নতুন ব্যবস্থার মাধ্যমে এপিক তৈরির প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে ডাক বিভাগের (ডি.ও.পি.) মাধ্যমে ভোটারের হাতে পৌঁছানো পর্যন্ত প্রতিটি ধাপ রিয়েল-টাইমে ট্র্যাক করা যাবে। ভোটাররা প্রতিটি পর্যায়ে এস.এম.এস.-এর মাধ্যমে তাদের এপিক-এর অবস্থা সম্পর্কে অবহিত হবেন।
আগরতলা,১৮ জুন।।
ভোটারদের ছবি সহ পরিচয়পত্র দ্রুত সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য ভারতের নির্বাচন কমিশন একটি নতুন স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রক্রিয়া (এস.ও.পি.) চালু করেছে। এর মাধ্যমে ভোটার তালিকায় কোনো সংশোধন যেমন নতুন ভোটারের নাম অন্তর্ভুক্তি বা বিদ্যমান ভোটারের কোনো তথ্য পরিবর্তনের ১৫ দিনের মধ্যে এপিক বা পরিচয়পত্র সরবরাহ করা যাবে।
এই উদ্যোগটি নির্বাচন কমিশনের বিভিন্ন নাগরিকবান্ধব ব্যবস্থার অংশ, যা প্রধান নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার এবং নির্বাচন কমিশনার ডঃ সুখবীর সিং সান্ধু ও ডঃ বিবেক যোশীর তত্ত্বাবধানে গৃহীত হয়েছে।
নতুন ব্যবস্থার মাধ্যমে এপিক তৈরির প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে ডাক বিভাগের (ডি.ও.পি.) মাধ্যমে ভোটারের হাতে পৌঁছানো পর্যন্ত প্রতিটি ধাপ রিয়েল-টাইমে ট্র্যাক করা যাবে। ভোটাররা প্রতিটি পর্যায়ে এস.এম.এস.-এর মাধ্যমে তাদের এপিক-এর অবস্থা সম্পর্কে অবহিত হবেন।
এই লক্ষ্যে, ভারতের নির্বাচন কমিশন তার সদ্য চালু করা ই.সি.আই.নেট, প্ল্যাটফর্মে একটি নির্দিষ্ট আইটি মডিউল সংযোজন করেছে। নতুন এই আইটি প্ল্যাটফর্ম বিদ্যমান প্রক্রিয়াকে প্রতিস্থাপন করে একটি পুনর্গঠিত এবং কার্যকর ওয়ার্কফ্লো নিশ্চিত করবে। এছাড়াও, ডাক বিভাগের অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস (এ.পি.আই.) ই.সি.আই.নেট.-এর সঙ্গে একীভূত করা হবে যাতে সরবরাহ প্রক্রিয়া আরও সহজ হয়।
এই উদ্যোগের লক্ষ্য হল সেবার মান উন্নত করা এবং তথ্য সুরক্ষা বজায় রাখা। সমস্ত ভোটারকে দ্রুত এবং কার্যকর পরিষেবা প্রদান নির্বাচন কমিশনের একটি প্রধান অগ্রাধিকার। উল্লেখযোগ্য, গত চার মাসে কমিশন ভোটার ও সংশ্লিষ্টদের স্বার্থে একাধিক নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে। ভারতের নির্বাচন কমিশন থেকে এক প্রেস রিলিজে এই সংবাদ জানানো হয়েছে।