ডেস্ক রিপোর্টার, ১৭মার্চ।।
              ” যারা কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে থাকেন, তারা ভারতীয় জনতা পার্টির ভাষায়  “লাভার্থী”। রাজনীতিকরা বলছেন, তিপ্রামথার সুপ্রিমো প্রদ্যুৎ কিশোরও এখন বিজেপির একজন লাভার্থী। কারণ প্রদ্যুৎ ভারতীয় জনতা পার্টি থেকে বেনিফিশিয়ারিদের মতোই সুবিধা আদায় করে নিয়েছেন। সাধারন জনজাতিদের বোকা বানিয়ে প্রদ্যুৎ প্রথমে জাতি বিদ্বেষী স্লোগান তুলে ভোট ব্যাংক শক্তিশালী করে তিনি খেলায় মেতে উঠেছেন।
         তিপ্রামথার খবর অনুযায়ী, দলের অধিকাংশ নেতার বিরুদ্ধে গিয়ে প্রদ্যুৎ বিজেপির সরকারে সামিল হয়েছেন। এরপর লোকসভা নির্বাচনে নিজের দিদিকে টিকিট পাইয়ে দিলেন।তাও আবার ভারতীয় জনতা পার্টির প্রতীকে। রাজনীতিকদের ভাষায়, এক্ষেত্রে প্রদ্যুৎ পুরোদস্তুর একজন লাভার্থির ভূমিকা পালন করেছেন। বুবাগ্রার সিদ্ধান্তকে মান্যতা দিচ্ছে না সাধারণ জনজাতিরা। তারা প্রদ্যুৎ কিশোরের খেলা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হয়ে গিয়েছেন। জনজাতিরা বিলক্ষণ বুঝতে পেরেছেন, গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড এখন বিশবাও জলে। ভারত সরকার, রাজ্য সরকারের সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি নিয়েও গভীর ধোয়াশায় আছেন জনজাতি অংশের মানুষ।


শেষ পর্যন্ত প্রদ্যুৎ ফুটিয়ে তুললেন, পারিবারিক তন্ত্র । দীর্ঘ দুই দশক ধরে রাজ্যের মাটির সঙ্গে সম্পর্কহীন কৃতি সিংকে বিজেপির টিকিট ধরিয়ে দিয়েছেন তিনি। তাহলে প্রশ্ন উঠছে, তিপ্রামথাতে কি পূর্ব ত্রিপুরা আসনে প্রার্থী হওয়ার মতো যোগ্যতা সম্পন্ন কোনো নেতা নেই? প্রদ্যুৎ কিশোর প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি থাকাকালীন ১৯- র লোকসভা নির্বাচনে তার একের দিদি প্রজ্ঞা দেববর্মণকে লোকসভার পূর্ব আসনে প্রার্থী করেছিলেন। তখনই প্রজ্ঞাকে উড়িয়ে এনে টিকিট দিয়েছিলেন। তখনও প্রদ্যুৎ কিশোরের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন কংগ্রেসের জনজাতি নেতারা।


রাজনীতিকদের বক্তব্য, ২১- র এডিসি নির্বাচন থেকেই বিজেপির সঙ্গে গোপন আঁতাত করে চলছেন প্রদ্যুৎ। ২৩- র বিধানসভা নির্বাচনে প্রদ্যুৎ ও বিজেপির খেলা আরোও প্রকট হয়েছিলো। শেষ পর্যন্ত ২৪- র প্রারম্ভিক লগ্নে বিজেপি ও প্রদ্যুৎ কিশোরের সম্পর্ক দিনের আলোর মত পরিস্কার হয়ে যায়। প্রদ্যুৎ কিশোর যে বরাবর বিজেপির লাভার্থী ছিলেন এবং আছেন, তা কেউই বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে না। এখন বিজেপি ও প্রদ্যুৎ হরিহর আত্মা!
              


রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রদ্যুৎ কিশোরেeর শরীরে যে রাজ রক্ত প্রবাহিত হচ্ছে তার বাস্তবায়নও করেছেন তিনি। প্রজাদের জন্য তিনি লোকসভার টিকিট ছাড়েন নি। ১৯- র পর ২৩- শেও একই অবস্থা। রাজতন্ত্র না থাকলেও ভারতীয় রাজনীতির পীঠস্থান সংসদ ভবনের “প্রজাদের”(জনজাতি) যাওযার রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে রাজ তন্ত্রের মতো আজও পরিবারতন্ত্রকে প্রাধান্য দিয়েছেন প্রদ্যুৎ। তার কাছে প্রজাদের ভাবাবেগের কোনো গুরুত্ব- ই থাকলো না।
                  


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *