ডেস্ক রিপোর্টার,২৬ ডিসেম্বর।।
গাঁজার চাষের মৃগয়া ক্ষেত্র সোনামুড়া মহকুমা।এই সীমান্ত মহকুমার বিস্তৃন অঞ্চলে হয়ে থাকে গাঁজা চাষ। সংশ্লিষ্ট এলাকায় গাঁজা চাষ কুটির শিল্পের রূপ নিয়েছে বহু কাল ধরেই।মহকুমার বড় অংশের মানুষের উপার্জনের মূল রাস্তা গাঁজা চাষ।
সোনামুড়া মহকুমার সোনামুড়া থানা,যাত্রাপুর থানা, মেলাঘর থানা ও কলমচৌরা থানা এলাকায় গাঁজার রমরমা চাষ হয়ে থাকে।পুলিশ-বিএসএফ বিভিন্ন সময় অভিযান চালায়।পায় সাফল্যও। রবিবার সকালে কলমচৌরা থানা এলাকার বিস্তৃন টিলাভূমিতে পুলিশ-বিএসএফ যৌথ বাহিনী অভিযান চালায়। এলাকার ১০টি টিলা ভূমিতে দফায় দফায় ধারাবাহিক ভাবে টানা অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী।
যৌথ বাহিনীর দাবি,তারা সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রায় ১০হেক্টর জমিতে অভিযান চালিয়েছে। প্রতিটি টিলাভূমিতেই লাগানো হয়েছিলো গাঁজার চারা। যৌথ বাহিনীর অভিযানের টের পেয়ে লোকজন বেরিয়ে আসে বাড়ি ঘর থেকে।কান্নায় ভেঙে পড়েন মহিলা গাঁজা চাষীরা। তারা পুলিশের কাছে কাতর অনুরোধ জানায় গাঁজা গাছ না কাটার জন্য। কিন্তু পুলিশ-বিএসএফ তাদের কর্তব্য পালনের খাতিরে সমস্ত গাঁজার বাগানে থাকা গাছ কেটে দেয়।এবং পরে তা পুড়িয়ে দেয় আগুন দিয়ে।পুলিশের দাবি, ধ্বংস করা গাঁজা গাছের বাজার মূল্য প্রায় অর্ধ কোটি টাকা।
স্থানীয় সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে যৌথ বাহিনীকে দেখে তপ্ত হয়ে উঠেছিলো গ্রামবাসীরা।বকলমে তারাই গাঁজা চাষী।তবে যৌথ বাহিনীর রনংদেহি মনোভাব দেখে তারা পিছিয়ে যায়।পাশাপাশি পুলিশের পক্ষে কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।কারণ গাঁজা চাষের জমিগুলি ছিলো ফরেস্ট ল্যান্ড। কারা গাঁজা চাষের সঙ্গে জড়িত?পুলিশ তা জানলেও চাষীদের বিরুদ্ধে কোনো তথ্য প্রমাণ নেই তাদের কাছে।একারণেই পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেনি।
২০১৮-তে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব নেশা কারবারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। গোটা রাজ্যজুড়ে পুলিশ চালিয়ে ছিলো দফা ওয়ারী অভিযান।গ্রেফতার করা হয়েছিলো নেশা ব্যবসায়ী ও নেশা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত অরক্ষা কর্মীদের।তারপর বছর খানেক নেশা কারবারের রমরমা কিছুটা কম ছিলো।কিন্তু ইদানিংকালে নেশা কারবারী থেকে শুরু গাঁজা চাষীরা গোটা রাজ্যে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। পুলিশ-সীমান্ত রক্ষী বাহিনী নিয়মিত অভিযান চলালেও বন্ধ হচ্ছে না নেশা কারবার।গোটা রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি থেকে এই চিত্র পরিষ্কার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *