#Agartala#Bangladesh #Border#BSF#Police#Janatar#Mashal

 

অভিযোগ অনুপ্রবেশকারীরা বিএসএফ,পুলিশ ও গোয়েন্দার চোখে ফাঁকি দিয়ে ত্রিপুরা থেকে রেল পথে পাড়ি দিচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।

।সীমান্ত পাহারায় বিএসএফ জওয়ান।(ছবি – এফবি)

 

 


ওপার থেকে আসা জঙ্গিদের স্লিপার সেলের এজেন্টরা এপারের দালাল চক্রের মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়ে থাকে পাসপোর্ট সহ নাগরিকত্ব কার্ড। অবশ্যই অধিকাংশ জাল।তাদের কাগজ পত্র যে জাল তা সনাক্ত করাও কষ্টকর।ত্রিপুরায় এই রকম দৃষ্টান্ত ভুরি ভুরি।

ডেস্ক রিপোর্টার, ২১ডিসেম্বর।।
            বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতির জন্য চিন্তায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।রাজ্যের  ইন্দো – বাংলা সীমান্তে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে কেন্দ্রের নির্দেশ। একই সঙ্গে রাজ্য পুলিশ – সীমান্ত থেকে বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় আরো সুদৃঢ় করার জন্য বার্তা দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। মন্ত্রকের নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে বিএসএফের ত্রিপুরা ফ্রন্টিয়ারের আইজি অশ্বিনী কুমার শর্মা ও রাজ্য পুলিশের আইজি ( আইন-শৃঙ্খলা) অনুরাগ ধ্যানকরের মধ্যে অনুষ্ঠিত হলো গুরুত্ব পূর্ন বৈঠক।
              ওপার সীমান্তের অস্থিরতার মধ্যেই বিএসএফের ত্রিপুরা ফ্রন্টিয়ারের আইজি’র দায়িত্ব নিয়েছে অশ্বিনী কুমার শর্মা। খবর অনুযায়ী, তাঁর দায়িত্ব গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশের সঙ্গে বিএসএফের সমন্বয় আরো সুদৃঢ় করার জন্য বার্তা দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রাজ্য পুলিশের আইজি( আইন-শৃঙ্খলা) অনুরাগ ধ্যানকরের সঙ্গে বৈঠক করেন বিএসএফ আইজি অশ্বিনী কুমার। দুই বাহিনীর বৈঠকে সীমান্ত এলাকার অপরাধ সহ ওপার বাংলার ভারত বিরোধী কার্যকলাপের মতো গুরুত্ব পূর্ন বিষয়গুলি উঠে আসে। একই ভাবে রাজ্যের আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার বিষয় নিয়েও খোলামেলা আলোচনা করেন দুই বাহিনীর দুই পদস্থ কর্তা।

।।বিজ্ঞাপন।।

আরো খবর পড়ুন

https://janatarmashal.com/tripura-news-yunus-of-assam-pulled-the-leader-of-the-militant-organization-ulfa-to-his-chest-tripura-news-

তথ্য অনুযায়ী ,অশ্বিনী কুমার ও অনুরাগ ধ্যানকরের বৈঠকে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে অনুপ্রবেশের বিষয়টি।কারণ সীমান্তে বিএসএফ থাকা সত্ত্বেও রাজ্যে ওপার থেকে ঘটছে অনুপ্রবেশ। এখনও প্রায় প্রতিদিন আগরতলা সহ রাজ্যের বিভিন্ন মহকুমা পুলিশ অনুপ্রবেশকারীদের গ্রেপ্তার করছে। এটা অবশ্যই মাথা ব্যথার কারণ। অনেক অনুপ্রবেশকারী বিএসএফ,পুলিশ ও গোয়েন্দার চোখে ফাঁকি দিয়ে ত্রিপুরা থেকে রেল পথে পাড়ি দিচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। কেউ বা গোপনে অবস্থা করছে রাজ্যে। তাদের সঙ্গে ওপারের জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা এপারে এসে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে গেলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না বলেই মনে করছেন গোয়েন্দা।
              ওপার থেকে আসা জঙ্গিদের স্লিপার সেলের এজেন্টরা এপারের দালাল চক্রের মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়ে থাকে পাসপোর্ট সহ নাগরিকত্ব কার্ড। অবশ্যই অধিকাংশ জাল।তাদের কাগজ পত্র যে জাল তা সনাক্ত করাও কষ্টকর।ত্রিপুরায় এই রকম দৃষ্টান্ত ভুরি ভুরি।২০০৭ সালে সালে হায়দ্রাবাদ মক্কা মসজিদের বিস্ফোরণের নায়ক মোহাম্মদ আব্দুর রহমান কাইয়ুম রাজ্য প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে ত্রিপুরার ঠিকানায় পাসপোর্ট ও পিআরটিসি হাতিয়ে নিয়েছিলো। এ সংক্রান্ত তথ্য রয়েছে রাজ্য পুলিশের কাছে। পূর্ব অভিজ্ঞতার কারণেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বিএসএফ ও রাজ্য পুলিশের মধ্যে অপরাধ ঠেকাতে সমন্বয় রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন।

।।সীমান্তে কর্তব্যরত মহিলা বিএসএফ কর্মীরা (ছবি – এফবি)

রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে বিএসএফকে জানানো হয়েছে উন্মুক্ত সীমান্তগুলিতে নজরদারি আরো বাড়ানোর জন্য।

বিএসএফ সূত্রের দাবী, দুই বাহিনীর আইজি স্তরের আধিকারিকের বৈঠকে এই সংক্রান্ত বিষয় গুলিও উঠে এসেছে। রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে বিএসএফকে জানানো হয়েছে উন্মুক্ত সীমান্তগুলিতে নজরদারি আরো বাড়ানোর জন্য। কারণ এই মুহূর্তে কাঁটাতার হীন অঞ্চল গুলিকেই টার্গেট করছে অনুপ্রবেশকারীরা। তাই সীমান্তে বিএসএফ’ র শক্তি বৃদ্ধির জন্য ইতিমধ্যেই রাজ্যের মেজর স্ট্রাইকিং ফোর্স টিএসআরকে নিরাপত্তার কাজে লাগানো হয়েছে।
    


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *