ডেস্ক রিপোর্টার, ৮নভেম্বর।।
  ” মহান নভেম্বর” – কমিউনিস্টদের তথাকথিত বিপ্লবের মাসে নাবালিকার সঙ্গে বীরত্ব প্রদর্শন করলেন  সিপিআইএম নেতা।  শিক্ষা দানের নাম করে ষষ্ঠ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে করলেন শ্লীলতাহানী। এবং এই অভিযোগের ভিত্তিতে তিনি হলেন গ্রেফতার। তার নাম স্নেহাশীষ বণিক। ঘটনা নতুন বাজারের জমাতিয়া পাড়াতে। অভিযুক্ত গৃহ শিক্ষক স্নেহাশীষ বণিক। তিনি সিপিআইএমের  নতুন বাজার অঞ্চল কমিটির সম্পাদক। নির্যাতিতা ছাত্রীর অভিযোগ মূলে পুলিশ মামলা রুজু করে  ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। অনুসন্ধানকারী পুলিশ নির্যাতিতা ছাত্রীর বক্তব্যও রেকর্ড করেছে। ঘটনার পর  উত্তেজিত জনতা গুণধর গৃহ শিক্ষক তথা সিপিআইএম নেতা স্নেহাশীষ বনিককে আটক করে উত্তম মাধ্যম দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে উত্তেজিত জনতা নতুন বাজারে সিপিআইএমের পুরানো পার্টি অফিসে ভাঙচুর সহ অগ্নি সংযোগ করে। ছাত্রী শ্লীলতাহানীর ঘটনা কেন্দ্র করে নতুন বাজারে বিষিয়ে উঠেছে রাজনৈতিক পরিবেশ। ভোটের মুখে চাপে পড়ে যায় সিপিআইএম। স্থানীয় বাম নেতৃত্বের কথায়, এই ঘটনার পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে।


স্থানীয় সূত্রের খবর, স্নেহাশীষ বণিক নতুন বাজার এলাকা ডাক সাইটের সিপিএম নেতা। তিনি রাজনীতির পাশাপাশি গৃহ শিক্ষকতাও করেন। সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরেই ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষাদান করে আসছেন স্নেহাশীষ। অন্যান্য দিনের মতো মঙ্গলবার দুপুরে স্নেহাশীষ গৃহ শিক্ষকতা করতে ছুটে যান স্থানীয় জমাতিয়া পাড়াতে। নির্যাতিতা  স্কুল ছাত্রীর বাবার বক্তব্য, এদিন জমাতিয়া পাড়াতে গিয়ে ছাত্র – ছাত্রীদের নিয়ে পঠন – পাঠনে মগ্ন হয়ে যান গৃহশিক্ষক স্নেহাশীষ। ঘন্টা খানেক পর তিনি উপস্থিত অন্যান্য ছাত্র – ছাত্রীদের ছুটি দিয়ে দেন।কিন্তু মাহি(পরিবর্তিত নাম) নামে এক ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রীকে আটকে রাখেন। ছাত্রীকে নাকি শিক্ষক জানিয়ে দেন তার পড়া এখনো শেষ হয়নি। তাই আরোও কিছুটা সময় থাকতে হবে তাকে।
              ছাত্রীর অভিযোগ, শিক্ষক স্নেহাশীষ বণিক ঘরের নির্জনতার সুযোগ নিয়ে তাকে কুপ্রস্তাব দেন। এবং তার হাতে কিছু টাকা গুঁজে দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে স্পর্শ করতে থাকে। পরিস্থিতির ভয়াবহতা আচ করতে পেরে ছাত্রী মাহি দৌড়ে পড়ার ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে বাড়িতে ছুটে গিয়ে তার মা, বাবার কাছে পুরো ঘটনা খোলসা করে। এরপর নবালিকা ছাত্রীর বাবা গ্রামের লোকজনকে বিষয়টি অবগত করেন। ঘটনা জানাজানি হতেই গ্রামবাসীরা  বাড়িঘর থেকে বেরিয়ে আসে। এবং সিপিএম নেতা তথা অভিযুক্ত গৃহ শিক্ষক স্নেহাশীষকে আটক করে তাকে উত্তম মাধ্যম দেয়। খবর পেয়ে অকুস্থলে ছুটে আসে নতুন বাজার থানার পুলিশ। উত্তেজিত জনতা অভিযুক্ত গৃহ শিক্ষককে পুলিশের হাতে তুলে দেয় এবং তার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করে। উত্তেজিত জনতার দাবি মেনে পুলিশ গ্রেপ্তার হওয়া বাম নেতা স্নেহাশীষ বণিককে “পুলিশের গাড়িতে” না তুলে প্রকাশ্যে রাস্তা দিয়ে হাঁটিয়া হাঁটিয়ে থানায় নিয়ে যায়।
              সিপিআইএমের নতুন বাজার অঞ্চল কমিটির সম্পাদক স্নেহাশীষ বণিকের কুকর্মের খবর ছড়িয়ে পড়তেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। উত্তেজিত জনতা বেরিয়ে আসে বাড়িঘর থেকে।তারা সঙ্ঘবদ্ধভাবে সিপিএমের স্থানীয় পুরনো অফিসে হামলা চালায়। ব্যাপক ভাঙচুর করে। শেষে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরিস্থিতি আচ করতে পেরে সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এবং কোনো রকমে নিয়ন্ত্রণ করা হয় পরিস্থিতি। স্থানীয় বাম নেতৃত্বের বক্তব্য,এই ঘটনার পেছনে গভীর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে। তবে এটা বাস্তব অঞ্চল নেতার এই নোংরা কাজের ফলে ভোটের মুখে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে  বামেরা ব্যাকফুটে চলে গিয়েছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *