ডেস্ক রিপোর্টার,১৭ মে।।
দেশ বা দেশের বাইরে সনাতনী অংশের মানুষের রক্ত ঝরলে প্রতিবাদের সুনামী আঁচড়ে পড়ে “ত্রিপুরায়” । সনাতনী হিন্দুরা নানান সংস্থার নামে ব্যানার হাতে নিয়ে প্রতিবাদে সরব হয়। বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের ঘটনা থেকে কাশ্মীরের পহেলগ্রামের হিন্দুর গণহত্যা। সব ক্ষেত্রেই আগরতলার রাজপথে দাঁড়িয়ে বুক ফুলিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে সনাতনী সংগঠনগুলি।নিঃসন্দেহে এটা প্রশংসার দাবী রাখে।
কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, সনাতনীদের রক্তে যখন রাজ্য রক্তস্নাত হয় বা সনাতনীরা অত্যাচারিত হন তখন সাবাই প্রতিবাদের ভাষা হারিয়ে ফেলে। অজানা ভয় তাদেরকে কুঁকড়ে রাখে। তখন কোনো সনাতনী নেতাকে রাজপথে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করতে দেখা যায় না। রাজ্যের বহু জায়গায় সনাতনীদের নিধনের পরও তারা আজ পর্যন্ত কোনো বিচার পায়নি। এমন তথ্য সমৃদ্ধ ঘটনা ভুরি ভুরি।

গণ্ডাছড়াতে ১৩ জন গো – মাতাকে গোয়াল ঘরে দড়ি দিয়ে বেঁধে আগুন দিয়েছিলো দুষ্কৃতীরা।
গত বছর রাজ্যের গণ্ডাছড়াতে সনাতনী হিন্দুদের বাড়িঘরে সঙ্ঘ বদ্ধ ভাবে হামলা চালিয়ে ছিলো দুষ্কৃতীরা। রাতের আধারে গ্রামের পর গ্রামে আগুণ দিয়েছিলো ভিন্ন জাতি – ধর্মের লোকজন। গণ্ডাছড়াতে ১৩ জন গো – মাতাকে গোয়াল ঘরে দড়ি দিয়ে বেঁধে আগুন দিয়েছিলো দুষ্কৃতীরা। আভিযোগ, হামলাকারীরা সবাই ছিলো খ্রিষ্টান ধর্মের। এই জন্যই তারা ১৩ জন গো – মাতাকে হত্যা করে এবং আরো ১১জন গো মাতাকে হরণ করে নিয়ে যায়। হিন্দু ধর্মে গো – মাতার স্থান কোথায়? এটা নতুন করে বলার কিছু নেই। হিন্দুদের জীবনে গো – মাতার গুরুত্ব কতটা, এটা সবাই জানেন।
গণ্ডাছড়াতে সনাতনী অংশের মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন।বাড়িঘর ছেড়ে তাদের আশ্রয় নিতে হয়েছিলো শরণার্থী শিবিরে। এই বিষয় নিয়ে থানায় কোনো মামলাও হয় নি। কারণ আক্রান্ত সনাতনী অংশের মানুষের সাহসই ছিল না মামলা করার জন্য। কিন্তু দুর্ভাগ্যের হলেও সত্যি আক্রান্ত লোকজনের হয়ে কোনো সহৃদয় সনাতনী নেতাও থানা বা আদালতে মামলা ঠুকেন নি। আর পুলিশ প্রশাসনও স্বত: প্রণোদিত হয়ে দায়ের করে নি মামলা। ত্রিপুরার বুকে এই চিত্র নতুন নয়। আরো হয়েছে। কোনো বিচার পায় নি সনাতনীরা।

কিন্তু ১৩টি অবোলা প্রাণীর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর কোথায় ছিলেন পশু প্রেমী সনাতনীরা?
কিন্তু ১৩টি অবোলা প্রাণীর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর কোথায় ছিলেন পশু প্রেমী সনাতনীরা? গো – মাতা পুজনকারী গেরুয়া সনাতনীরা মুখে টু শব্দও করেন নি। হায় রে! আজকে তারাই আবার বাংলাদেশ থেকে পহেলগ্রাম আক্রান্ত হিন্দুদের বিচার চেয়ে গরম করে ত্রিপুরার মাঠ ঘাট। অথচ রাজ্যে সনাতনীরা আক্রান্ত হলে তারা মুখ দেখাতে লজ্জা পান। তারাই নাকি আবার সনাতনী উদ্ধারের ফেরী ওয়ালা। ছিঃ ছিঃ।
#Tripura #Agartala #Sanatani #JM