#Agartala #Sports #Cricket #Stadium#Janatar Mashal ।
একই সঙ্গে রাজ্যের ধনী ক্রীড়া সংস্থা ত্রিপুরা ক্রিকেট এসোসিয়েশনের ব্যাটন যে হুমরা চুমড়াদের হাতে তাও প্রমাণিত দিনের আলোর মতো।
“গতিতে নরসিংগড় স্টেডিয়ামের কাজ চলছে, এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে আগামী তিন চার বছরেও স্বপ্নপূরণ হবে না রাজ্যের মানুষের। তাতে অবশ্যই লাভবান হবে টিসিএ – র কয়েকজন দন্ডমুন্ডের কর্তা সহ মধ্যস্বত্বভোগীরা।”
স্পোর্টস ডেস্ক,৯ নভেম্বর।।
নরসিংগড় পলিটেকনিক ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়াম এখন বিশ বাঁও জলে। ঘটছে রাজ্যের মানুষের স্বপ্নের অপমৃত্যু।কারণ ১৭ মাসে স্টেডিয়াম নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিলো।কিন্তু তা সাত বছরেও শেষ হয় নি। এটা নিঃসন্দেহে হাসির খোরাক! একই সঙ্গে রাজ্যের ধনী ক্রীড়া সংস্থা ত্রিপুরা ক্রিকেট এসোসিয়েশনের ব্যাটন যে হুমরা চুমড়াদের হাতে তাও প্রমাণিত দিনের আলোর মতো। বাম – ডান সবার ক্ষেত্রেই একই শব্দ প্রযোজ্য। তবে বাম জামানার কান্ডারীরা খুব একটা সময় পান নি। কিন্তু দুর্ভাগ্যের হলেও সত্যি, ত্রিপুরা ক্রিকেট এসোসিয়েশনের লাল বাড়ির এজেন্টদের টেক্কা দিয়ে গেরুয়া বাড়ির তনয়রাও চমক দেখাতে ব্যর্থ।
২০১৮ সালে তৎকালীন সচিব তথা প্রাক্তন রঞ্জি ক্রিকেটার সৌরভ দাশগুপ্তের জামানায় শুরু হয়েছিল স্টেডিয়াম নির্মাণের কাজ।
২০১৭ সালে ত্রিপুরা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সচিব ছিলেন মেলারমাঠ লালবাড়ির দূত অরিন্দম গাঙ্গুলি। তিনি ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন রঞ্জি ক্রিকেটার ও কোচ। তাঁর সময়েই নরসিংগড় পলিটেকনিক মাঠকে আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম করার রূপরেখা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু রাজ্যের ক্ষমতার পালা বদলের কারণে অরিন্দম গাঙ্গুলিকে সরে যেতে হয়েছিলো টিসিএ- র সচিব পদ থেকে। এরপর গেরুয়া বাড়ির মনোনীত সৈনিকরা ত্রিপুরা ক্রিকেট সংস্থার দায়িত্ব নেয়। ২০১৮ সালে তৎকালীন সচিব তথা প্রাক্তন রঞ্জি ক্রিকেটার সৌরভ দাশগুপ্তের জামানায় শুরু হয়েছিল স্টেডিয়াম নির্মাণের কাজ।ঝাড়খণ্ডের নির্মাণ সংস্থা রাম কৃপাল কনস্ট্রাকশনকে দেওয়া হয়েছিল কাজের বরাত।
অভিযোগ,নরসিংহর পলিটেকনিক আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজ শুরুর পর থেকেই বিতর্ক মাথা চাড়া দেয়।২০১৮ সালেই স্টেডিয়ামের কাজের গুণগত মান তলানিতে থাকায় রেগে আগুন হয়ে গিয়েছিলেন টিসিএ- র তৎকালীন দায়িত্বপ্রাপ্ত কান্ডারী প্রাক্তন বিচারপতি এবি পাল। তিনি বন্ধ করে দিয়েছিলেন স্টেডিয়ামের কাজ। এরপরের বছরেই টিসিএ’র সভাপতির চেয়ারে বসে ছিলেন রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মানিক সাহা। মুখ্যমন্ত্রী টিসিএ’র সভাপতি থাকাকালীন পুনরায় শুরু হয়েছিল স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজ। কিন্তু খুব শম্বুক গতিতে।
প্রশ্ন উঠছে, কার স্বার্থে একটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের কাজ চলছে ধীর গতিতে? টাকা দিয়েছে বিসিসিআই। তাহলে খরচের ক্ষেত্রে টিসিএ এতো কৃপণ কেন?
বিশেষজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ারা জানিয়েছেন, স্টেডিয়ামটিকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দেওয়ার জন্য প্রতিদিন প্রয়োজন প্রায় তিনশ শ্রমিকের। কিন্তু মাত্র ২০-২২ জন শ্রমিক দিয়ে প্রতিদিন চলছে কাজ। এই চিত্র বছরের পর বছর ধারাবাহিক ভাবে চলে আসছে।তাহলে প্রশ্ন উঠছে, কার স্বার্থে একটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের কাজ চলছে ধীর গতিতে? টাকা দিয়েছে বিসিসিআই। তাহলে খরচের ক্ষেত্রে টিসিএ এতো কৃপণ কেন? কাদের পেট ভরছে? অবশ্যই এই সংক্রান্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর নেই ত্রিপুরা ক্রিকেট এসোসিয়েশনের ধান্দাবাজ ক্রীড়া সংগঠকদের কাছে।
বিশেষজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ারদের কথায়, যে গতিতে নরসিংগড় স্টেডিয়ামের কাজ চলছে, এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে আগামী তিন চার বছরেও স্বপ্নপূরণ হবে না রাজ্যের মানুষের তাতে অবশ্যই লাভবান হবে টিসিএ – র কয়েকজন দন্ডমুন্ডের কর্তা সহ মধ্যস্বত্বভোগীরা। আর ১৪.১৪ একর জমিতে গড়ে উঠা স্বপ্নের স্টেডিয়ামের ‘ হাড়গুড় দেখেই সন্তুষ্ট থাকতে হবে রাজ্যের মানুষকে। আর করবে হাই হুতাশ।