ডেস্ক রিপোর্টার,২৮ জানুয়ারি।।
        সম্প্রতি ঊষা বাজারে পুলিশের টাকা পয়েন্টে চেকিংয়ের সময় অস্ত্র সহ গ্রেপ্তার হয়েছিল দাগি অপরাধী বিমান দাস। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল একটি পিস্তল ,দুইটি ম্যাগাজিন ও ৪৬ রাউন্ড তাজা কার্তুজ।  বিমান দাস রাজধানীর একজন দাগি অপরাধী।তার বিরুদ্ধে পুলিশের খাতায় আরো বহু মামলা ঝুলছে। বহির রাজ্যে ও রয়েছে মামলা। নেশা কারবার থেকে শুরু করে অস্ত্র কারবার সবকিছুতেই সিদ্ধহস্ত বিমান।শুধু তাই নয় সুপারি কিলার হিসেবেও বিমানদাসের হাক ডাক রয়েছে অপরাধ জগতে।
          রাজধানীর দিলীপ ঘোষ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি  ছিল বিমান। ২০১৪ সালে বিমান দাস আগ্নেয়াস্ত্র ও তাজা  বুলেট সহ  গ্রেপ্তার হয়েছিল মনিপুরে। দীর্ঘ ৯ মাস মনিপুরে আদালতে ছিল বিমান। শেষ পর্যন্ত আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে আগরতলায় আসে। তারপরেও তার অপরাধ জগতের থেকে মোহ শেষ হয়নি ।বরং তার মোহ আরো গভীর হয় ।২০১৫ সালে বিমান দাসকে গান্ধীগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। তখনও তার কাছে পাওয়া গিয়েছিল হেরোইন ।সঙ্গে ছিল রিভলবার ও তাজা বুলেট।এই মামলা এখন আদালতে বিচারাধীন। এর আগে যাত্রাপুর থানাতেও প্রচুর পরিমাণ নেশা সামগ্রী সহ গ্রেপ্তার হয়েছিল বিমান দাস। তখনও তার ব্যাগ থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল আগ্নেয়াস্ত সহ ম্যাগজিন ও তাজা বুলেট। শেষ পর্যন্ত বিমান দাস ফের গ্রেপ্তার হয় উষা বাজার। তাও আবার পিস্তল, বুলেট ও ম্যাগাজিন সহ। বিমান দাস বিমান  যে একজন দাগি অপরাধী তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তার ক্রাইম  রেকর্ড থেকেই সব স্পষ্ট। সম্প্রতি শহরের নতুন নগর গুলি কাণ্ডেও জড়িত ছিল বিমান দাস সে নিজেই এই ঘটনার মাস্টারমাইন্ড।
          প্রশ্ন হচ্ছে এখন পর্যন্ত চারবার নেশা  সামগ্রী ও অস্ত্র সহ বিমান গ্রেপ্তার হয়েছে।তাও ভিন্ন ভিন্ন স্থানে । কিন্তু তারপরও বিমান দাস কিভাবে আইনের হাত থেকে ছাড়া পেয়ে যায়। প্রতিবারই  জেল থেকে বেরিয়ে ফের নিজের অপরাধ বাণিজ্যের প্রসার ঘটানোর ক্ষেত্রেই মনোনিবেশ করে বিমান ।তারপরও কেন দাগি অপরাধী বিমানের বিরুদ্ধে রাজ্য আরক্ষা দপ্তর নাসা আইন প্রয়োগ করছে না? জনমনে উঠছে প্রশ্ন।
             অপরাধ জগতের খবর অনুযায়ী, ধৃত বিমান দাসদের সঙ্গে রাজনৈতিক নেতাদের গভীর অন্তরঙ্গতা রয়েছে। এই কারণেই বিমান একের পর এক অপরাধ সংঘটিত করলেও আইনের পিঞ্জরাতে তাকে থাকতে হয় না ।সাময়িকভাবে কিছুদিন থাকলেও পরবর্তী সময়ে বেরিয়ে আসে। এবং ফের জড়িত হয় অপরাধচক্রের চক্রব্যূহের মধ্যে। উপার্জন করে অঢেল অর্থ।একই সঙ্গে বিমান দাস বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের নিগোসিয়েশন বাণিজ্যের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। উষা বাজারে সিপিডব্লিউডির নিগো বাণিজ্যের সঙ্গে বিমান দাস জড়িত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *