
বিলোনিয়া ডেস্ক, ২৯জুন।।
পুলিশের কাছ থেকে গায়েব উদ্ধারকৃত গাঁজা।উদ্ধারকৃত গাঁজার পরিমাণ ৫০কেজি। বাজার মূল্য লক্ষাধিক টাকা।ঘটনা দক্ষিণ জেলার রাঙামুড়া ফাঁড়িতে।ঘুমে এসপি থেকে এসডিপিও।পকেট ভারী করছেন ওসি।
দক্ষিন জেলার পুরাতন রাজবাড়ী থানার অন্তর্গত রাঙামুড়া পুলিশ ফাঁড়ি। ফাঁড়ির বুক চিরে দাড়িয়ে আছে ভারত – বাংলাদেশ সীমান্তের কাটাতার। রাঙামুড়া ফাঁড়ির বাউন্ডারির বেড়া সীমান্তের কাঁটাতারের সঙ্গে টেনে দিয়েছে ভেদ রেখা।

রাঙামুড়া পুলিশ ফাঁড়ির এই ভৌগলিক অবস্থান সম্পর্কে ওয়াকিবহাল জেলা পুলিশের পদস্থ আধিকারিকরা। তারপরও কোনো এক অজ্ঞাত কারণে উদাসীন পুলিশের শীর্ষ কর্তারা। ফাঁড়ির এই ভৌগলিক অবস্থান হলে বড় বাবু থেকে মেঝ বাবু ও ছোট বাবুদের পকেট কেমন থাকবে? এটা নিশ্চয়ই বলার অপেক্ষা রাখে না।

*নাম: আশুতোষ শর্মা
*পদ: ওসি, রাঙ্গামুড়া ফাঁড়ি।(এসআই)
*নাম: বিমল ভৌমিক
*পদ: এএসআই


নাম: রবীন্দ্র দাস
পদ: এএসআই
নাম: আপন উচুই
পদ: কনস্টেবল
ফাঁড়ির পদ: কোষাধক্ষ্য

দক্ষিণ জেলা পুলিশের খবর অনুযায়ী, রাঙ্গামুড়া ফাঁড়িতে ওসি সহ তিনজন অফিসার এবং চারজন কনস্টেবল আছেন। নিঃসন্দেহে গোটা থানার বস ওসি আশুতোষ শর্মা। অভিযোগ, ওসি আশুতোষ শর্মার অঙ্গুলি হেলনে গোটা অঞ্চলের নেশা কারবারীদের কাছ থেকে তোলা আদায় করে থাকে পুলিশ কর্মীরা। রাঙামুড়া অঞ্চলটি বাংলাদেশ সীমান্তে হওয়াতে পাচার বাণিজ্য নিয়েছে কুটির শিল্পের রূপ।প্রতি ঘরে ঘরের লোকজন পাচার বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত। সব তথ্যই আছে ফাঁড়ির ওসি আশুতোষ শর্মার নখ- দর্পে।

খবর অনুযায়ী, সোমবার রাতে প্রাপ্ত খবরের ভিত্তিতে ফাঁড়ির কনস্টেবল আপন উচুঁই তার দুই সহকর্মিকে নিয়ে সীমান্ত লাগোয়া জঙ্গলে হানা দেয়। সেখান থেকে উদ্ধার করে একটি গাঁজার প্যাকেট। তাতে ছিলো পঞ্চাশ কেজি গাঁজা। উদ্ধারকৃত গাঁজার মালিক স্থানীয় বাসিন্দা খালেক মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়া। অভিযোগ, কনস্টেবল আপন উচুই গাঁজা উদ্ধার করে নিয়ে আসে। এবং গোপন ডেরায় বসে কারবারীর সঙ্গে সমঝোতা করে।প্রায় লাখ টাকার বিনিময়ে কনস্টেবল আপন উচুই উদ্ধারকৃত গাঁজা বিক্রি করে দেয় সোহেল মিয়ার কাছেই। পরে সে জানিয়ে দেয় গাঁজা গায়েব হয়ে গেছে।

অভিযোগ, ফাঁড়ির ওসি আশুতোষ শর্মার নির্দেশেই কনস্টেবল আপন উচুই গোটা নাটক মঞ্চস্থ করেছেন। এমন ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও ওসি আশুতোষ ও আপন নেশা কারবারীদের কাছ থেকে আদায় করেছিলেন তোলার টাকা। খুব পরিকল্পিত ভাবে উদ্ধারকৃত গাঁজা সিজ করেও বিক্রি করে দিয়েছেন কনস্টেবল আপন উঁচুই। আপনের এই স্ক্রিপ্ট রচনা করে দিয়েছেন খোদ ওসি আশুতোষ শর্মা।

রাঙামুড়া ফাঁড়ির ওসি আশুতোষ শর্মা ধারাবাহিক ভাবে কনস্টেবল আপন উচুঁইকে অপরাধ সংঘটিত করলেও জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্তারা মুখে কুলুপ এঁটে রেখেছেন। কি করছেন দক্ষিণ জেলার পুলিশ সুপার কুলবন্ত সিং? বিলোনিয়ার এসডিপিও এবং পুরাতন রাজবাড়ী থানার ওসি কোথায়? তারা সবাই এখন আঙ্গুল চুষছেন। আর ওসি আশুতোষ শর্মার নেতৃত্বে রাঙামুড়া অঞ্চলে খোদ পুলিশ প্রতি মুহূর্তে আমন্ত্রণ করছে অপরাধ ও অপরাধীদেরকে।

গত কয়েকমাস আগেই ওসি আশুতোষ শর্মা বদলি হয়েছিলেন খোয়াই জেলায়।কিন্তু তিনি যান নি।কারণ রাঙামুড়ার মধুর ভান্ড বিনা আশুতোষের যে মন বসছে না। তাই রাঙামুড়াতেই ওসি আশুতোষ তার মৌসূরী পাট্টা জাকিয়ে বসেছে।

অভিযোগ,অপরাধী ও নির্দোষ মানুষের পকেট কাটা আশুতোষ শর্মার সহজাত বৈশিষ্ট্য। গত কয়েক বছর আগে আশুতোষের পোস্টিং ছিলো রাজধানীর পশ্চিম থানায়। তখন ওসির দায়িত্বে ছিলেন ইন্সপেক্টর সুব্রত চক্রবর্তী।

সুব্রত জামানায় রাজধানীর পশ্চিম থানা এলাকার তোলা আদায়ের মূল দায়িত্বে ছিলেন আশুতোষ শর্মা। নিরপরাধ একজন ভদ্র লোকের গাড়ি হাফিজ করার পরিকল্পনা নিয়েছিলেন আশুতোষ।যদিও শেষ পর্যন্ত এই খবর প্রকাশ্যে চলে আসার ভেস্তে গিয়েছিল তোলাবাজ পুলিশ আধিকারিক আশুতোষ শর্মার সমস্ত পরিকল্পনা। আশুতোষ শর্মা যে পুরানো খেলোয়াড় তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।