ডেস্ক রিপোর্টার, ১৭ আগষ্ট।।
প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের অশান্তির আগুন ক্রমশ দাবানলের রূপ নিচ্ছে।শুরু হয়ে গেছে নেতাদের মধ্যে কাদা ছুড়াছুড়ি।চলছে দোষারোপের পাল্লা। মূলত সদ্য সমাপ্ত চার বিধানসভা কেন্দ্রের উপ নির্বাচনের পর তৃণমূল নেতাদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে মতানৈক্য।এই মুহূর্তে তৃণমূল কংগ্রেসের বড় অংশের নেতা কর্মীরা রাজ্য সভাপতি সুবল ভৌমিককের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে শুরু করেছে।তার পেছনেও কারণ আছে। উপভোটের খারাপ ফলাফলের কারণে সুবল ভৌমিক দলের সভাপতির পদ ছাড়তে পারেন বলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে তৃণমূলীদের মধ্যে। স্বাভাবিক ভাবেই তৃণমূল কংগ্রেসের কয়েকজন নেতা প্রদেশ সভাপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন।তার জন্যই এই অংশের নেতাদের একাংশ সুবল ভৌমিকে। পচানোর শুরু করে দিয়েছে।
প্রদেশ তৃণমূল সুত্রের খবর, এই মুহূর্তে দলের মধ্যে সুবল ভৌমিকের সমান্তরাল গ্রুপ তৈরি করার জন্য পরিকল্পনা নিয়েছেন তৃণমূলের মহিলা নেত্রী পান্না দেব। ইতিমধ্যেই পান্না দেব তার মতো করে একটি গ্রুপ তৈরীর প্রয়াস শুরু করেছেন। তারা সুবল ভৌমিকের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগের কথা প্রকাশ্যে নিয়ে আসছে। তৃণমূল শিবিরের গুঞ্জন, সদ্য সমাপ্ত উপনির্বাচনে আগরতলা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী পান্না দেবের কাছ থেকে সুবল ভৌমিক পাঁচ লক্ষ্ টাকা নিয়েছেন। অর্থাৎ নির্বাচনের সময় খরচের জন্য প্রার্থী পান্নাকে ১২লক্ষ্ টাকা দেওয়া হয়েছিলো।এই টাকা থেকেই সুবল ভৌমিক নাকি পাঁচ লাখ টাকা নিয়েছেন।
সুবল অনুগামীদের বক্তব্য, সুবল ভূমিকের বিরুদ্ধে পান্না দেব নিজেই নানান জায়গায় এই সংক্রান্ত কথা বলতে শুরু করেছে এইসব কথা বলে সুবল ভৌমিকে কালিমা লিপ্ত করতে চাইছে। পান্না দেব যে সুবল ভৌমিকের বিরুদ্ধে এই সমস্ত কথা প্রচার করছে সেই সম্পর্কে সুবলও ওয়াকিবহাল।
খবর অনুযায়ী, সুবল ভৌমিক এই সব কথবার্তা শুনে পান্না দেবকে ডেকে এনেছিলেন। তখন তার চেম্বারে সেখানে ছিলো দলের অন্যান্যরা। তখন পান্না দেব নাকি একথা অস্বীকার করেন।এবং ভেঙ্গে পড়েন কান্নায়। সুবল ভৌমিক আক্ষেপ করে বলেছেন,”আমি পান্নাকে দলের মহিলা সংগঠনের সভা নেত্রী বানিয়েছি। অথচ তার সঙ্গে একজন কর্মী সমর্থকও নেই। এই সমস্ত লোক দিয়ে কিভাবে চলবে সংগঠন?”।
নিন্দুকরা বলছেন, তার জন্য দায়ী সুবল ভৌমিক।কেনো না দলের মধ্যে আরো উপযুক্ত মহিলা নেত্রী থাকা সত্ত্বেও জনবর্জিত(!) পান্না দেবকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। তার ফল অবশ্যই ভুগতে হচ্ছে সুবল ভৌমিককে। আগামী দিনে সুবল ভৌমিককে আরো কিছু দেখতে হবে বলেই মন্তব্য করেছেন রাজনীতিকরা।কারণ যোগ্যদের দূরে সরিয়ে অযোগ্যদের মঞ্চ দিয়েছে তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *