ডেস্ক রিপোর্টার, ২রা আগষ্ট।।
রাজধানী সহ জেলা ও মহকুমা শহরগুলির অপরাধ কমানোর জন্য ঘটা করে রাজ্যে চালু হয়েছিল বিট পেট্রোল। পুলিশী ভাষায় যাকে বলা হয় বিট পুলিশ। গত কয়েক বছর আগে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব রাজধানীর স্বামী বিবেকানন্দ স্টেডিয়ামে বিট পেট্রোলের উদ্বোধন করেছিলেন। চুরি,ছিনতাই, রাহাজানি কমানোর জন্য বিট পেট্রোল বা বিট পুলিশ চালু করেছিল আরক্ষা প্রশাসন। কিন্তু অবাক করার মত বিষয় এই বিট পুলিশকে এখন খুঁজে পাওয়া যায় না শহরের আনাচে-কানাচে। তবে শহরে কালে ভদ্রে বিট পুলিশকে দেখা গেলেও জেলা ও মহকুমা গুলিতে তাদের অস্তিত্ব প্রায় বিপন্ন। স্বাভাবিক ভাবেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে চাপ বাড়ছে থানা পুলিশের উপর। কিন্তু তাদের সংখ্যা কম হওয়াতে অপরাধ ঠেকাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে পুলিশকে। কারণ নেতা-মন্ত্রীদের কনভয়ের পিছু ছুটতে ছুটতেই দিন ফুরিয়ে যাচ্ছে তাদের। বিট পুলিশ কর্মীদেরকে পক্ষে আলাদা করে অপরাধীদের ঠেকানো সম্ভব হচ্ছে না।থানা পুলিশকে রিলিফ দেওয়ার জন্যই চালু করা হয়েছিল বিট পেট্রোল । থানার ওসির নেতৃত্বেই বিট পেট্রোল পরিচালিত হয়ে থাকতো। কিন্তু কিছুদিন বিট পুলিশ নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করলেও তারপরেই থুবড়ে পড়ে মুখ। তার পেছনে অবশ্যই বহু কারণ রয়েছে।
থানা স্তরের পুলিশের দাবি, প্রতিটি থানাতে বিট পেট্রোল পরিচালনার জন্য দুটি করে মোটর বাইক দেওয়া হয়েছিলো।ব্যাস ভালো, কিন্তু বিট পেট্রোলের জন্য আলাদা করে কোনো কনস্টেবলকে থানায় দেওয়া হয়নি। এই কারণেই প্রতিটি থানার বর্তমান স্টাফ থেকেই দু তিনজন কনস্টেবলকে পৃথক করে তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিলো বিট পেট্রোলের। আবার থানার নানান কাজেও তাদের ব্যবহার করতে হয়। এর ফলে এই সমস্ত পুলিশ কর্মীদের বিট পেট্রোলের ডিউটি এবং থানার ভেতরের ডিউটি দুটোই করতে হচ্ছে। আর তাতেই গতি হারিয়ে ফেলেছে আরক্ষা প্রশাসনের স্বপ্নের বিট পুলিশ। বিট পুলিশকে যে উদ্দেশ্যে তৈরি করেছিল আরক্ষা প্রশাসন, আক্ষরিক অর্থে সেই উদ্দেশ্যের কোনরকম সাফল্য আসেনি।এই কারণেই রাজ্যের সর্বত্র ধুঁকছে পুলিশের বিট পেট্রোল ।
সম্প্রতি রাজ্যে নতুন ডিজিপির দায়িত্বে নিয়েছেন আই পি এস অমিতাভ রঞ্জন। রাজ্য পুলিশের নতুন মহানির্দেশক অমিতাভ রঞ্জন কি ফের পুলিশের বিট পেট্রোলকে চাঙ্গা করবেন? নাকি অচিরেই স্বপ্নের বিট পুলিশ জায়গা করে নেবে রাজ্য পুলিশের ইতিহাসের পাতায় ? এই প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে জনমনে।