ডেস্ক রিপোর্টার,২৪মে।।
রাজ্যের গোমতী জেলার ‘অমরপুর’ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার রাজনৈতিক জীবনের টার্নিং পয়েন্ট।
২০১৮-র নির্বাচনের আগে বীরগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে অমরপুর থেকেই বাম উৎখাতের ডাক দিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপি’র পোস্টার বয় বিপ্লব কুমার দেব। বীরগঞ্জের উপ-ভোটেই বামেদের বিদায়ের বাঁশি বাজিয়ে দিয়েছিলেন বিপ্লব।
সোমবার অমরপুর থেকেই ফের ২৩-এ বিজেপি সরকার গঠনের ডাক দিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন অমরপুরে জনসভা করেন তিনি। জনসমাগম ছিলো রেকর্ড সংখ্যক। একই সঙ্গে অমরপুরে আবারও প্রমাণিত হলো বিপ্লব কুমার দেবের জনপ্রিয়তার গভীরতা।
অমরপুর জনসভায় দাঁড়িয়ে বিপ্লব কুমার দেব ১৮-র মহারণের স্মৃতি রোমন্থন করে বলেন,
“রাজনীতির অঙ্গনে অমরপুরের মানুষই প্রথম আমাকে পরিচিতি দিয়েছেন। আপনাদের এই আস্থার প্রতি আমি চির কৃতজ্ঞ। রাজ্যের ব্যক্তিত্ববান মানুষেরাই সাধারণের মধ্যে থেকে ভাগ্য নির্ণায়ক রূপে আমার ওপর গুরু দায়িত্ব ন্যস্ত করেছিলেন। এই কারণে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মিলিত প্রয়াসে সমস্ত প্রকল্পের সুফল অন্তিম ব্যক্তি পর্যন্ত পৌঁছে দিতে আমরা সংকল্পবদ্ধ। মায়া কান্না করে, কৃষি থেকে শুরু করে সার্বিক বিকাশে ব্যর্থরাই ফের রাজ্যবাসীকে বিভ্রান্ত করতে উদগ্রীব।”
রাজ্যের জনজাতিদের উন্নয়ন উন্নয়ন প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শুধু মাত্র স্বপ্ন দেখানোই নয়, জনজাতিদের আর্থ সামাজিক জীবনমান বিকাশের মাধ্যমে সেই স্বপ্নের বাস্তবিক রূপায়নের দ্বারা অর্থনৈতিক অস্বচ্ছলতা চিরতরে দূরীকরণের অন্যতম কান্ডারী প্রধানমন্ত্রী ।জনজাতি কল্যাণে মোদীর আন্তরিক দৃষ্টির ফলশ্রুতিতে সর্বাঙ্গীন উন্নয়নে ১৩০০ কোটির আর্থিক প্যাকেজ, জনজাতি অধ্যুষিত এলাকায় একলব্য বিদ্যালয় সহ সমস্ত পরিষেবা ও প্রকল্পের সম বিকেন্দ্রীকরণ বাস্তবায়িত হচ্ছে ।কেন্দ্র-রাজ্য উভয় সরকার জনজাতিদের আস্থার প্রতি যথার্থ সম্মাননা স্বরূপ, সার্বিক বিকাশে অঙ্গীকারবদ্ধ ভাবে নিয়োজিত ।আজ কিল্লা ব্লকের অধীন বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের সাথে মত বিনিময়ের সুযোগ গ্রহণ করি।
এদিনের সভায় ফের রাজ্যের নারী শক্তির উন্মেষের কথাও বলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি রাজ্যের মানুষকে আশ্বস্ত করে বলেন, ২৩-র বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি পুনরায় রাজ্যের ক্ষমতায় আসছে। এবং ১৮-র তুলনায় আরো বেশী সংখ্যক আসন নিয়ে। বিজেপি সরকারই যে রাজ্যের উন্নয়নের মূল চালিক শক্তি তাও আবার জনসম্মুখে স্পস্ট করে দেন বিপ্লব কুমার দেব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *