প্রদেশ বিজেপির নতুন সভাপতি। এবং তাকে সামনে রেখেই ২৮- র বিধানসভা নির্বাচনের রন কৌশল সাজাবে ভারতীয় জনতা পার্টি।
ডেস্ক রিপোর্টার,২১নভেম্বর।। নতুন বছরেই নতুন রাজ্য সভাপতি পেতে চলছে ভারতীয় জনতা পার্টি। তার জন্য ভাজপা শিবিরে চলছে প্রস্তুতি। তার আগে অবশ্যই নির্বাচিত হবে বিজেপির সর্ব ভারতীর সভাপতি। তারপরই প্রদেশ সভাপতি নির্বাচন নিয়ে মেতে উঠবে ভাজপা শিবির। কে হবেন বিজেপির পরবর্তী সভাপতি? নাম উঠে এসেছে বেশ কয়েকজন নেতা – নেত্রীর।তারা কারা?
ভাজপা শিবিরের বক্তব্য অনুযায়ী, এই পাঁচ নেতা – নেত্রীর মধ্যে একজনকে দলের ব্যাটন দেবে কেন্দ্রিয় নেতৃত্ব। তারা প্রত্যেকেই নিজেদের মতো করে সাংগঠনিক কাজ করছেন।সঙ্গে জন সংযোগ। প্রদেশ বিজেপির এক নম্বর গ্রুপ অবশ্যই সুবল ভৌমিক ব্যতীত অন্য কাউকেই চাইছে না। তথ্য বলছে, এই শিবির সুবল ভৌমিককে সভাপতির চেয়ারে চাইছেন। কিন্তু সুবল ভৌমিক কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পছন্দের তালিকায় নেই।কারণ সুবল ভৌমিকের বিভিন্ন সময়ে দল বদলের ঘটনা তাঁকে শত যোজন পিছিয়ে দিয়েছে।
।।বিজ্ঞাপন।।
বর্তমানে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিকের কাছে বিজেপির পরবর্তী সভাপতির চেয়ার খুব গুরুত্ব পূর্ন। কারণ এই মুহূর্তে তিনি সাংগঠনিক ভাবে দলের কোনো গুরুত্ব পূর্ণ পদে নেই।সভাপতির চেয়ার এখন তার লক্ষ্য। সভাপতির চেয়ারে না বসতে পারলে আগামী দিনে প্রতিমার রাজনৈতিক ভবিষ্যত কি হবে? এটা বলা মুস্কিল।বলছেন রাজনীতিকরা। তাই বিজেপির দীর্ঘদিনের লড়াকু নেত্রী প্রতিমা ভৌমিকের পাখির চোখ কৃষ্ণ নগর গেরুয়া বাড়ির প্রধান চেয়ার।
ভগবান দাস বিজেপির দুই নম্বর গ্রুপের বিশ্বস্ত সৈনিক।
রাজ্য বিজেপির পরবর্তী সভাপতির দৌঁড়ে আছেন বিধায়ক ভগবান দাস। এই মুহূর্তে দলের সদস্যতা পদ অভিযানের চেয়ারম্যান। এবং সাংগঠনিক ভাবে দলের সাধারণ সম্পাদক। বিজেপির অন্দরে খবর, ভগবান দাস বিজেপির দুই নম্বর গ্রুপের বিশ্বস্ত সৈনিক। এটা সবার জানেন। দুই নম্বর গ্রুপের প্রধান নিজেও চাইছেন রাজ্য রাজনীতিতে তার আরো গুরুত্ব বাড়াতে। এই ক্ষেত্রে তিনিও চাইবে তাঁর শিবিরের নেতা ভগবান দাসকে সভাপতির আসনে বসাতে।
রাজীব জামানায় মূলত সংগঠনের গুরু দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নিয়ে কাজ করছেন অমিত রক্ষিত।
ভারতীয় জনতা পার্টির তথ্য অনুযায়ী, এই মুহূর্তে কোনো শিবিরে নেই সভাপতি দৌড়ে থাকা বিজেপি নেতা অমিত রক্ষিত।তিনিও দলের সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক। বিজেপির কর্মীদের কথায়, রাজীব জামানায় মূলত সংগঠনের গুরু দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নিয়ে কাজ করছেন তিনি। অভিজ্ঞতার বহর বেশ লম্বা। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, অমিত রক্ষিতের মধ্যে সভাপতি হওয়ার সব গুণাগুণ রয়েছে। প্রতিমা ভৌমিক, সুবল ভৌমিক,ভগবান দাসের মতো তিনিও বিজেপির সমস্ত স্তরের নেতাদের কাছে পরিচিত মুখ। এবং জনপ্রিয়। তাই প্রতিমা,সুবল ও ভগবানের সঙ্গে অমিত রক্ষিতের জম্পেশ লড়াই হতে পারে।
।।বিজ্ঞাপন।।
নিজ নির্বাচনী ক্ষেত্র নলছড়ে কিশোর বর্মন নিজের রাজনৈতিক ছাপ রাখার চেষ্টা করছেন।
সভাপতি চেয়ারের জন্য নাম উঠে আসছে বিধায়ক কিশোর বর্মনেরও। তিনিও দিল্লির নেতৃত্বের কাছে পরিচিত মুখ। রাজ্য স্তরে অবশ্যই ততটা পরিচিত নয়। তবে নিজ নির্বাচনী ক্ষেত্র নলছড়ে কিশোর বর্মন নিজের রাজনৈতিক ছাপ রাখার চেষ্টা করছেন। পরবর্তী সভাপতির সম্ভাব্য নাম নিয়ে জোর গুঞ্জন কৃষ্ণনগর গেরুয়া বাড়িতে।কর্মীদের মুখে মুখে এই সমস্ত নাম। কিন্তু শেষ কথা বলার মালিক বিজেপির সর্ব ভারতীয় নেতৃত্ব। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বিশ্বস্ত হাত যার উপর থাকবে,তিনিই হবেন প্রদেশ বিজেপির নতুন সভাপতি। এবং তাকে সামনে রেখেই ২৮- র বিধানসভা নির্বাচনের রন কৌশল সাজাবে ভারতীয় জনতা পার্টি। তাই রাজ্য সভাপতি নির্বাচন যথেষ্ট স্পর্শ কাতর বলে মনে করছেন রাজনৈতিক প্রাজ্ঞরা।