ডেস্ক রিপোর্টার, ২৯আগস্ট।।
            ” ত্রিপুরায় এক সরকার টানা ২৫ বছর জনজাতিদের লোড করেছে অপর সরকার জনজাতিদের কথা ভাবার সময় পায়নি,আরেক সরকার জনজাতির বিকাশের জন্য চিন্তা করছে সর্বক্ষণ।” ….. বক্তা বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। সোমবার এডিসির সদর দপ্তর খুমুলুঙে অনুষ্ঠিত জনসভা়য় একথা বলেন তিনি।

    জেপি নাড্ডা বলেন, সিপিআইএমের টানা ২৫বছরের শাসনে জনজাতিরা উপেক্ষিত ছিল। সহ্য করতে হয়েছিল অত্যাচার। কিন্তু বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর এই রাজ্যের জনজাতিরা শান্তিতে বসবাস করতে পারছে।হয়েছে জনজাতিদের বিকাশ। বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতির কথায়,দেশের জনজাতিদের বিকাশের অপর নাম ভারতীয় জনতা পার্টি এবং নরেন্দ্র মোদী। জনজাতিদের বিকাশের জন্য সর্বক্ষণ চিন্তা করছে বিজেপি। এবং এই চিন্তা ভাবনাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।


জেপি বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্যের ডাবল ইঞ্জিন সরকার কাজ করছে জনজাতি বিকাশের জন্য।রাজ্যের মন্ত্রিসভার সদস্যদের মাধ্যমে ডাবল ইঞ্জিন সরকারের প্রসাদ পৌঁছে যাচ্ছে মানুষের কাছে। বিজেপির রাষ্ট্রীয় অধ্যক্ষ  জেপি নাড্ডা গোটা দেশে জনজাতি উন্নয়নের তথ্য তুলে ধরেন।এবং জনজাতিরা কিভাবে এর সুবিধা পাচ্ছেন তার পরিসংখ্যান পরিষ্কার রাস্তা বলে দেন।কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা রাজ্যের জনজাতিরা কিভাবে পাচ্ছে তার রূপরেখা স্পষ্ট করেন তিনি।জনজাতিদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা থেকে শুরু করে কৃষি,শিল্প সর্ব ক্ষেত্রে কি কি সুবিধা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার তার তালিকা তুলে ধরেন।
     দেশের নতুন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মূর্মুর প্রসঙ্গ টেনে বলেন,স্বাধীন ভারতের এর আগে কোনো সরকার জনজাতিদের এই সন্মান দেয়নি। তা দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী।দেশের সর্বোচ্চ পদে একজন জনজাতি সম্প্রদায়ের মহিলাকে বসিয়েছেন তিনি।
   সবচেয়ে তাৎপর্য পূর্ণ বিষয় বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা তিপ্রাল্যান্ড ও গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড  সম্পর্কে কোন কথাই বলেননি। তিনি খুব স্মার্ট ভাবে  গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড ইস্যু এড়িয়ে যান।না তার ভাষণে জোর দিয়েছেন জনজাতিদের উন্নয়নে। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বক্তব্য থেকে স্পষ্ট, গেরুয়া শিবির গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ডকে গুরুত্ব দিচ্ছে না।
  এদিন খুমুলুঙের জনসভার আগে জেপি নাড্ডা বিজেপির রাজ্য সদর কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন।সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন,ত্রিপুরায় বিজেপি সরকারের জামানায় অল রাউন্ড ডেভেলপমেন্ট হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হয়েছে।দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে উন্মুক্ত হয়েছে বাণিজ্যিক “দ্বার”। এর ফলে ত্রিপুরা হয়ে উঠেছে উত্তর পূর্বাঞ্চলের গেটওয়ে।রেল ও বিমান পথের উন্নয়ন হয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গেও রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হবে।রাজ্যের উৎপাদিত কাঠাল,আদা,আনারস এখন বহি:রাজ্যে এবং বিদেশে পৌঁছে যাচ্ছে। রাজ্যে উৎপাদিত ধান ক্রয় করছে এফ সি আই। তাছাড়া চা শ্রমিকদের জন্য কেন্দ্র সরকার রাজ্যকে প্রচুর অর্থ দিয়েছে।এর ফলে রাজ্যের চা শিল্প এখন মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। এছাড়াও রাজ্যের সার্বিক উন্নয়ন নিয়ে সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *