ডেস্ক রিপোর্টার, ১২জানুয়ারী।।
সম্প্রতি হর্ন বিল উৎসব কেন্দ্র করে তেলিয়ামুড়া বন দপ্তরের হল ঘরে অনুষ্ঠিত হয়েছে বৈঠক। নির্ধারণ করা হয়েছে উৎসবের রোড ম্যাপ।
স্থানীয় বিধায়িকা থেকে শুরু করে বন দপ্তরের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। গত বছর হর্ন বিল উৎসবে সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। সংবাদ মাধ্যমে বিজ্ঞাপণ নিয়ে ঘটেছিলো কেলোর কীর্তি। বাতাসে উড়েছিলো কাচা নোট। রীতিমত উৎসবের নামে বেলেল্লাপনা হয়েছিলো তেলিয়ামুড়া বন দপ্তরের। ২৪- র হর্ন বিল উৎসবেও ফের দুর্নীতির গন্ধ বেরিয়ে আসার আশঙ্কা!


শেষ বছর হর্ন বিল উৎসবের বাজেট ছিল প্রায় ১৫লক্ষ টাকা। কিন্তু উৎসবের চেহারা দেখে কখনো মনে হয়নি এতো টাকার বাজেট ছিলো। গোটা হর্ন বিল উৎসব ছিলো ছন্নহীন । এবারের উৎসবের বৈঠকেও শেষ বারের দুর্নীতির বিষয়গুলি উঠে এসেছিলো। কিন্তু গতবারের দুর্নীতি থেকে কর্তৃপক্ষ যে শিক্ষা নেই নি, এবারের বৈঠকে তা জলের মতো স্পস্ট হয়ে গিয়েছে।


খবর অনুযায়ী, এইবারের বৈঠকেও মাত্র রাজ্যের পাঁচটি মিডিয়াকে বিজ্ঞাপন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এই সিদ্ধান্ত মোতাবেক দেওয়া হবে বিজ্ঞাপণ। প্রশ্ন হচ্ছে,তাহলে বিজ্ঞাপনের বাদবাকি টাকা কোথায় যাবে? প্রসঙ্গত তেলিয়ামুড়া বন দপ্তরে নিত্য দিন চলছে দুর্নীতি। হাতির আক্রমণ থেকে গ্রামবাসীদের বাঁচানোর জন্য নানান প্রজেক্টের লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে। বিনা টেন্ডারে পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে বরাত।
          


রীতিমতো হরির লুঠ চলছে বন দপ্তরে। অভিযোগের আঙুল উঠছে এসডিএফও সাবির দাসের দিকে। ডিএফও গোটা বিষয় নিয়ে নিশ্চুপ! দপ্তরের পদস্থ আধিকারিকরা রহস্য জনক ভাবে পালন করছে মৌনব্রত। এখন সামনেই আছে হর্ন বিল উৎসব। তাতে পোয়া বারো হয়ে উঠেছে বন দপ্তরের কর্ম কর্তাদের।তাদের হাত করছে নিশপিশ। কখন নতুন গন্ধে ভরা নোট গুলিকে রাখবেন নিজেদের বিশ্বস্ত পকেটে। কারণ হর্ন বিল উৎসব মানেই টাকার আদ্য শ্রাদ্ধ্। প্রচারের নামে টাকা উড়ে বাতাসে। কিন্তু বাস্তব অর্থে থাকেনা প্রচারের নাম-গন্ধ। তাই এবারও হর্ন বিল উৎসবের নামে উড়বে সরকারী টাকা। কিন্তু সবটাই  ফাঁকা আওয়াজ। সবটাই বিধায়িকা কল্যানী রায়ের নখেদর্পে।
      

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *