ডেস্ক রিপোর্টার,আগরতলা।।
বিজেপির নেতা টিংকু রায়।এখন তার পাখির চোখ চন্ডিপুর বিধানসভা কেন্দ্র।কুর্তি-কদমতলার পাঠ চুকিয়ে তিনি এখন চন্ডিপুরের টিকিট প্রত্যাশী । তবে নেতা টিংকু পেয়েও যেতে পারেন টিকিট।
কিন্তু তারপর কি হবে? জ্বলবে।শুধু আগুন,আর আগুন। বলেছে বিজেপির উনকোটি জেলার নেতা কর্মীরা।
অভিযোগ, রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক টিংকু রায় দুর্নীতির অক্টোপাসে জড়িত। টিংকু রায় ছিলেন রাজ্য শিল্প নিগমের চেয়ারম্যান। দুর্নীতির কারণে তার চেম্বারে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে আদালত। আর তার হাত ধরে অপমৃত্যু ঘটেছে রাজ্যের শিল্প উন্নয়নের।এবার বুঝুন টিংকুর স্বচ্ছতা? তার দুর্নীতির উপাখ্যান বললে শেষ হবে না।
বিজেপি নেতা টিংকু রায়ের দুর্নীতি নিয়ে এবার সরব খোদ দলের লোকজন। চন্ডিপুর মণ্ডলের যুব মোর্চার সদস্যরা সরাসরি টিংকুর শিক্ষা গত যোগ্যতার শংসাপত্র নিয়ে নিয়ে প্রশ্ন তুলেন। তাও আবার সাংবাদিক বৈঠক করে। বৃহস্পতিবার চন্ডী পুর মণ্ডলের যুব মোর্চার সহ সভাপতি মণীশ সিনহা ও পৃষ্ঠা প্রমুখ সঞ্জীব সিনহা সাংবাদিক সম্মেলন করে দাবি করেন, ২০১৮ সালে নির্বাচন কমিশনে জমা করা হলফ নামায় টিংকুর শিক্ষাগত যোগ্যতার শংসাপত্র জাল। তারা এই সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য নিয়েছে।এবং নির্বাচন কমিশন, থানা পুলিশ, জেলার পুলিশ সুপার, জেলা শাসকের কাছেও অভিযোগ জানিয়েছেন।
স্থানীয় নেতারা বলছেন, জনস্বার্থে এবং দলের স্বার্থে তারা টিংকুর জালিয়াতি সামনে এনেছেন।কারণ আসনটিতে বিজেপির জয় নিশ্চিত।কিন্তু টিংকুকে প্রার্থী করলে হারাতে হবে আসনটি।
খোদ দলের ভিতর থেকে আওয়াজ উঠতে শুরু করেছে,ভোটের মুখে যেকোনো সময় বিরোধীরা টিংকু রায়ের এই জালিয়াতিকে হাতিয়ার বিজেপির রক্ত ক্ষরণ করাতে পারে।এমনটাই আশঙ্কা করছে চন্ডীপুর মণ্ডলের বিজেপির কর্মী সমর্থকরা।
২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনে জমা করা টিংকু রায়ের শিক্ষাগত যোগ্যতা শংসাপত্র জাল তা নিয়ে আর কোন সন্দেহ নেই। তবে তাই বলে কি টিংকু চুপ করে বসে থাকবেন?না।ভোটের বাজারে চণ্ডীপুর বিধানসভা কেন্দ্রকে আঁকড়ে ধরে এখন ২৩র যুদ্ধে লড়াই করতে চাইছেন নেতা বাবু।।কিন্তু এখানেও তিনি বাধা প্রাপ্ত হতে পারেন।
চন্ডীপুর মণ্ডলের খবর, তারা বরাবর স্থানীয় কাউকে প্রার্থী করার কথা বলে আসছে। টিংকু রায় বহিরাগত।তাকে প্রার্থী করলে দলের ভিতর থেকে বিদ্রোহ শুরু হবে।এবং প্রতিবাদ স্বরূপ দলের বহু নেতা কর্মী বসে যাবে। এবং ভোট ময়দানে টিংকু গুঁড়া কেটে দেবেন।আবার প্রকাশ্যে আসতে পারে প্রতিবাদ।জ্বলতে পারে ধাউ ধাউ আগুন।তখন অবশ্যই কপাল পুরবে গোটা শাসক দলের নেতৃত্বের। অর্থাৎ আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে চন্ডী পুর থেকে টিংকু রায়কে টিকিট দিলে জ্বলে উঠা তোষের আগুন নিভাতে দমকল বাহিনীর ডজন খানেক গাড়িও যথেষ্ট হবে না। প্রবল ভাবে চাগার দেবে গোষ্ঠী বাজি । এমনটাই বলছে খোদ বিজেপির লোকজন।