ডেস্ক রিপোর্টার, ৩০জুলাই।।
      রাজধানীর অপরাধের বধ্যভূমি আগরতলা রেল স্টেশন।স্টেশন চত্বরে নেশা কারবার নিয়েছে কুটির শিল্পের রূপ।মাথা চাড়া দিয়েছে পার্সেল মাফিয়া।
এখন আগরতলা রেল স্টেশনে নতুন সংযোজন লন্ড্রি মাফিয়া।রেলের লন্ড্রির টেন্ডার দখল নিয়ে তপ্ত স্টেশন চত্বর।বাড়ছে গ্যাং-ওয়ারের আশংকা।
  যে কোনো সময় ঝরতে পারে তাজা রক্ত।আগরতলা থেকে লামডিং লন্ড্রি মাফিয়াদের ব্ল্যাক করিডোর।কোথায় রাজ্য পুলিশ-গোয়েন্দা ও আরপিএফ?


আগরতলা রেল স্টেশনের লন্ড্রি টেন্ডার নিয়ে এখন সন্মুখ সমরে বিভিন্ন মাফিয়া গ্যাং। টেন্ডার দখল করতে তারা মাঠে নেমেছে কোমর কেচে। কোনো মাফিয়া গ্রুপ বিনা যুদ্ধে জমি ছাড়তে নারাজ।স্বাভাবিক ভাবেই পরিস্থিতি হয়ে উঠেছে অগ্নিগর্ভ। তাদের লড়াইয়ে বিষিয়ে উঠতে পারে গোটা বাধারঘাট বিধানসভা।কারণ লন্ড্রির টেন্ডার দখলের করাকারীতে লিপ্ত প্রতিটি গ্যাংয়ের মাতব্বররা বাধারঘাট বিধানসভার শাসক দলীয় নেতা – কর্মী – সমর্থক।পরিষ্কার ভাবে বললে তারা বিধায়িকা মিনা সরকারের খাস তালুকের হোমরা-চোমরা। পরিস্থিতি এমন জায়গাতে গিয়ে পৌঁছেছে যেকোনো সময় টেন্ডার দখল নিয়ে বাধারঘাটে ঘটতে পারে গৃহযুদ্ধ। এই গৃহযুদ্ধে দেখা যেতে পারে বোমাবাজির আস্ফালন। স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্রের ঝঙ্কার। ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে ঝা চকচকে রাম দা ও ভোজালির মতো ধারালো অস্ত্র।



প্রতি বছর আগরতলা রেল স্টেশনে লন্ড্রির টেন্ডার হয়ে থাকে। মূলত টেন্ডার হয় লামডিং ডিভিশনে। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের লামডিং ডিভিশনের গুরুত্ব পূর্ন স্টেশন আগরতলা। আসে বিভিন্ন এক্সপ্রেস ট্রেন। ট্রেনের কোচের আসনের  টাওয়েল,কম্বল থেকে শুরু করে আরো বহু কাপড় নিয়মিত ধোয়া – কাচার কাজ থাকে। শেষে ইস্তিরি করে দিতে হয় রেল কর্তৃপক্ষকে। এটাই রেলের রেওয়াজ। তারজন্য ডাকা হয় টেন্ডার। বহিঃ রাজ্যের কোম্পানি গুলি অংশ নেয় এই টেন্ডারগুলিতে।


তাদের উপ-শাখা রয়েছে আগরতলায়।এই সমস্ত শাখা গুলির দায়িত্বে রয়েছে স্থানীয় যুবকরা।বর্তমানে ডাইনামিক এন্টারপ্রাইজ নামক একটি কলকাতার সংস্থা রয়েছে লন্ড্রির দায়িত্বে। আগরতলা রেল স্টেশনে এই সংস্থার কাজকর্ম পরিচালনা করছে ইন্দ্রজিৎ সাহা নামে এক যুবক। এক বছর আগে বরাত পেয়েছিল এই সংস্থা। গত কয়েক বছর ধরেই লন্ড্রির টেন্ডার টানা দখল করে  আসছে ডাইনামিক এন্টারপ্রাইজ। এখন সময় ফুরিয়ে এসেছে।আগামী কিছু দিনের মধ্যেই উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেল আগরতলা রেল স্টেশনের জন্য লন্ড্রির টেন্ডার আহ্বান করবে।এই খবর ইতিমধ্যে  পৌঁছে গেছে বহিঃ রাজ্যের বিভিন্ন সংস্থার ঠিকা নেওয়া রাজ্যের দালাল চক্রের কর্ন কুহরে।


স্টেশন সূত্রের খবর, বাধারঘাট বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপির ছেলেরা লন্ড্রির টেন্ডার দখলের জন্য বিভিন্ন সংস্থার হয়ে মাঠে নেমেছে।ইতিমধ্যে প্রতিটি গ্রুপ নিজেদের মত করে টেন্ডার দখলের জন্য মারিয়া হয়ে উঠেছে। আগরতলা থেকে লামডিং রুটে শুরু হয়েছে দৌড়ঝাঁপ। প্রতিযোগিতা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। রেলের লন্ড্রির টেন্ডার দখল কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে এক পক্ষ অপর পক্ষকে দিচ্ছে নিয়মিত হুমকী হুজ্জুতি। চলছে নিয়মিত চোখ রাঙানোর পালা। তবে সব কয়টি গ্রুপ লন্ড্রির টেন্ডার দখল নিতে প্রতিপক্ষকে জব্দ করতেও দ্বিধাবোধ করছে না।


আগরতলা রেল স্টেশনে কর্মরত রেল কর্মীদের কথায়, “লন্ড্রির টেন্ডার কেন্দ্র করে পরিস্থিতি এক ভয়ানক জায়গাতে পৌঁছেছে।যেকোনো সময় ঘটতে পারে গ্যাং ওয়ার। এবং ঝরতে পারে তাজা রক্ত।” তাই প্রশাসন সতর্ক না হলে রেলের লন্ড্রির টেন্ডার দখল কেন্দ্র করে মীনা সরকারের খাস তালুক হতে পারে রক্তস্নাত।


কালির ছিটা পড়বে খোদ বিধায়িকা মীনা সরকারের উপরও।স্টেশন চত্বরের বর্তমান পরিস্থতি বিশ্লেষণ করে একথা বলেছেন বাধারঘাট বিজেপির  বর্ষীয়ান রাজনীতিকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *