ডেস্ক রিপোর্টার, আগরতলা।।
তৃণমূল কংগ্রেসে সুবল ভৌমিকের চাপ্টার এখন অতীত। এই মুহুর্তে তৃণমূল কংগ্রেসের ক্ষমতার অলিন্দে পর্যবেক্ষক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্য সভার সাংসদ সুস্মিতা দেব।এই দুইজনের কাজিয়াতে এখন জর্জরিত তৃণমূল। রাজীব বন্দোপাধ্যায় সরাসরি দলের হাই কমান্ডের কাছে নালিশ জানিয়েছেন সুস্মিতা দেবের বিরুদ্ধে। তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দর মহলে কান পাতলেই শোনা যায় এই সংক্রান্ত খবর।
খবর অনুযায়ী, সুবল ভৌমিককে প্রদেশ সভাপতির পদ থেকে অপসারণের পর তৃণমূল কংগ্রেসের স্টিয়ারিং চলে আসে রাজীব ও সুস্মিতার হাতে।তবে দলের নিয়ম অনুযায়ী পর্যবেক্ষক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে ক্ষমতা থাকার কথা। সুস্মিতা দেব শুধু মাত্র কোর কমিটির একজন সদস্য। কিন্তু সুস্মিতা দেব সব ক্ষমতা কুক্ষিগত করার চেষ্টা করছেন।এমন অভিযোগ রাজীব অনুগামীদের।
রাজীব ঘনিষ্ঠদের বক্তব্য, নানান ইস্যুতে সুস্মিতার সঙ্গে রাজীবের মতানৈক্য ঘটছে। অভিযোগ, সুস্মিতা দেব নিজেই কিছু কিছু ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলছেন।সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর রাজীবকে জানানো হচ্ছে। সুস্মিতার এই রকম কার্যকলাপ কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারছেন না রাজীব। কিন্তু রাজীবকে পাত্তা দিতে নারাজ সুস্মিতা।তিনি এখানে সমান্তরাল ভাবে একটা গ্রুপ তৈরির চেষ্টা করছে।যুব তৃণমূলকে নিজের গ্রিপে রাখার জন্য টেনে টোনে আট ক্লাস পর্যন্ত পড়াশুনা করা শান্তনু সাহাকে সভাপতি করে দিয়েছেন সুস্মিতা। রাজনৈতিক অঙ্গনেও দুধভাত শান্তনু।
তাতে নাকি সায় ছিলো না রাজীব বন্দোপাধ্যায়ের।কিন্তু নাছুর বাধা সুস্মিতা দেব।দলের যুব সভাপতি হওয়া জন্য বেশ কিছু উচ্চ শিক্ষিত এবং রাজনৈতিক ভাবে পরিপক্ক যুবকরা ছিলো। অথচ তাদেরকে যুব তৃণমূলের সভাপতি করেন নি সুস্মিতা। তা নিয়ে রাজীবের সঙ্গে সুস্মিতা দেবের অনেক ঝামেলা হয়েছিলো। শান্তনুর ক্ষেত্রে সুবলেরও প্রচ্ছন্ন মদত ছিলো।
প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে এরকম প্রচুর বিষয় নিয়ে সুস্মিতার সঙ্গে রাজীব বন্দোপাধ্যায়ের মতভেদ তৈরি হয়।সব মিলিয়ে সুবল ভৌমিককে সভাপতির পদ থেকে সরানোর পর তৃণমূলের সংসারে অশান্তি কমেনি।আগামী কিছু দিনের মধ্যে ফের দলের সভাপতির দায়িত্বে বসানো হবে কাউকে।তখন তৃণমূলের ঘরোয়া অবস্থা আরো করুন হয়ে উঠবে। এটা আচ করতে পেরেই প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়টি দলের ঊর্ধ্বতন কর্তপক্ষকে জানিয়ে দিয়েছেন। তাও আবার লিখিত ভাবে। অর্থাৎ সুবল ভৌমিকে বিশ্বাস করে উপভোটে ঠক ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।এখন আবার সুস্মিতাকে ফ্রি হ্যান্ড দিলে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ফের ভুগতে হতে পারে তৃণমূল কংগ্রেসের।
