ডেস্ক রিপোর্টার, ২৬সেপ্টেম্বর।।
            সম্প্রতি টিডিএফ ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ দিয়েছেন পূজন বিশ্বাস। পূজনের তৃণমূলে যোগদানের পর নাকে চুনকালি লেগেছে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেবের! কেননা,পূজন তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ২৪ ঘন্টা অতিক্রম না হতেই টিডিএফের পক্ষ থেকে পাল্টা বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়, টিডিএফ তৃণমূলের সঙ্গে যায় নি। শুধুমাত্র গিয়েছেন পূজন বিশ্বাস। এটা পূজনের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। তার সঙ্গে  টিডিএফের কোনো যোগসূত্র নেই।স্বাভাবিক কারণেই টিডিএফের এই প্রেস বিবৃতির পর দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে মুখ দেখানোর অবস্থায় নেই সুস্মিতা দেব। এমনটাই মনে করছে প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশ।
            পূজন বিশ্বাসের ফেসবুকে ওয়ালে থাকা ছবি দেখে খোদ তৃণমূল কর্মী সমর্থকরেই সন্দেহ প্রকাশ করছে। তাদের বক্তব্য, বাস্তব অর্থে পূজন কোন দলের ? তৃণমূল কংগ্রেস না টিডিএফ।কেননা আজও পূজন বিশ্বাসের ফেসবুক ওয়ালে জ্বলজ্বল করছে টিডিএফের লগো ও ছবি। তৃণমূল কর্মীদের বক্তব্য, পূজন বিশ্বাস তৃণমূল কংগ্রেস এলেও টিডিএফের সঙ্গে তার যোগসূত্র রয়েছে । পূজন তৃণমূলের  এসেছে শুধু মাত্র রাজনৈতিক ফায়দা লোটার জন্য। ২৩’ র বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে টিকিট পাওয়ার জন্যই পূজন দল ত্যাগ করেছেন। তাতে অবশ্যই তৃণমূল কংগ্রেসের খুব একটা লাভ হবে না। তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব পূজন বিশ্বাসকে যতটা ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখিয়েছেন, বাস্তবে রাজ্য রাজনীতিতে পুজনের তেমন কোন শক্ত ভীত নেই l তার পূর্বের দল টিডিএফে অবস্থাও অথৈ জলে।রাজ্য রাজনীতিতে  পূজন বিশ্বাসকে দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস যে তাদের ঘরে কোনো ফসল তুলতে পারবে না এটা স্পস্ট।
            অবাক করার মত ঘটনা, পূজন বিশ্বাস তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ দিলেও তার ফেসবুকে এখনো টিডিএফের প্রচার চলছে। রাজমাতা বিভু কুমারী দেবীর সঙ্গে পূজন ছবি সেটে বুঝানোর চেষ্টা করছেন পাহাড়ে তার যথেষ্ট আধিপত্য রয়েছে। এবং রাজ পরিবারের সঙ্গে তার অন্তরঙ্গ সম্পর্ক। আসলে এটাও একটা পুজনের বড় জুমলা বাজি। দাবী তৃণমূল কর্মীদের।তাদের কথায়, সমতলে পূজনের  কোনো ভিত নেই। সুতরাং পাহাড়ে পূজনের মত গ্রেড হীন নেতাদের ভীত কতটা থাকবে তা বলাই বাহুল্য।  রাজ্যের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রথম সারির অনুপজাতি নেতাদের (হালের) কাউর পাহাড়ে নিজস্ব সংগঠন নেই। পূজন বিশ্বাস তো অনেক দূরের কথা। পূজন তার বিধানসভা কেন্দ্র রামনগরের সিংহ ভাগ ভোটারের কাছে অপরিচিত। শুধু মাত্র বাবা পিযুষ কান্তি বিশ্বাসের নামের ক্যাসেট বাজিয়ে চলছেন পূজন। তার বাবা আদালতে একজন সফল আইনজীবী হলেও রাজনীতিতে তেমন কোনো ডাক সাইটের নেতা নন। আর পূজন তো শত যোজন দূরে।বলছেন রাজনীতিকরা। এখন পর্যন্ত পূজনের যে টিডিএফের প্রতি প্রেম শেষ হয়নি, তার প্রমাণ পাওয়া যায় পূজনের ফেসবুকের দিকে তাকালেই। পূজন বিশ্বাসের এই দুই নৌকায় ভেসে বেড়ানো ভালো চোখে দেখছে না নিষ্ঠাবান তৃণমূল কর্মীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *