ডেস্ক রিপোর্টার, ১৩জানুয়ারী।।
                   যুব দিবসেও(শুক্রবার)  ঊষা বাজারে ছিলো ক্ষমতা দখলের লড়াই। তবে যারা গোটা ঊষা বাজার জুড়ে নেশার আড়ৎ খুলে বসেছিল, তারাই এখন নেশা বিরোধী অভিযানে নেমেছে। স্থানীয় সমাজ সমাজদ্রোহী তথা নিগোসিয়েশন কারবারী রাজু বর্মনের নেতৃত্বে  ঊষা বাজারে হয়েছে নেশা বিরোধী মিছিল। অভিযোগ, রাজু বর্মনই এখন ঊষাবাজারের নেশা কারবারের টাইকুন। অথচ রাজুর নেতৃত্বেই নেশার বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছে স্থানীয় ক্লাব কর্ম কর্তারা। সঙ্গে কিছু লোকজন।যাদেরকে টাকা দিয়ে রাস্তায় নামানো হয়েছে।


ঊষা বাজারের কান পাতলেই শোনা যায়, রাজু বর্মনের নেতৃত্বেই স্থানীয় ভারত রত্ন সংঘের মাঠেই নেশা সামগ্রী বোঝাই লরি আনলোড হয়ে থাকে। এটা অবশ্যই ক্লাব কর্তাদের জ্ঞাত সারেই।বিনিময়ে নাকি ক্লাব কর্তা প্রদ্যুৎ বাবুও পেয়ে থাকেন টু – পাইস। অর্থাৎ গোটা ক্লাবের প্রাঙ্গণকেই নেশা কারবারের মজুত ভান্ডার হিসাবে ব্যবহার করছে রাজু বর্মন ও তার সাগরেদরা। রাজুর বাহুবল, অস্ত্রবলের কারণে সবার মুখে কুলুপ। রাজুর টাকার মোহে আচ্ছন্ন এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ ও ক্লাবের দন্ডমুণ্ডের কর্তারা। রাজুর গ্রুপের নতুন সংযোজন অমিত ঘোষ। তাই ভয়ে কেউ মুখ খুলতে চাইছে না।

।।একই ফ্রেমে ঊষা বাজারের মাদক কারবারের থাপ্পলদারারা ।।

সম্প্রতি ঊষা বাজার এলাকা থেকে পুলিশ নেশা জাতীয় কফ সিরাপ বোঝাই একটি লরি আটক করেছিল। উদ্ধার করা হয়েছিল অর্ধ কোটি টাকার কফ সিরাপ। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল বামুটিয়ার নেশা কারবারী বিশুকে। বিশু সমাজদ্রোহী রাজু বর্মনের মাদক কারবারের পার্টনার। এই মামলায় পুলিশ গ্রেফতার করেছিল রাজু বর্মনের গাড়ির চালক রঞ্জিত বিনকে। এরা দুইজন বর্তমানে আছে জেল হাজতে। গোটা ঊষা বাজারে এই ঘটনা ওপেন সিক্রেট। কিন্তূ রহস্য জনক ভাবে রাজু ও তার অপর পার্টনার প্রভাকর ঘোষ পুলিশের ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে যায়। তারা নিজেদের ঝামেলা থেকে ক্লিন টিট পাওয়ার জন্য খরচ করে মোটা অঙ্কের অর্থ।


অবাক করার মতো বিষয় বিশ্ব যুব দিবসে এরাই “নেশা মুক্ত ত্রিপুরা” স্লোগানকে সামনে রেখে ঊষা বাজারে বের করেছে মিছিল। স্থানীয় লোকজন তাদের কার্যকলাপ সম্পর্ককে ওয়াকিবহাল।
             


তাই ভারত রত্ন সংঘ এলাকার বড় অংশের লোকজনকে তারা পাশে পায় নি। ছিলো না কোনো রাজনৈতিক নেতা। বরং রাজুর প্রতিপক্ষ গোষ্ঠী নিজেদের অবস্থান বুঝাতে চলে যায় স্থানীয় লীলাজ্যোতি আশ্রমে। সেখান গিয়ে তারা বস্ত্র, খাদ্য ও খেলার সামগ্রী প্রদান করে।
           
             


এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন বড়জলা কেন্দ্রের প্রাক্তণ বিধায়ক দিলীপ দাস। এই দলের নেতৃত্বে ছিলো স্থানীয় যুবক ভিকি। পরিশেষে বলতে হয়, ঊষা বাজারের সিপিডব্লিউ- র দখলদারী নিয়েই মূল লড়াই।
           

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *