ডেস্ক রিপোর্টার,১০মার্চ।।
“চার রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি’র জয়ের মধ্য দিয়ে দেশীয় রাজনীতি থেকে দূর হয়েছে পরিবারতন্ত্র ও বানিজ্যিক তন্ত্র।”—–বক্তা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। বৃহস্পতিবার পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর মহাকরণে সাংবাদিক বৈঠক করে একথা বলেন তিনি।
পাঁচ রাজ্যের মধ্যে চার রাজ্যে জয় পেয়েছে বিজেপি।। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই জয়ের পেছনে ছিলো নরেন্দ্র মোদীর কর্মপন্থা।সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের বিজেপি’র কার্যকর্তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম। উত্তর প্রদেশ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মাফিয়ারজ,গুন্ডারাজ বন্ধ করে দিয়েছিলেন যোগী আদিত্যনাথ।তিনি কড়া হাতে দুষ্টের দমন করেছেন।জাত-পাত নির্বিশেষে নির্বাচনে টিকিট দিয়েছেন। মানুষ যোগী আদিত্য নাথের সুশাসন ও নরেন্দ্র মোদীর কর্মপন্থা উপর বিশ্বাস রেখেই ভোট দিয়েছে।
উত্তরখণ্ডের বিষয়ে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এমন প্রচার করা হয়েছিলো উত্তরাখণ্ডে ৫/৬টি আসন পাবে বিজেপি।কিন্তু মানুষ বিজেপিকে একক ভাবে দ্বিতীয় বারের জন্য মসনদে বসিয়ে দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর যুক্তি দেশের মানুষ এখন দিশঙ্কু-ত্রিশঙ্কু পরিসংখ্যানের উপর মানুষ বিশ্বাস করছে না।শক্তিশালী একক সরকার গঠনের জন্য মানুষ মতদান করেছে।
গোয়া, মনিপুর উভয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপি’র কার্যকর্তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।তিনি বলেন, মনিপুর একটা দৃষ্টান্ত। আগে শরিক দলকে নিয়ে সরকার গঠন করেছিলো মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং।কিন্তু এখন একাই মণিপুরে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। গোয়াতেও কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে ছিল বিজেপি।কিন্তু গোয়াতে বিরোধীদের ছিটকে দিয়ে ফের ক্ষমতায় আসে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, পাঞ্জাবেও প্লাস করেছে বিজেপি।একই দখল করেছে।খোলেছে খাতা।আগামী দিনে পাঞ্জাবে মহিরুহের রূপ নেবে বিজেপি।
কংগ্রেসকে খোঁচা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, উত্তর প্রদেশে কংগ্রেস প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে মুখ্যমন্ত্রী পদ প্রার্থী করেছিলো।কিন্তু মানুষ ভোট দেয় নি।কারণ মোদী-যোগী ছাড়া উত্তর প্রদেশের মানুষজন বিকল্প কাউকে চিন্তা করতে পারেনি। এবং উত্তর প্রদেশের মানুষ এবারের ভোট দানের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিয়েছেন পরিবারতন্ত্র তারা মেনে নেয় নি। এজন্যই ৩৭বছর পর রেকর্ড গড়ে যোগী সরকার দ্বিতীয় বারের মত উত্তর প্রদেশের মসনদে বসেছে।
সর্বোপরি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব এই জয়ের বিজেপি’র সর্ব ভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *