।।রাজু বর্মন ও বিমান দাস।।

ডেস্ক রিপোর্টার, ৮জানুয়ারী।
   ফের কেপে উঠবে বুলেটের শব্দে!ঝরবে তাজা রক্ত! অপরাধের এই প্রতিচ্ছবি এখন ফুটে উঠছে শহর সংলগ্ন ঊষা বাজারের অন্ধকার জগতের ক্যানভাসে। সিপিডব্লিউ’ র দুই গোষ্ঠী এখন আড়াআড়ি ভাবে দুই ভাগে বিভক্ত। রাজু বর্মন ও বিমান দাসের মধ্যে চলছে তীব্র সংঘাত। রাজু – বিমানের সম্পর্ক এখন সাপে-নেউলের। অথচ এক সময়ে তাদের মিত্রতার দৃষ্টান্তের ছবি গোটা ঊষা বাজারের ছিলো ফ্রেমে বাঁধানো। ঊষাবাজারের সিপিডাব্লিউডি নিগোসিয়েশন কাণ্ডের মাষ্টার মাইন্ড রাজু বর্মন তার একসময়ের রাইটহ্যান্ড বিমান দাসের বিরুদ্ধে এয়ারপোর্ট থানায় মামলা দায়ের করেছে। বিমান এয়ারপোর্ট অঞ্চলে সাধারন মানুষ,ঠিকাদার, ব্যবসায়ীদের কাজ থেকে তোলা আদায় করছে। রাজুর ব্যবসার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এবং নারী সংক্রান্ত ঘটনায় জড়িয়ে দিয়ে বিমানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে রাজু বর্মন। যদিও পুলিশ এই মামলা নিয়ে আপাতত মাথা ঘামাচ্ছে না।


ঊষা বাজার সিপিডব্লিউডি নিগোসিয়েশন বাণিজ্যের অন্দর মহলের তথ্য বলছে, নিগোসিয়েশন ব্যবসার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে রাজু বর্মনের সঙ্গে বিমান দাসের ঝামেলা শুরু হয়। নিগোসিয়েশন বাণিজ্যের সিংহ ভাগ টাকা নিজের পকেটে পুড়ছে রাজু। তার সঙ্গে রয়েছে প্রভাকর ঘোষ সহ আরো কয়েকজন। এক্ষেত্রে অস্ত্র কারবাররী বিমান সহ বাদবাকিদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। এই সূত্র ধরেই রাজু – বিমান দুই দাগি সমাজদ্রোহীদের মধ্যে শুরু হয় ঝামেলা। বিমান দাসের বিরুদ্ধে রাজু থানায় মামলা করতে বাধ্য হয়।

বিজেপির মিছিলে সমাজদ্রোহী রাজু (লাল বৃত্তের মধ্যে)।

সমাজদ্রোহী রাজু বর্মনকে রাজনৈতিক ভাবে চাপে ফেলতে বড়জলা মণ্ডলকে হাতিয়ার করছে বিমান দাস। রাজু বিরোধী লোকজন সোমবার এক যোগদান সভার আয়োজন করেছে। পর্দার সামনে বড়জলা মণ্ডল।পেছনে সমস্ত দাগি অপরাধীরা। যোগদান সভা উপলক্ষ্যে ঊষা বাজার বিন পাড়াতে গরীবদের প্রদান করা হবে শীত বস্ত্র। যোগদান সভার অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বিজেপির প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য। গোটা অনুষ্ঠানের অন্তরালেও রয়েছে এলাকার ক্ষমতা দখলের নীল নকশা।

অস্ত্র সহ ধৃত বিমান দাস (ফাইল ছবি)

এদিকে রবিবার বিনপাড়া মাঠে বড়জলা মণ্ডলের নেতৃত্বে বিমান দাস লোকজন জড়ো করার পর আতকে উঠে রাজু বর্মনও। সেও তার ক্ষমতা প্রদর্শনের জন্য প্রচুর বাহিরাগত লোকজন নিয়ে উৎ পেতে বসে থাকে ভারত রত্ন ক্লাবের প্রাঙ্গণে। প্রায় ঘন্টা পাঁচেক বসে থেকে গোটা পরিস্থিতি পরখ করে রাজু বর্মন ও তার ভাই রাকেশ বর্মন। এক সময়ে পরিস্থিতি তাদের প্রতিকূলে যাওয়ার আশঙ্কায় ক্লাব প্রাঙ্গন থেকে সরে যায়।
       


প্রসঙ্গত রাজু – বিমান উভয়েই পুলিশের তালিকা ভূক্ত অপরাধী। খুন,অপহরন, গুলি কাণ্ড, বোমাবাজি, অস্ত্র ব্যবসা সংক্রান্ত একাধিক মামলা রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।২৩- র নির্বাচনের কয়েকদিন আগে বিমান দাসকে অস্ত্র সহ গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তখন বিমানের পাশের গাড়িতেই ছিল রাজু ।পুলিশের উপস্থিতির টের পেয়ে রাজু পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিল। নতুননগর দাবায় বুলেট বৃষ্টি, সন্তোষ সরকার অপহরন ও খুন, দিন দুপুরে বহিঃ রাজ্যের ঠিকাদার অপহরন , জমি ব্যবসা সহ অপরাধের রন্ধে রন্ধে জড়িয়ে আছে রাজু – বিমানের মতো দাগী সমাজদ্রোহীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *