আগরতলা,১১ মার্চ।।
রাজ্য মন্ত্রিসভার আজকের বৈঠকে পঞ্চায়েত দপ্তরে ৪০০টি পঞ্চায়েত এক্সিকিউটিভ অফিসার পদে লোক নিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে শুক্রবার সচিবালয়ের প্রেস কনফারেন্স হলে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, এই ৪০০টি পঞ্চায়েত এক্সিকিউটিভ অফিসার পদ নন-গ্যাজেটেড ক্যাটাগরির। এই পদগুলি টিপিএসসি’র মাধ্যমে পূরণ করা হবে। এছাড়াও এদিনের মন্ত্রিসভার বৈঠকে শিক্ষাদপ্তরে ২০০ জন স্পেশাল এডুকেটর পদ সৃষ্টি করে তা পূরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার রাজ্যের ১০০টি সিবিএসই অনুমোদনপ্রাপ্ত বিদ্যালয়ে বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্প চালু করতে যাচ্ছে। এই প্রকল্পের জন্য ৫০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে। বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্পটিকে সফলভাবে রূপায়ণ করার লক্ষ্যে ঐ ১০০টি বিদ্যালয়ে ২ জন করে মোট ২০০ জন স্পেশাল এডুক্টের নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। টিআরবিটি’র মাধ্যমে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।
” মন্ত্রিসভার বৈঠকে রাজ্যে জাতীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রস্তাবটিকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। জাতীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য রাজ্য সরকার ৫০ কোটি টাকা ব্যয় করবে।” জানিয়েছেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।
জাতীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিষয়গুলি তুলে ধরে তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী বলেন, জাতীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হবেন ত্রিপুরা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। এছাড়াও থাকবেন উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, হেড অব ডিপার্টমেন্ট এবং ফিনান্স অফিসার। চ্যান্সেলরের নেতৃত্বে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি গভর্নিং বডির কমিটি থাকবে। থাকবে গভর্নিং কাউন্সিল, এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল, অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল, ফিনান্স কমিটি ইত্যাদি। এছাড়াও মন্ত্রিসভার বৈঠকে ত্রিপুরা মিউনিসিপাল অষ্টম সংশোধনী বিল, ২০২২-র প্রস্তাবকে আইনে বিধিবদ্ধ করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *