ডেস্ক রিপোর্টার, ২৯জুলাই।।
               রাজ্য থেকে বাঁকা পথে পিআরটিসি হাতিয়ে নিচ্ছে বহিঃ রাজ্যের যুবকরা। এই পি আর টিসিকে হাতিয়ার করে ভিন রাজ্যের যুবক-যুবতীরা রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে ইন্টারভিউ দিচ্ছে। এবং বাগিয়ে নিচ্ছে চাকরি। তাতে পেটে আঘাত লাগছে রাজ্যে স্থায়ী ভাবে বসবাসকারী বেকার যুবক- যুবতীদের। বহিঃ রাজ্যের ছেলে মেয়েরা এই রাজ্যের ভূমি পুত্রদের ভাত কেড়ে নিচ্ছে। বহিঃ রাজ্যের যুবকরা কেন গণহারে টাকার বিনিময়ে পি আরটিসি হাতিয়ে নিচ্ছে?  প্রথম বিজেপি – আইপিএফটি জোট সরকারের জামানায় বহিঃ রাজ্যের যুবকরা বিনা পিআরটিসিতে সরকারী দপ্তরে ইন্টারভিউ দিতে পারতো। এখন তা সম্ভব নয়।

।।বিজ্ঞাপণ।।


সরকারী দপ্তরে চাকরি পেতে হলে পিআরটিসি বাধ্যতা মূলক।দ্বিতীয় বিজেপি – আইপিএফটি জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর পূর্বের নীতিতে পরিবর্তন আসে। সরকারী ইন্টারভিউতে পিআরটিসি বাধ্যতামূলক করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা। তাই বহিঃ রাজ্যের যুবক – যুবতীরা বাকা পথে পিআরটিসি হাতিয়ে নিয়ে চাকরির ইন্টারভিউ দেওয়ার চেষ্টা করছে। বাঁকা পথে পিআরটিসি হাতিয়ে নেওয়ার চক্র বরাবর সক্রিয় রাজ্যে। এটা নতুন কিছু নয়।রাজ্যের প্রতিটি মহকুমা অফিস ও ব্লক গুলিতে চক্রের চাইরা ঘাঁটি গেড়ে বসে আছে।

।।ত্রিপুরার জাল পিআরটিসি।।

বাম জামানা থেকেই পিআরটিসি চক্রের চাইরা বাসা বেঁধে কাজ করছিলো আন্তর্জাতিক অপরাধ চক্রের সঙ্গে। এই কারণেই আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আল কায়দা থেকে শুরু করে হুজি। আইএসআই থেকে  ডি – গ্রুপের সদস্যরা ত্রিপুরাকে করিডোর হিসাবে ব্যবহার করেছিল বিভিন্ন সময়ে। আজও এই সমস্ত তথ্য রয়েছেন পশ্চিম বাংলার লাল বাজার থানা থেকে আগরতলার পশ্চিম থানায়।

।।ত্রিপুরার পিআরটিসি সহ ধৃত বিহারের যুবক।।

২০০৭ সালে হায়দরাবাদ মক্কা মসজিদে বিস্ফোরণ হয়েছিল। এই বোমা বিস্ফোরণের পেছনে মূল মাষ্টার মাইন্ড ছিলো আন্তর্জাতিক বৈরী সংগঠন আল কায়েদার সদস্য আব্দুল রহমান কাইয়ুম। মূলত আব্দুল রহমান কাইয়ু ছিলো পাকিস্থানের করাচির বাসিন্দা। সে দীর্ঘ সময় দিল্লি ও উত্তর প্রদেশে অবস্থান করেছিলো।এই সময়েই আব্দুল রহমান কাইয়ুম অল্প সময়ের জন্য অবস্থান করেছিলো আগরতলায়। কাইয়ুম আগরতলার সীমান্ত সংলগ্ন গোল চক্কর এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে কয়েক মাস থেকে ছিলো।এই সময়ে কাইয়ুম হাতিয়ে নিয়েছিল রাজ্যের পিআরটিসি। তাও আবার আগরতলার ঠিকানায়। রাজধানীর লক্ষী নারায়ণ বাড়ি এলাকার ঠিকানায় পিআরটিসি হাতিয়ে নিয়েছিল।
                  

।।হায়দরাবাদের মক্কা মসজিদ।।

পিআরটিসির বের করার জন্য  জমা দেওয়া দস্তাবেজ গুলির মধ্যে ছিলো গান্ধীগ্রাম স্কুলের অষ্টম শ্রেণী উত্তীর্ণ সার্টিফিকেট। এই পিআরটিসি ও স্কুল সার্টিফিকেট দিয়ে ত্রিপুরা থেকেই আন্তর্জাতিক জঙ্গি আব্দুল রহমান কাইয়ুম হাতিয়ে নিয়েছিলো আন্তর্জাতিক পাসপোর্ট। পরবর্তী সময়ে কাইয়ুম রাজ্যের পিআরটিসি ও পাসপোর্ট নিয়ে চলে গিয়েছিল করাচিতে।সেখান থেকে পুনরায় এসেছিল দিল্লিতে। দিল্লী থেকে হাদ্রবাদে গিয়েই বিস্ফোরণ করেছিল মক্কা মসজিদে।



মসজিদ বিস্ফোরণের পর আব্দুল রহমান কাইয়ুম চলে আসে কলকাতায়। এখানে এসেই লাল বাজার থানার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় । লাল বাজার থানার পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আব্দুল কবুল করেন, “সে টাকার বিনিময়ে পিআরটিসি, স্কুল সার্টিফিকেট ও পাসপোর্ট হাতিয়ে নিয়েছে।,” একই ভাবে টি – সিরিজের মালিক গুলসেন কুমার হত্যাকান্ডের নায়ক দাউদ ইব্রাহিমের “ডান হাত” দাউদ মার্চেন্টও আগরতলার ঠিকানায় পাসপোর্ট হাতিয়ে নিয়েছিল। দাউদ মার্চেন্ট এই পাসপোর্ট দিয়ে আগরতলা -আখাউড়া  সীমান্ত দিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশে। ঢাকা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠিয়ে দিয়েছিল।পরবর্তী সময়ে ভারত – বাংলাদেশ অপরাধী হস্তান্তর চুক্তিতে ভারত সরকারের কাছে তুলে দিয়েছিল বাংলাদেশ।এরকম আরো ঘটনার তথ্য রয়েছে ত্রিপুরা পুলিশের কাছে।

গত কিছু দিন ধরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে  পিআরটিসি সহ বহি:রাজ্যের যুবকদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে নকল দস্তাবেজের বিনিময়ে কারা বহিঃ রাজ্যের লোকজনকে পিআরটিসি পাইয়ে দিচ্ছে?

দাউদ ইব্রাহিম।গুলশান কুমার। দাউদ মার্চেন্ট।

।।বিজ্ঞাপণ।।

পুলিশ বা সাধারণ প্রশাসন কেন তাদেরকে চিহ্নিত করছে না। দালাল চক্রের মাধ্যমে সরকারী অফিস কর্মচারীরা মিলিত হয়ে এই সমস্ত কাজ করছেন।

।।বিজ্ঞাপণ।।

পিআরটিসিতে স্বাক্ষর করছেন টিসিএস অফিসাররা।তারা কিভাবে জমা করা  জাল নথীর পত্রের দেখেও সার্টিফিকেট ইস্যু করছেন। সঠিক তদন্ত হলে বেরিয়ে আসবে রহস্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *