#Tripura #Police #IPS #Janatar# Mashal

গত ১২জুলাই গন্ডাছড়াতে পুলিশের সামনেই বাঙালি মহল্লার একের পর এক ঘরে আগুন দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। করেছিলো লুটপাট। কোথায় ছিলো পুলিশ?

।।অগ্নিগর্ভ কদমতলার দৃশ্য (ফাইল ছবি)।।

কদমতলা ও পানিসাগর কাণ্ডে নিঃসন্দেহে পুলিশের ব্যর্থতা রয়েছে। তার জন্য নর্দান ডিআইজি থেকে শুরু করে তৎকালীন এসপি ভানুপদ চক্রবর্তীকে তার দায় নিতেই হবে। সঙ্গে অবশ্যই কদমতলা ও পানিসাগর দুই থানার ওসিদের। এটাও বাস্তব কদমতলার ঘটনায় পার্শ্ববর্তী রাজ্য অসম থেকে হাজার পাঁচ এক জনতা প্রবেশ করেছিলো রাজ্যে। কিন্তু তার জন্য ভানুপদকে শুধু শাস্তি কেন?

ডিএম থেকে এসডিএম। এসপি থেকে এসডিপিও।সবাই ব্যর্থতার জামা গায়ে দিয়ে নিজ নিজ পদে বহাল আছেন।

।।বিজ্ঞাপন।।

ডেস্ক রিপোর্টার,আগরতলা।
              গত ১২ জুলাই গন্ডাছড়াতে সাম্প্রদায়িক আগুনে জ্বলে পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছিল সনাতনী বাঙালি অংশের মানুষের বাড়িঘর। আজও তারা ভুগছে নিরাপত্তাহীনতায়। এখনো তারা দিন যাপন করছে শরণার্থীকে ক্যাম্পে। নিঃসন্দেহে এই ঘটনার জন্য দায়ী ধলাই জেলা ও গন্ডাছড়া মহকুমা প্রশাসন। কিন্তু এই ঘটনার জন্য ধলাইয়ের ডিএম থেকে এসপি।এবং গণ্ডাছড়ার এসডিএম থেকে এসডিপিও কাউর উপর কোনো আঁচ পড়ে নি। তারা সবাই ব্যর্থতার জামা গায়ে দিয়ে নিজ নিজ পদে বহাল আছেন।কারণ তারা কেউ সনাতনী বাঙালি নয়।তাদেরকে স্পর্শ করবে না রাজ্য প্রশাসনের দন্ডমুন্ডের কর্তারা। ব্যাস। অথচ একই দোষে দোষী উত্তর জেলার পূর্বতন পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তীকে শাস্তি দেওয়া হল। তাঁকে ক্লোজ করা হলো পুলিশ সদর দপ্তরে। এটা কোন বিচার রাজ্য আরক্ষা প্রশাসনের।

গণ্ডাছড়ার ধ্বংস লীলা(ফাইল – ছবি)

পেকুছড়ার ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই আরক্ষা প্রশাসন শাস্তির যুপকাষ্ঠে ঠেলে দেয় জেলার তৎকালীন এসপি ভানুপদ চক্রবর্তীকে।


আরও খবর পড়ুন

https://janatarmashal.com/tripura-news-bengali-vibehan-in-gandachhara-former-member-of-hermad-army-and-current-leader-deepak/।।

গত ৬ অক্টোবর উত্তর জেলার কদমতলাতে সাম্প্রদায়িক হিংসা সংঘটিত হয়েছিলো। হামলা – পাল্টা হামলায় প্রচুর ক্ষয় ক্ষতি হয়েছিলো হিন্দু – মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের। নাক কাটা গিয়েছিলো রাজ্য সরকারের। প্রধান কারণ পুলিশি ব্যর্থতা।জানিয়েছেন স্থানীয় মানুষ। পরে অবশ্যই পুলিশ শক্ত হাতে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছিলো। পুলিশের সমস্ত ব্যর্থতার দায় বর্তায় উত্তর জেলা তৎকালীন পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তীর উপর। প্রশ্ন হল কেন শুধু এসপির উপর ব্যর্থতার দায়িত্ব বর্তাবে? এই পুলিশি ব্যর্থতার দায় এড়াতে পারবেন না নর্দান ডিআইজি- ও ।

।।বিজ্ঞাপন।।

উত্তরের কদমতলার ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই গত ১৫ অক্টোবর ফের সাম্প্রদায়িক আগুনে জ্বলে উঠেছিল পানিসাগরের পেকুছড়া।  এই ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই আরক্ষা প্রশাসন শাস্তির যুপকাষ্ঠে ঠেলে দেয় জেলার তৎকালীন এসপি ভানুপদ চক্রবর্তীকে। এবং ধলাই জেলার ব্যর্থ পুলিশ সুপার অবিনাশ রাইকে উত্তরের অতিরিক্ত এসপির দায়িত্ব দেওয়া হয়। আর তাতেই শুরু হয় বিতর্ক। আরক্ষা প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে চলছে চুলচেরা  বিশ্লেষণ।

।।পেকুছড়ার শিব মন্দির।।(ফাইল – ছবি)

সেই দিন এসপি অবিনাশ কুমার রাইয়ের পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তামশা দেখেছিলো।

কদমতলা কাণ্ডে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুলি চালিয়েছিল এবং পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছিল হামলাকারীদের একজন। অথচ গত ১২জুলাই গন্ডাছড়াতে পুলিশের সামনেই বাঙালি মহল্লার একের পর এক ঘরে আগুন দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। করেছিলো লুটপাট। কোথায় ছিলো পুলিশ?  সেই দিন এসপি অবিনাশ কুমার রাইয়ের পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তামশা দেখেছিলো।ঘুরিয়ে বললে, সাম্প্রদায়িক  হামলাকারীদের নিরাপত্তা দিয়েছিলো পুলিশ! এই কারণেই কি পুলিশ হামলাকারীদের প্রতিরোধ করার জন্য কোনো সদর্থক ভূমিকা নিতে পারেনি? এই মুহূর্তে গন্ডাছড়ার ঘটনা তিন মাস অতিক্রান্ত। তারপরও পুলিশি ব্যর্থতার জন্য ধলাই জেলার এসপি অবিনাশ কুমার রাই , গন্ডাছড়ার এসডিপিও  বাপি দেববর্মার শাস্তি ঘোষণা করার কোন দুঃসাহস দেখাতে পারেন নি রাজ্য আরক্ষা প্রশাসনের সর্বময় কর্তারা। অথচ ভানুপদ চক্রবর্তীর মতো সনাতনী বাঙালি আইপিএস – র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সাত – পাঁচ ভাবতে হয় নি স্বরাষ্ট্র দপ্তরকে।

পেকু ছাড়ার মসজিদ ভাঙচুর(ফাইল – ছবি)

নিঃসন্দেহে কদমতলা ও পানিসাগরের পেঁকুছড়ার ঘটনায় পুলিশের ব্যর্থতা রয়েছে। তার জন্য নর্দান ডিআইজি থেকে শুরু করে তৎকালীন এসপি ভানুপদ চক্রবর্তীকে তার দায় নিতেই হবে। সঙ্গে অবশ্যই কদমতলা ও পানিসাগর দুই থানার ওসিদের। এটাও বাস্তব কদমতলার ঘটনায় পার্শ্ববর্তী রাজ্য অসম থেকে হাজার পাঁচ এক জনতা প্রবেশ করেছিল রাজ্যে।। কদমতলা বাজারে হামলার ঘটনার পেছনে ছিল অসম থেকে আসা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনও। কিন্তু সেদিন ঘটনার সময় অকুস্থলে কি পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বাহিনী ছিলো? না। পরবর্তী সময়ে জেলার অন্যান্য জায়গা থেকে পুলিশ- টিএসআরকে জরুরী তলব করে আনা হয়েছিলো কদমতলা বাজারে।

ওরা আজও গণ্ডাছড়া শরণার্থী শিবিরে (ফাইল – ছবি)

ভানুপদ চক্রবর্তী একজন সনাতনী বাঙালি বলেই তাঁর সঙ্গে প্রশাসনের এই অবিচার?

গন্ডাছড়া থেকে কদমতলা ও পেকুছড়া তিনটি জায়গাতেই পুলিশি ব্যর্থতা প্রকট। কদমতলা ও পেঁকুছড়ার ঘটনার পুলিশি ব্যর্থতার জন্য যদি ভানুপদ চক্রবর্তীকে পুলিশ সদর দপ্তরে ক্লোজ করা হয় ,তাহলে একই দোষে দোষী ধলাই’র এসপি অভিনাশ কুমার রাইকে  ছাড় কেন দেওয়া হবে?
মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড: মানিক সাহার প্রশাসন কি এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন?নাকি, ভানুপদ চক্রবর্তী একজন সনাতনী বাঙালি বলেই তাঁর সঙ্গে প্রশাসনের এই অবিচার? এই প্রশ্ন তুলছে রাজ্যের সনাতনী বাঙালি অংশের মানুষ।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *