তেলিয়ামুড়া ডেস্ক,২৬ ডিসেম্বর।।
ভোট মানেই রাজনেতাদের ঢালাও প্রতিশ্রুতি। তখন মানুষের জন্য রাজনৈতিক নেতাদের দরদ উপচে পড়ে। কখনো তারা জনতার কষ্টে কাতর হয়ে ঝরান অশ্রুজল।কিন্তু ভোট শেষ হতেই রাজনৈতিক নেতাদের মায়াকান্নার ফাসুন স্পস্ট হয়ে যায়। ক্ষমতার আরাম কেদারায় বসে তারা ভুলে যান আমজনতার নিদারুণ কষ্টের কথা। রাজনেতা ও আমজনতার এই রকম দৃশ্য স্পস্ট ভাবে ফুটে উঠেছে আঠারোমুড়া এডিসি ভিলেজের ৪৫মাইল এলাকায়।
আঠারোমুড়া এডিসি ভিলেজের বাসিন্দা অবনী দেববর্মা। পেশায় বনের বাঁশ-ছন-লাকড়ি বিক্রেয়াতা। বনজ সম্পদ বিক্রি করে যা উপার্জন করে এটা দিয়েই চলে তার সংসার।স্বাভাবিক ভাবেই তার সংসারে অভাব,অনটন নিত্য দিনের সঙ্গী।পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা ছয় জন।আঠারোমুড়া এডিসি ভিলেজের ৪৬মাইল এলাকায় তার ছোট্ট কুঁড়ের ঘর।এই ঘরেই স্ত্রী,সন্তান-সন্তিদের নিয়ে কোনো রকমে দিন গুজরান করছেন অবনী দেববর্মা।
রাজ্যের এডিসি এলাকায় দীর্ঘ সময় ক্ষমতার অলিন্দে ছিলো সিপিআইএম।কিন্তু এখন তারা অতীত। এখন জনজাতি দরদের এজেন্ডাকে সামনে রেখে ক্ষমতায় এসেছে প্রদ্যুত এসেছে প্রদ্যুত কিশোরের তিপ্রামথা।কিন্তু কোথায় প্রদ্যুতের এডিসি প্রশাসন?
দিন দরিদ্র অবনী দেববর্মা জানান,তার মাথা গুঁজার জায়গা নেই।ছোট্ট কুঁড়ের ঘরে বসবাস করছেন তিনি।এই কুঁড়ের ঘরের বাঁশের বেড়াগুলোতে বড় বড় ফাঁক।যখন-তখন সাপ,বন্য বিড়াল সহ জন্তু-জানোয়ার প্রবেশ করতে পারবে। এই বিপদ সঙ্কুল অবস্থায় তিনি তার স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে জীবন যাপন করছেন।
অবাক করার মতো ঘটনা, হত দরিদ্র অবনী দেববর্মার কপালে আজও জুটেনি সরকারী ঘর। তার কথায়, বাড়িতে নেই বিদ্যুৎ।নেই লেট্রিন।অথচ এডিসিতে বামেরা থাকাকালীন প্রচুর গিরিবাসীদের ঘর দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করতেন বাম নেতৃত্ব।এখন এডিসির ক্ষমতায় প্রদ্যুত কিশোর।যিনি প্রতি মুহূর্তে জনজাতিদের জন্য মায়া কান্না কেঁদে থাকেন।প্রদ্যুতের এডিসি প্রশাসনের চোখেও পড়ে নি এই হত দরিদ্র অবনী দেববর্মাকে। গিরিবাসী অবনী জানিয়েছেন ,তার ভাগ্যে জুটে নি বিপিএল কার্ড। এপিএল কার্ডই তার ভরসা।তবে রাজ্য সরকারের দেওয়া রেশন সামগ্রী পাচ্ছেন তিনি। প্রদ্যুত কিশোরের এডিসি প্রশাসনের কাছে তার দাবি, স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে থাকার জন্য তার একটি ঘর।এবং বিপিএল কার্ড।
রাজনীতিকরা বলছেন, বাস্তব অর্থে এডিসির বর্তমান প্রশাসন ব্যর্থ জনজাতিদের দুঃখ গুছাতে।তিপ্রামথা গিরিবাসীদের উন্নয়নের ঢেঁকুর তুলে ক্ষমতায় এলেও তারা এখন ব্যস্ত নিজেদের ভোগ-বিলাস নিয়েই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *