ডেস্ক রিপোর্টার, ৯ফেব্রুয়ারি।।
                  “নেশা মুক্ত ত্রিপুরা”- বিজেপি সরকারের এই স্লোগান ক্রমেই ফিকে করছে খোদ রজ্যের পুলিশ কর্মীরা। আরক্ষা প্রশাসনের প্রথম সারির অফিসারদের একাংশ এখনোও এলিট ক্লাসের নেশা কারবারীদের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলছেন। এবং তাদের কাছ থেকে পেয়ে থাকেন মোটা অঙ্কের অর্থ। এই কারণেই রাজ্যের মাদক কারবারের মাষ্টার মাইন্ডদের সঙ্গে এখনো “চোর – পুলিশ” খেলায় অভ্যস্থ হয়ে উঠেছেন এসপি থেকে ডিএসপি স্তরের কয়েকজন অফিসার। গুঞ্জন আরক্ষা প্রশাসনেই।
        মাদক কারবারের অন্দর মহলের তথ্য অনুযায়ী, এই মুহূর্তে রাজ্যের নেশা বাণিজ্যের পিন কিং দেবব্রত দেব ওরফে দেবু। তার বাড়ি শহরের বড়দোয়ালী যুবক সংঘ এলাকায়। দেবুর হাতেই রাজ্যের নেশা কারবারের রিমোট কন্ট্রোল। তার নেতৃত্বেই চলছে কারবার। রাজ্য পুলিশের কাছে এই সমস্ত তথ্য রয়েছে।তারপরও দেবব্রত ওরফে দেবু পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে।

।।রাজ্যের মাদক মাফিয়া দেবব্রত ওরফে দেবু।।

সম্প্রতি রাজ্য পুলিশের একজন এসপি(আইপিএস)স্তরের অফিসার গিয়েছিলেন দেবব্রত’ র কলকাতাস্থিত ঠেকে। সেখান থেকে তিনি ৩০ লক্ষ টাকা নিয়ে এসেছেন। রাজ্য পুলিশের এই এসপিকে খুশি করার জন্য এতো টাকা উপঢৌকন দিয়েছে বলে খবর।বিনিময়ে সোনামুড়া থেকে চোরাইবাড়ি সমস্ত রাস্তা পরিষ্কার করে দেবেন এসপি সাহেব। এই চুক্তির বিনিময়েই এসপি সাহেবকে দেবু দিয়েছে কচ কচে নোট। এর আগেও রাজ্য পুলিশের একজন ডিএসপি, তিন জন ইন্সপেক্টর, বিভিন্ন সময়ে দেবুর কলকাতাস্থিত বাড়িতে গিয়েছিলেন অতিথি হিসাবে। ফেরার সময় তারা সব কিছু বুঝে নিয়ে আসেন। তবে মাদক কারবারী দেবব্রত দেব ওরফে দেবুকে স্পর্শ করে নি পুলিশ।


দেবব্রত তার সঙ্গী বিশ্বজিৎ লস্কর ওরফে তেল বিশুকে নিয়ে রোজ নিয়ম করেই রাজ্য থেকে গাঁজা নিয়ে যাচ্ছে বহিঃ রাজ্যে। রাজ্য পুলিশ দেবুর পাচার করা গাঁজা ধরার সাহস করে না। কিন্তু চোরাইবাড়ি গেট পেরিয়ে গেলেই মাঝে মধ্যে অসম পুলিশের হাতে আটকে পড়ে দেবুর গাঁজার চালান।

।।বিশ্বজিৎ লস্কর ওরফে বিশু।।

পুলিশ সূত্রের খবর, দেবুর বিরুদ্ধে রাজ্যে ডজনখানেক মামলা রয়েছে। বিভিন্ন থানা সহ ক্রাইম ব্রঞ্চের কাছে। একই ভাবে নারকোটিক্স ব্যুরোর কাছেও ঝুলছে মামলা। তারপরও বছরের পর বছর পুলিশের রাডারের মধ্যে থেকেও নিরাপদ ডেরায় অবস্থান করছে দেবব্রত।। এই মুহূর্তে দেবু অসম ও পশ্চিম বাংলায় একাধিক ঠেক বানিয়েছে। এই সব ঠেকে অবস্থান করেই দেবু তার মাদক সম্রাজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। এই মুহূর্তে দেবুর নেশা কারবারের উপদেষ্টা রাজ্য পুলিশের এএসআই ধ্রুব মজুমদার। ধ্রুব জেল থেকে বেরিয়ে চাকরীতে ফের যোগ দিয়েছেন। গায়ে খাকি উর্দি জড়িয়েই ধ্রুব আগেও মতোই দেবব্রতর উপদেষ্টা হিসাবে কাজ করছেন দায়িত্ত্ব সহকারে। স্বাভাবিক ভাবেই মুখ্যমন্ত্রী সহ রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্যরা নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গড়ার স্বপ্ন দেখলেও,তাদের সেই স্বপ্নে বিষ ঢেলে দিচ্ছেন খোদ প্রথম সারির পুলিশ কর্মীরাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *