ডেস্ক রিপোর্টার, ৬ডিসেম্বর।।
    রাজ্যে কি ভেঙে পড়েছে প্রাক প্রাথমিক শিক্ষার প্রাথমিক স্তরের মেরুদণ্ড? এক ঘোর অমাবস্যার দিকে ধাবিত হচ্ছে ভবিষ্যত প্রজন্ম। কিন্তু তাতে হেলদোল নেই প্রশাসনিক স্তরের  কর্মচারীদের। বেহুঁশ জন প্রতিনিধিরা। সবাই এড়িয়ে যাচ্ছেন দায়িত্ব। তার খেসারত দিতে হচ্ছে প্রাক প্রাথমিক শিক্ষার প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের। এর জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত রাজ্যের মোহনভোগ আরডি ব্লকের অন্তর্গত বানিয়া ছড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তেল কাজলা বরডেপা অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে।


প্রাক প্রাথমিক শিক্ষার প্রাথমিক স্তর হলো অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার।জীবনের এই সোপানকে আকড়ে ধরেই আজকের কচি কাচারা আগামী দিনে শিক্ষার জাল বিস্তার করবে নিজেদের মননে। আর তাতেই লেগেছে বড় ধাক্কা। সঙ্গে ভেসে উঠেছে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার কদর্য রূপ।


সোনামুড়া মহকুমার মোহনভোগের  বানিয়াছড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তেল কাজলা বরডেপা অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের অবস্থা কাহিল। গত সাত মাস ধরে অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে নেই শিক্ষিকা। শিক্ষিকার অভাবে অঙ্গনওয়ারী কেন্দ্রের পঠন-পাঠন উঠেছে লাটে।অঙ্গনওয়ারী কেন্দ্রের এই ছিড়ি দেখে বাধ্য হয়ে শিশুদের অভিভাবকরা অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে ঝুলিয়ে দিয়েছে তালা।” শিক্ষিকা বিহীন এই অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার  পরিচালনা করছেন হেলপার। তিনি নিজের ঘাটের পয়সা খরচ করে অঙ্গনওয়ারী সেন্টারে আসা কচি কাচা শিশুদের মুখে তুলে দিচ্ছে খাবার।” হেল্পার নিজেই জানিয়েছেন একথা।



অঙ্গনওয়ারীতে শিক্ষিকা না থাকতে সমস্যা হচ্ছে গর্ভবতী মেয়েদের। তারা অঙ্গনওয়ারী থেকে কিছুই পাচ্ছেন না।স্বাভাবিক ভাবেই স্থানীয় আশা কর্মীর উপর বাড়ছে চাপ।কিন্তু তিনিও যে অসহায়।
অঙ্গনওয়ারী সেন্টার থেকেই শিশুদের ভবিষ্যৎ মানসিক বিকাশ এবং শারীরিক বিকাশ ঘটে থাকে।


অথচ বানিয়াছড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তেল কাজলা বরডেপা অঙ্গনওয়ারী সেন্টারে থাকা শিশু ও গর্ভবতী মায়েদের জন্য এই কথা চিন্তা করার কেউ নেই। তার দায় ভার কে নেবে? অবশ্যই সমাজ শিক্ষা ও সমাজ কল্যাণ দপ্তর।দায়িত্ত্ব এড়াতে পারবেন না স্থানীয় গ্ৰাম পঞ্চায়েতের দণ্ডমুণ্ডের কর্তারা। কিন্তু দুর্ভাগ্যের হলেও সত্যি এরা যেন সবাই মুক ও বধির।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *