ডেস্ক রিপোর্টার, ২৮সেপ্টেম্বর।।
          রাজ্যে শুরু হয়ে গেছে ভর উৎসব মরশুম। তারপরই পুরো দমে শুরু হয়ে যাবে ২৩-র মহারণের চূড়ান্ত প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে প্রতিটি রাজনৈতিক দল সাজিয়ে নিচ্ছে তাদের ঘর। আসন্ন বিধানসভা সভা নির্বাচনে তিপ্রামথায় হয়ে উঠেছে রাজনীতির ভর কেন্দ্র। তাও প্রায় প্রমাণিত।এই কারণেই মথার সুপ্রিমো প্রদ্যুৎ কিশোরের গুরুত্ব বাড়ছে রাজনীতির গ্রাফে। তাই প্রদ্যুৎকে সামনে রেখেই ২৩- র অঙ্ক সাজাচ্ছে শাসক দল বিজেপি ও বিরোধী কংগ্রেস। এই মুহুর্তে দুই দলই প্রদ্যুৎকে নিয়ে টানাটানিতে ব্যস্ত।এক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে শাসক দল বিজেপি।কংগ্রেসও দাবী করছে শেষ পর্যন্ত প্রদ্যুৎ আসবেন তাদের সঙ্গেই। কিন্তু প্রদ্যুৎ পরিষ্কার করে দিয়েছেন তাঁর স্ট্যান্ড পয়েন্ট। তার গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ডের দাবী যে রাজনৈতিক দল মানবে তাদের সঙ্গেই জোট করবে মথা।
          রাজনীতিকরা বলছেন, শাসক দল বিজেপি এবং তিপ্রা রাজনৈতিক রাসায়নিক বিক্রিয়া যে শুরু হচ্ছে তার চিত্রও ফুটে উঠছে প্রশাসনিক ভাবে। রাজ্য স্বরাষ্ট্র দপ্তরের এক অঘোষিত নির্দেশ নামা থেকে দিনের আলোর মত তা প্রকট হয়ে গেছে। খবর অনুযায়ী, সম্প্রতি রাজ্য পুলিশের শীর্ষ স্তর থেকে এসডিপিদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এডিসি এলাকা গুলিতে সংযত হয়ে কাজ করার জন্য। সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে কোনো ঝামেলা হলে পরিস্থিতি সফট সফট হ্যান্ডে সামাল দেওয়ার জন্য। জনজাতি মহল্লা গুলিতে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের ধর্য্য সহকারে কাজ করার বার্তা দেওয়া হয়েছে।
              মহকুমা পুলিশ অধিকারীকরা তাদের এক্তিয়ারে থাকা থানাগুলিকে সদর দপ্তরের এই বার্তা পৌঁছে দিয়েছে। জনজাতি মহল্লা গুলিতে দপ্তরের জনজাতি পুলিশ আধিকারিকদের বেশী করে ডিউটিতে ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র দপ্তর। পরিষ্কার ভাবে বললে, স্বরাষ্ট্র দপ্তরের পুলিশ কর্মীরা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এই মুহুর্তে কোনও ভাবেই পাহাড়ে জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষকে ক্ষেপানো যাবে না।তাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমেই পরিস্থিতিকে আয়ত্বের মধ্যে রাখতে হবে।
              রাজ্য স্বরাষ্ট্র দপ্তরের এই বার্তা থেকে স্পস্ট অন্তরালে বিজেপি – মথার মধ্যে সমঝোতার আলোচনা পর্ব চলছে! তাই এই মুহুর্তে জনজাতিদের সঙ্গে কোন রকম ভুল বুঝাবুঝি হলে হিতে বিপরীত হতে পারে। তা থেকে তখন ফায়দা নেওয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে সংযত হয়েই কাজ করতে হবে। তাহলেই রাজ্যের শাসক দলের সঙ্গেই সম্পর্কে এডিসির শাসক দলের সম্পর্কের  কোনো চির ধরবে না।তাই, এই পরিস্থিতি  ম্যানেজ করার জন্য পুলিশকে দেওয়া হয়েছে নতুন ফরমান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *