ডেস্ক রিপোর্টার,১৬ মার্চ।।
ক্রমশ ঘুট ঘুটে অন্ধকারে লীন হচ্ছে প্রদ্যুৎ কিশোরের তিপ্রামথা সংসার! নেতা – কর্মীরা তাদের ক্ষোভ চেপে রাখতে পারছে না। ক্ষণে ক্ষণে বহিঃ প্রকাশ। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য মন্ত্রিসভায় থাকা তিপ্রামথার দুই মন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা ও বৃষকেতু দেববর্মা খুব শীঘ্রই প্রদ্যুৎ কিশোরের সঙ্গ ত্যাগ করতে পারেন বলে খবর।ইদানিং কালে প্রদ্যুতের সঙ্গে তাদের সম্পর্কেও মৃদু টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। গুঞ্জন তিপ্রামথার সংসারের অন্দরমহলের।
তথ্য অনুযায়ী, মথার তিন বিধায়কও গোপন আলোচনা শুরু করেছে ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্বের সঙ্গে। তাদের সঙ্গে আছে দলের কয়েকজন প্রথম সারির নেতাও। সব মিলিয়ে প্রদ্যুৎ কিশোরের সংসারে বড় রকমের ভূমিকম্প আসার অশনি সংকেত দেখছেন দলের নেতা কর্মীরা। প্রদ্যুৎ কিশোর এই ভাঙন রোধ করার জন্য বারবার নরমে – গরমে বার্তা দিচ্ছেন। তিনি বুঝে গিয়েছেন, দলের নিয়ন্ত্রণ ধীরে ধীরে তাঁর হাত থেকে ফস্কে যাচ্ছে।

হঠাৎ করে তিপ্রামথার সংসার এতো অগ্নিগর্ভ কেন?
হঠাৎ করে তিপ্রামথার সংসার এতো অগ্নিগর্ভ কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে মথার শীর্ষ নেতৃত্বের কথায়, ত্রিপুরা কখনও ভাগ হবে না এটা পরিষ্কার। তাছাড়া তিপ্রাসা চুক্তির সমস্ত দাবি পূরণ করবে না কেন্দ্রীয় সরকার। এটা করলে রাজ্যের মধ্যে নতুন করে অশান্তি বাঁধবে।এটা কোনো সরকার মেনে নেবে না।তাই অযৌক্তিক দাবির কথা বলে শুধু পরিস্থিতি উতপ্তই করা যাবে।কাজের কাজ কিছুই হবে না । এই সত্য বিলক্ষণ বুঝে গিয়েছে তিপ্রামথার নেতারা।
পাহাড়েও বিজেপির লোকজন অর্থের মূল উৎসের পরিচালন শক্তি।
প্রদ্যুতের দলের নেতা – কর্মীদের বক্তব্য, রাজনীতিতে এসে অনেকেই খরচ করেছেন গাটের পয়সা।কিন্তু পাহাড়ের তাদের সেই রকম উপার্জনের উৎস নেই। পাহাড়েও বিজেপির লোকজন অর্থের মূল উৎসের পরিচালন শক্তি।স্বাভাবিক কারণেই বুবাগ্রার ডাকে রাজনীতি করতে এসে তাদের এখন পথে বসার উপক্রম। তিপ্রামথার মাঝারি ও নীচু স্তরের নেতাদের কাছেই এই বিষয়টি জলের মত পরিস্কার। তারা বুঝে গিয়েছেন, অর্থ রোজগার করতে হলে বিজেপির লেজে ধরতে হবে।অন্যথায় তারা উদর পূর্তিও করতে পারবে না। এই সমস্ত বিষয় বিচার বিবেচনা করেই মথা মন্ত্রী – বিধায়ক – নেতারা ভিড়তে শুরু করেছে ভারতীয় জনতা পার্টির দিকে।
#Tripura #Politics # TMP #BJP #Pradyut#Janatar# Mashal