ডেস্ক রিপোর্টার,১২জানুয়ারি।।
প্রতিদিন পারদ চড়ছে রাজ্য রাজনীতির।শাসকদল বিজেপি সহ সিপিআইএম,কংগ্রেস ও তৃনমূল কংগ্রেস বিচরণ করছে রাজনীতির ময়দানে। তবে শাসক বিজেপি ও তৃনমূল দুই পক্ষ এখন সম্মুখ সমরে। মূলত অবাম ভোটের ভাণ্ড নিয়েই কারারারি চলছে দুই শিবিরের। নতুন করে অঙ্ক সাজাতে প্রস্তুতি নিচ্ছে কংগ্রেস।অন্য দিকে কমিউনিস্টরা তার নির্দিষ্ট ভোট পেটেরা নিয়ে বসে আছে।
রাজনীতিকরা বলছেন,বিজেপি ক্ষমতায় থাকলেও তাদের সাংগঠনিক ব্যর্থতার কারণে তারা বাম ভোট ভাঙতে পারেনি।ভাঙলেও খুব সামান্য।তাই বামেদের ভোট ব্যাংকের বড় অংশ এখনো অটুট। ক্ষমতায় আসার আগে বিজেপির ভোট ছিলো খুব কম।২০১৮-র নির্বাচনে কংগ্রেস ভোট টার্ন করে বিজেপিতে।অল্প পরিমাণ বাম ভোটে দখল নিয়েছিল বিজেপি।গত বিধানসভা নির্বাচনে চরম ফ্লো ছিলো বিজেপির দিকে।
রাজনীতিকদের ব্যাখ্যা, রাজ্যে এই মুহূর্তে সরকার বিরোধী চোরা স্রোত বইছে। তাই ২০২৩-র বিধানসভা নির্বাচনে অবশ্যই বিজেপির আগের ফ্লো থাকবে না। কিছুটা হলেও ধাক্কা লাগবে। তৃনমূল সদ্য ঘর সাজাচ্ছে।তাদের দিকে ঝুঁকছে কংগ্রেস এবং বিজেপির বিক্ষোব্ধ গোষ্ঠি। তার প্রমান পাওয়া গিয়েছে সদ্য সমাপ্ত পুর ও নগর ভোটে। ফের সুদীপ রায় বর্মনকে সামনে রেখে নিজেরদের শক্তির জানান দিতে চাইছে কংগ্রেস। তবে সুদীপ কংগ্রেসে যাবে কিনা তা বলবে সময়েই। এই সমীকরণে অবাম ভোটেই বেশি ফাটল ধরবে ।অর্থাৎ বিজেপি ও তৃনমূল ও কংগ্রেস শিবিরে অবাম ভোট নিয়ে হবে কাড়াকাড়ি। তাতে অনেকটা সুবিধা পেয়ে যেতে পারে বামেরা।। রাজনীতির বিশারাদরা বলছেন, গত বছর এডিসি নির্বাচনে বামেরা হারলেও প্রতিটি আসনে নির্দিষ্ট সংখ্যক ভোট পেয়েছে।বিধানসভা নির্বাচনে নিজেদের ভোট ধরে রেখে আরো ভোট টানার চেষ্টা করবে বাম নেতৃত্ব।তার জন্যই বামেরা মাঠে নেমে শুরু করে দিয়েছে সাংগঠনিক কার্যকলাপ। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বামেরা তাদের নির্দিষ্ট অংশের ভোট নিয়ে থাকবে নিরাপদেই।বাদবাকি কত অংশ ভোট তারা টেনে আনতে পারে সেটাই এখন দেখার বিষয়। রাজনীতির অঙ্কের এই হিসাবে বামেরা কিছুটা হলেও ভ্যাট পেতে পারে। এই বিষয়টি মাথায় রেখেই বামেরা অঙ্ক কষতে শুরু করছে। তাছাড়া তৃনমূল কংগ্রেস মাটি কামড়ে সীমিত শক্তি নিয়ে আন্দোলন শুরু করতে বামেরাও শক্তি পেয়ে গিয়েছে।
বিরোধী দল নেতা মানিক সরকার সহ প্রথম সারির বাম নেতারা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে তৃণমূলের পক্ষ নিয়েই মুখ খুলছেন কয়েকবার।
শুধু ত্রিপুরাতে নয়,বঙ্গের বাম নেতারাও স্পস্ট করে বলে দিয়েছেন, বিজেপিকে আটকাতে তারা তৃণমূলের সঙ্গেও হাত মেলাতে পারেন।দলীয় নেতৃত্বের এই বার্তা রাজনৈতিক ভাবে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ন।কারণ নেতাদের এই সমস্ত বক্তব্য থেকে লড়াইয়ের রসদ পাবে দলীয় কর্মী-সমর্থকরা।তাই আগামী ভোটে বামেরাও নিজেদের শক্তির জানান দেওয়ার জন্য যে সব রকমের চেষ্টা চালাবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।