ডেস্ক রিপোর্টার, ২৮সেপ্টেম্বর।।
              ২০১৯ থেকে ২০২১ টানা তিন বছর।এই সময়ের কোভিড পরিস্থিতি কাটিয়ে ২২- র উৎসব মরশুম শুরু হলেও বাজার মন্দা।উৎসবের বাজারে তুলনামূলক ভাবে বেচা বিক্রি অনেকটাই কম। এমন কথায় বলছে ব্যবসায়ীরা।
              রাজধানীর ব্যবসায়ীদের বক্তব্য,তাদের বেচা বিক্রি প্রত্যাশার ধারে কাছে নেই। কোথায় যেন থমকে গেছে।কাপড়ের ব্যাবসায়ী থেকে শুরু করে কসমেটিক ব্যবসায়ী প্রতেক্যের একই সুর। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বাজারে তুলনামূলক ভাবে লোকজনের সংখ্যাও কম। দুর্গা পূজা শুরু হতে আর মাত্র হাতে গুনা কয়েকদিন। তারপরও তাদের বানিজ্য মন্দা।
              সাধারন মানুষের বক্তব্য, মানুষের হাতে পর্যাপ্ত অর্থ নেই।জিনিসের দাম দিন দিন ঊর্ধমুখী। জামা কাপড় থেকে শুরু করে কসমেটিক সবেতেই ৪০- ৫০শতাংশ দাম বৃদ্ধি হয়েছে। তার মধ্যে গুদের উপর বিষ ফোঁড়ার মত অবস্থা নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের। প্রতিদিন  দাম বাড়ছে এই সব জিনিসের। কোথায়ও কমার লক্ষ্ন নেই।জিনিসের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে পালা দিয়ে রোজগার বাড়ছে না। বরং কমছে কর্ম সংস্থান।মানুষের কাজ নেই। হাতে নেই টাকা। গ্রাম গঞ্জের অবস্থা আরও করুন। স্বাভাবিক কারণেই মানুষ প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র কিনতেই হিমশিম খাচ্ছে। শারদ উৎসবে প্রত্যেকের ঘরেই বাজেট একটু বেশি থাকে।কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে বাজেট বেশি রাখার উপায় নেই। মধ্যবিত্ত নাভি শ্বাস উঠছে। সংসার প্রতি পালন করতে সমস্যা হচ্ছে।
              আম জনতার ভাষায়, সরকারী কর্মচারীদের বেতন ভাতা বাড়লেও বেসরকারী সংস্থায় কর্মরত লোকজনের বেতন একই জায়গাতে। ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান গুলি এখনো কোভিড পরিস্থিতি প্রভাব কাটিয়ে উঠতে পারেনি। তাই বেসরকারী সংস্থায় কর্মরত লোকজনের বেতন বৃদ্ধির কোনো প্রশ্ন নেই। শহর থেকে সমতল,গ্রাম থেকে পাহাড় সব জায়গাতেই কাজের পরিমাণ কমে গেছে।মানুষের কাছে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকার কারণে তারা বাজার মুখী হচ্ছে না।রাজ্যের সর্বত্র ঠিকাদারদের বিল আজও বকেয়া।কিছু কিছু বানিজ্য ক্ষেত্র কোভিডের প্রভাবে মুখ থুবড়ে পড়েছে। মানুষ হারিয়েছে কাজ। স্বাভাবিক ভাবেই  কোভিড পরিস্থিতি কাটলেও মানুষের অর্থনীতির গ্রাফ বাড়েনি।এই কারণেই মানুষ উৎসব মরশুমেও হাত খুলে টাকা খরচ করতে পারছে না।এর প্রভাব সরাসরি আছড়ে পড়ছে বাজারে। মন্দায় হতাশা গ্রাস করছে ব্যবসায়ীদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *