চুরাইবাড়ি ডেস্ক, ১৯ জুন।।

                        শ্বশুর বাড়ির অকথ্য নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে নিখোঁজ গৃহবধূ। তার নাম নাইমা খাতুন(২২) । বাড়ি পানিসাগর থানাধীন উত্তর পদ্মবিল ৪নম্বর ওয়ার্ডে। গত ১৭ জুন থেকে নিখোঁজ নাইমা। তার বাবা আতাউর রহমানের অভিযোগ, শ্বশুর বাড়ির লোকজন চক্রান্ত করে তার মেয়েকে কুচক্রীদের হাতে তুলে দিয়েছে।কারণ, তার শ্বশুর বাড়ির লোকজনের অসংলগ্ন বক্তব্য সন্দেহ বাড়িয়ে দিয়েছে। নিখোঁজ গৃহবধুর বাবা আতাউর রহমান চুরাইবাড়ি থানায় মামলা দায়ের করেছেন।অভিযুক্তের তালিকায় রয়েছে মেয়ের জামাই জাবির হোসেন, শশুর আব্দুল কাদির,শাশুড়ি রায়না বেগম ও ননদ শামিনা বেগম।

       গত বছর তিনেক আগে আতাউর রহমান তার মেয়ে নাইমাকে সামাজিক রীতি মেনে বিয়ে দেন পানিসাগরের উত্তর পদ্মবিল ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুল কাদিরের ছেলে জাবির হোসেনের কাছে। পাত্রপক্ষের দাবি অনুযায়ী সমস্ত যৌতুকও  দেন তিনি।

 আতাউর রহমানের আভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই অতিরিক্ত যৌতুকের জন্য নাইমার উপর চাপ দিতে থাকে জাবির সহ তার পরিবারের লোকজন। এই নিয়ে বেশ কয়েকবার স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতে সালিশি সভাও হয়েছে। তারপরও নাইমার উপর কমে নি অত্যাচারের স্টিমরোল। শেষ পর্যন্ত মেয়ের সুখের। কথা চিন্তা করে জামাইয়ের বিদেশ (সৌদি আরব) যাত্রার জন্য পাঁচ লক্ষ টাকা দেন। কাজের জন্য জাবির হোসেন সৌদি আরবে চলে গেলেও তার স্ত্রী নাইমার উপর অত্যাচার একটুও কমে নি। বরং তা বেড়ে যায়। জাবির নিজেও সৌদি থেকে মোবাইলে নানান ভাবে নাইমাকে মানসিক নির্যাতন করতে থাকে।

          আতাউর রহমানের বক্তব্য, গত ১৭ জুন থেকে কোলের শিশুকে বাড়িতে রেখে নিখোঁজ হয়ে যায় তার মেয়ে নাইমা। মেয়ে কোথায়? শ্বশুর বাড়ির লোকদের কাছে জানতে চাইলে, তারা সঠিক তথ্য দিতে রাজি নয়। বরং উল্টে নানান গালমন্দ দিয়ে আতাউরকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এরপর তিনি বাধ্য হয়ে থানা পুলিশের দ্বারস্থ হন। পুলিশের কাছে অসহায় বাবা আতাউর রহমানের করুন আর্তনাদ, ” স্যার আপনারা আমার মেয়েকে খোঁজে দিন। আমি আমার আদরের মেয়েকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যেতে চাই।” নাইমা কবে ফিরে আসবে বাবার বুকে? কেউ জানে না। কোথায় আছে হতভাগী নাইমা? উওর নেই কাউর কাছে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *