প্রদীপ চক্রবর্ত্তী (সভাপতি, পিপলস্ কংগ্রেস)

ডেস্ক রিপোর্টার,৭নভেম্বর।
    আতঙ্ক গ্রস্থ এলাকার মানুষ। জ্বলছে বাড়ি ঘর। জ্বলছে গাড়ি। রাত বিরাতেই দুষ্কৃতীদের আস্ফালনে বাড়ি থেকে বের হওয়ার দুঃসাহস করছে সাধারণ মানুষ। রীতি মতো অজানা ভয়ের বেড়াজালে অনিদ্রায় রাত কাটাচ্ছে নগরের মানুষ। ঘটনা শহর সংলগ্ন দুর্জয় নগর এলাকায়। গোটা অঞ্চলটি এখন চিনেপুটি রাজনৈতিক মাফিয়া প্রদীপ চক্রবর্তীর অপরাধের দুর্জয় ঘাঁটি হয়ে উঠেছে। অথচ শহরের এনসিসি থানার ওসি সুশান্ত দেব দেখছেন তামসা। প্রদীপ চক্রবর্তীর হয়ে টাকার বিনিময়ে খাটছেন নানান ফরমায়েশ। কোথায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী? কোথায় রাজ্য পুলিশের ডিজিপি? তারা কি ঠাহর করতে পারছেন না এনসিসি থানার পুলিশের বেলেল্লাপনা এবং জন বিচ্ছিন্ন রাজনৈতিক দল পিপলস কংগ্রেসের সভাপতি প্রদীপ চক্রবর্তীর অপরাধের ক্যানভাস? প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয় লোকজন। প্রদীপ আতঙ্ক থেকে বাঁচতে তারা এখন মুখ্যমন্ত্রীর শরণাপন্ন।

দুর্জয়নগরে প্রদীপের আগুনে ঝলসে গিয়েছে গাড়ি।

*নাম: প্রদীপ চক্রবর্তী

*বাড়ি: দুর্জয় নগর

*থানা: এনসিসি

*বিধানসভা: বড়জলা

*পেশা: রাজনীতি

*অতিরিক্ত পেশা: জমি ব্যবসা

*সামাজিক পরিচয়: ভেকধারী সমাজসেবী

*রাজনৈতিক দল: পিপলস কংগ্রেস

*পদ: স্ব-ঘোষিত সভাপতি

*রাজনৈতিক ব্যবসা: নির্বাচনে এজেন্ট বিক্রি

*জনতার স্বীকৃত নাম: জমি দস্যু

প্রদীপের রোষ থেকে বাঁচতে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে প্রমিলাদের অর্জি।

মহামান্য প্রদীপ চক্রবর্ত্তী কে?তিনি কি ব্যবসা করেন?তার উপার্জনের পথ কি? কিন্তু এই সমস্ত পথে উপার্জন করতে গিয়ে জন বিচ্ছিন্ন রাজনৈতিক দল পিপলস কংগ্রেসের স্ব-ঘোষিত সভাপতি প্রদীপ চক্রবর্তী কিভাবে অপরাধ জগতে তার কালো হাত বিস্তার করেছেন? তার কাছে গুরুত্বহীন আগরতলা পুর নিগমের স্থানীয় কর্পোরেটর ও শাসক দল বিজেপির বড়জলা মণ্ডলের মণ্ডল সভাপতি। তাহলে প্রদীপের পেছনে কারা মদত জুগিয়ে চলছে? পর্দার অন্তরাল থেকে? এই তথ্যও উদঘাটন করবে “জনতার মশাল”।

বিজ্ঞাপণ।

দুর্জয় নগর এলাকায় শনি মন্দির সংলগ্ন একটি রাস্তা নির্মাণ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে ঝামেলার সূত্রপাত প্রদীপ চক্রবর্তীর। রাস্তাটি সংস্কারের জন্য রাজ্য সরকার অর্থ মঞ্জুর করে।হয়েছে টেন্ডার।কাজ বুঝে নিয়েছেন ঠিকাদার।তিনি হাতে পেয়েছেন ওয়ার্ক অর্ডার। আর তাতেই তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেছেন ভেকদারি সমাজসেবী প্রদীপ চক্রবর্তী। এই রাস্তা গিয়েছে তার বাড়ির পাশ দিয়ে।তিনি রাস্তা সংস্কার করতে দেবেন না। এলাকার যারাই রাস্তা সংস্কার করতে আসে তাদের উপর রাতের অন্ধকারে নেমে আসে আক্রমণ। এলাকার বাসিন্দা স্বপন দেবনাথ।তিনি জমি মাফিয়া প্রদীপের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। তাই রবিবার রাতে আঁধারে স্বপন দেবনাথের গাড়ি পুড়িয়ে দেয় প্রদীপের  গুন্ডা বাহিনী।তার চার অনুগামী রঞ্জিত বিশ্বাস, রাজেশ দেবনাথ,রাকেশ দেবনাথ ও সুবল সাহার বিরুদ্ধে আঙ্গুল তুলছেন স্থানীয় লোকজন।


দুর্জয় নগরের বাসিন্দারা প্রদীপ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে এনসিসি থানায় মামলা দায়ের করেছিল।কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয় নি।জল থানা পুলিশে গড়ালেও কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই প্রদীপ চক্রবর্তীর। বরং বাসিন্দাদের মেরে ফেলার হুমকি দেন।  বলছেন, স্থানীয় যুবক,তাও আবার এনসিসি থানায় দাড়িয়ে।
আক্ষেপ করে প্রতিবাদী যুবক বলেন, প্রদীপ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে যারা থানায় মামলা করেছেন, পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করেছে।অথচ অভিযুক্ত জমি মাফিয়া প্রদীপ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয় নি।
   দুর্জয় নগরের প্রতিবাদী যুবকের বক্তব্য, পুলিশের ভূমিকা দেখে মনে হয়, জমি মাফিয়া প্রদীপের টাকার নিচে মানুষের জীবন গুরুত্বহীন। প্রদীপ প্রায়শই হুমকির সুরে বলে থাকেন, টাকা দিয়ে সব কিনে নেবেন।বর্তমানে এনসিসি থানার ভূমিকা থেকে প্রদীপ চক্রবর্তীর কথাই প্রমাণিত হয়েছে।


দুর্জয় নগরের স্থানীয় লোকজনের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট প্রদীপ চক্রবর্তী পুলিশ প্রশাসনকে ম্যানেজ করে নিয়েছেন। গোটা এলাকার মানুষের অভিযোগের পরও এনসিসি থানা কর্তৃপক্ষ অনৈতিক ভাবে প্রদীপকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে। প্রদীপ গুরুত্ব দিচ্ছেন না বড়জলা মণ্ডল সভাপতি ও স্থানীয় কর্পোরেটরকে।তাহলে কি শাসক দলের ক্ষমতাশালী কোনো লবি সাহস জুগিয়ে চলছে প্রদীপ চক্রবর্তীকে? সে তো একটি জন বিচ্ছিন্ন চুনুপুটি রাজনৈতিক দলের স্ব-ঘোষিত নেতা। এখন কোথায় বড়জলা কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক চিকিৎসক দিলীপ দাস! তিনি তো অঘোষিত ভাবে এলাকার অভিভাবক। দায় এড়াতে পারবেন না বড়জলা কেন্দ্রের বর্তমান বিধায়ক তথা সিপিআইএম নেতা সুদীপ সরকারও।

বর্তমান ও প্রাক্তন বিধায়ক (বড়জলা কেন্দ্র)

গোটা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করলে স্পষ্ট, ভেকধারী সমাজসেবী প্রদীপ চক্রবর্তী উন্নয়ন বিরোধী।দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী,রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডা মানিক সাহা, আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার সহ রাজ্য সরকার উন্নয়নের ফেরিওয়ালা।
তাদের কাছে উন্নয়নই শেষ কথা।


তা সত্বেও বিজেপি শাসিত রাজ্যের রাজধানী তথা স্বপ্নের স্মার্ট সিটিতে কিভাবে উন্নয়ন বিরোধী কার্যকলাপ করে মানুষকে বিষিয়ে তুলছেন জমি মাফিয়া প্রদীপ চক্রবর্তী? তার কি কোনো বিহিত করবেন না রাজ্যের অভিভাবক নিষ্কলুষ মুখ্যমন্ত্রী ডা মানিক সাহা? দুর্জয় নগরের প্রতিবাদী কন্ঠগুলি তাকিয়ে আছেন রাজ্যের অভিভাবকের দিকে।করছেন অপেক্ষা।তারাও দেখে নেবেন, শেষ পর্যন্ত প্রদীপ চক্রবর্তীর দৌঁড় কোথায় গিয়ে থমকে দাঁড়ায়?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *