#Gandachhera #violence #Refugee #Camp #SDM #Janatar Mashal।
রাজ্যের বুকে মিজোরাম থেকে আগত রিয়াংরা টানা ১৯ বছর শরণার্থী শিবিরে ছিলো।তাদের খাওয়া – দাওয়া, ভরণ পোষণ সব দিয়েছিলো কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকার।
তারা ক্যাম্পে আছেন ছন্নছাড়া অবস্থায়। সঠিক ভাবে মিলছে না তাদের খাবার – দাবার। নেই কোনো চিতিৎসক। ক্যাম্পের মধ্যে এখনো বেশ কয়েকজন অসুস্থ। দেখা নেই চিকিৎসকের। খাবার পাচ্ছে না ক্যাম্পে আশ্রিত শিশুদের। লাটে উঠেছে শরণার্থী শিবিরে আশ্রিত স্কুল – কলেজের ছাত্রছাত্রীদের। তাদের কাছে পঠন-পাঠনের কোনো সুযোগ সুবিধা নেই।
ডেস্ক রিপোর্টার,১৯ সেপ্টেম্বর।।
” গণ্ডাছড়া দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ে অস্থায়ী শরণার্থী শিবিরে থাকা “বাঙালি শরণার্থী”দের আর সরকারী ভাবে খাওয়ার দেওয়া হবে না।”- বক্তা গণ্ডাছড়া মহকুমা শাসক চন্দ্র জয় রিয়াং। বুধবার শরণার্থী শিবিরের লোকজন সম্মিলিত ভাবে মহকুমা শাসকের কাছে ধর্না দিয়েছিলেন।এরপর একটি প্রতিনিধি দল মহকুমা শাসক চন্দ্র জয় রিয়াংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন।বৈঠক চলাকালে শরণার্থীদের প্রতিনিধি দলকে মহকুমা শাসক স্পষ্ট ভাবে একথা জানিয়ে দিয়েছেন। শুধু কি তাই খুব শীঘ্রই গণ্ডাছড়া দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়টি যেন শরণার্থীরা পরিষ্কার করে দেন।এবং নিজ নিজ বাড়িতে চলে যান তারও বিধান দিয়েছেন। মহকুমা শাসক চন্দ্র জয় রিয়াংযের সঙ্গে বৈঠক সেরে এসে এই সমস্ত তথ্য নিশ্চিত করেছেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। অথচ এই রাজ্যের বুকে মিজোরাম থেকে আগত রিয়াংরা টানা ১৯ বছর শরণার্থী শিবিরে ছিলো।তাদের খাওয়া – দাওয়া, ভরণ পোষণ সব দিয়েছিলো কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকার। কিন্তু গণ্ডাছড়ার বাঙালি শরণার্থীদের খাবার দাবার বন্ধ করে দিয়েছে এসডিএম চন্দ্র জয় রিয়াংয়ের নেতৃত্বাধীন গণ্ডাছড়া মহকুমা প্রশাসন।
গোটা শরণার্থী শিবিরে জাগিয়ে বসেছে এক অরাজকতা।
গণ্ডাছড়ার শরণার্থীদের বক্তব্য, তারা ক্যাম্পে আছেন ছন্নছাড়া অবস্থায়। সঠিক ভাবে মিলছে না তাদের খাবার – দাবার। নেই কোনো চিতিৎসক। ক্যাম্পের মধ্যে এখনো বেশ কয়েকজন অসুস্থ। দেখা নেই চিকিৎসকের। খাবার পাচ্ছে না ক্যাম্পে আশ্রিত শিশুদের। লাটে উঠেছে শরণার্থী শিবিরে আশ্রিত স্কুল – কলেজের ছাত্রছাত্রীদের। তাদের কাছে পঠন-পাঠনের কোনো সুযোগ সুবিধা নেই। গোটা শরণার্থী শিবিরে জাগিয়ে বসেছে এক অরাজকতা। মানবতাকে হার মানাচ্ছে প্রতি মুহূর্তে। তাদের বাড়িঘরে ফিরে যাওয়ার কোন পরিস্থিতি নেই। এখনো থমথমে গোটা গন্ডাছড়া।
কোন সময় আবারো ঘটতে পারে আক্রমণ। প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে নিরাপত্তার সমস্ত ব্যবস্থা রয়েছে গ্রামগুলিতে। কিন্তু প্রশাসনিক কর্তাদের কথার উপর আস্থা রাখতে পারছে না গ্রামবাসীরা। কেননা তারা সিদুরে মেঘ দেখছে। ১২ জুলাইর আগেও প্রশাসনের কর্তারা বাঙালি গ্রামবাসীদের নিরাপত্তা নিয়ে আশ্বস্ত করেছিল। কিন্তু ঘটনার রাতে প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিরা বাঙালি গ্রামবাসীদের বাঁচানোর জন্য কোনো সদর্থক উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারেননি। প্রশাসনের লোকজনের সামনেই একের পর এক বাঙালি গ্রাম গুলিতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট এবং পরিশেষে অগ্নিসংযোগ করেছিল সাম্প্রদায়িক দুষ্কৃতীরা।এই পরিস্থিতিতে এক অজানা ভবিষ্যতের দিকে ধাবিত হচ্ছে শরণার্থী ক্যাম্পের আবাসিকরা।
শরণার্থী ক্যাম্পের এই অচলাবস্থার কথা মাথায় রেখেই ক্যাম্পে আশ্রিত লোকজন বুধবার ধর্নায় বসেছিল মহাকুমা শাসক চন্দ্র জয় রিয়াংযের অফিসের সামনে।এরপর একটি প্রতিনিধি দল গিয়েছিলেন মহকুমা শাসকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে। মহকুমা শাসক শরণার্থীদের কথা শুনে পাল্টা হুঙ্কার দেন।তিনি বলেন, প্রশাসন নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে।এখন শরণার্থীদের ক্যাম্প ছাড়তে হবে।যেতে হবে তাদের বাড়িঘরে। সরকারি ভাবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো খাবার দাবার দেওয়া হবে না।
শরণার্থীরা বলছেন, এখনো তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হয় নি ক্ষতিপূরণের টাকা।
মহকুমা প্রশাসকের কথায়, শরণার্থীদের ব্যাংক একাউন্টে ক্ষতিপূরণের টাকা দিয়েছে প্রশাসন।এখন তাদের উচিত স্কুল থেকে বাড়িতে চলে যাওয়া।অন্যথায় শরণার্থীদের শিবির থেকে তাড়ানোর জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করবে প্রশাসন। ছিঃ ছিঃ।