ডেস্ক রিপোর্টার,১৯ নভেম্বর।।
     সম্প্রতি  ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ-র) অভিযানের পর আন্তর্জাতিক মানব পাচার বাণিজ্যের মানচিত্রে আনুষ্ঠানিক ভাবে জায়গা করে নিয়েছে “ত্রিপুরা”। প্রথম ধাপে এনআইএ রাজ্য থেকে ২১জনকে গ্রেফতার করেছে। সিপাহীজলা জেলা ও দক্ষিন জেলার নাম উঠে এসেছে মানব পাচারের মৃগয়া ক্ষেত্র হিসেবে। কিন্তু প্রচারের আলোর বাইরে চলে গিয়েছে পশ্চিম জেলার আমতলী থানা এলাকা। আমতলীর থানার সীমান্তবর্তী গ্রাম মতিনগর মানব পাচারের অতিস্পর্শ কাতর জোন হয়ে উঠেছে। এনআইএ- র দেওয়া তথ্য থেকে তা জলের মতো পরিষ্কার।


গত ৮ নভেম্বর এনআইএ আমতলী থানা এলাকা থেকে মোট পাঁচজন মানব পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছিল।তাদের মধ্যে তিনজন সীমান্ত গ্রাম মতিনগরের বাসিন্দা। বাদবাকি দুইজনের মধ্যে একজন আমতলী থানার চারিপাড়ার শিবনগর ও  একজন মধুপুরের বাসিন্দা। মধুপুরের এই অংশটি আমতলী থানার অন্তর্ভুক্ত। এন আই এ – তালিকা অনুযায়ী, আমতলী থানার মতিনগর থেকে ধৃতরা হলো  মঙ্গল বিশ্বাস,মিনারা বেগম ও হান্নান মিয়া
এরা প্রত্যেকেই সীমান্তবর্তী মতিনগর গ্রামের বাসিন্দা। চারিপাড়া শিবনগর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল পাপন সরকারকে এবং মধুপুর থেকে দিপ্তনু ওরফে পল্টুকে।


কেন্দ্রীয় গোয়েন্দার তথ্য বলছে ,পুলিশ ও সীমান্ত রক্ষী বাহিনী দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে আমতলীর মতিনগর গ্রামে নানান সীমান্ত অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।মতিনগর অঞ্চল দিয়ে চুটিয়ে চলছে পারাপারের বাণিজ্য। প্রায় প্রতিনিয়ত মতিনগর সীমান্ত দিয়ে এপার থেকে গাঁজা, ফেনসিডিল পৌঁছে যাচ্ছে ওপার বাংলায়।একইভাবে ওপার থেকে সীমান্ত ডিঙিয়ে রোহিঙ্গা সহ বাংলাদেশের নাগরিকরা প্রবেশ করছে।  দালাল চক্রের মাধ্যমে তারা আসছে এপারে । এপারে চক্রের চাইরা মতিনগর গ্রাম বাসা বাধে।পাচারের উদ্দেশ্যে  আনা ওপারের লোকজনকে চাইরা তাদের বাড়িতেই রেখে দেয় অতিথি হিসেবে। সেখান থেকে ধাপে ধাপে রেল ও সড়ক পথের মাধ্যমে তাদেরকে পাচার করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।


গোয়েন্দার  আতশ কাচের নিচে থাকা তথ্য বলছে, রাজ্যে সীমান্ত অপরাধের স্পর্শকাতর অঞ্চলগুলির মধ্যে মতিনগর অন্যতম। এই সীমান্ত গ্রামে বসেই আন্তর্জাতিক অপরাধ চক্রের কুশীলবরা তাদের নেট ওয়ার্ক পরিচালনা করে যাচ্ছে।


কিন্তু কোনো এক রহস্য জনক কারণে স্থানীয় পুলিশ ও সীমান্তে কর্তব্যরত বিএসএফ নিশ্চুপ। মতিনগর থেকে ধৃত তিন মানব পাচারকারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এন আই এ আরোও কয়েকজনের জানতে পেরেছে। খুব শীঘ্রই আন্তর্জাতিক অপরাধের সঙ্গে জড়িত এই গ্রামের বাদবাকি সদস্যদের গ্রেফতার করার জন্য রাজ্যে দ্বিতীয় দফায় জাল বিস্তার করবে
ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *