ডেস্ক রিপোর্টার,৩১জানুয়ারি।।
রাজ্য রাজনীতিতে তৃণমূল কংগ্রেস প্রায় অপ্রাসঙ্গিক।লোকজন হাতে গোনা কয়েকজন। টেনে টুনে ২২আসনে প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল। তারমধ্যেই তৃণমূলের সংসারে তীব্র অশান্তি। কাঞ্চনপুরে ক্ষুব্ধ কর্মীরা বন্ধ করে দিলো তৃণমূল কংগ্রেসের ঝাঁপ।
মঙ্গলবার তৃণমূল কর্মীরা কাঞ্চনপুর অফিসের দরজা বন্ধ করে দেয়। তারা অফিস থেকে দলীয় পতাকা বের করে ফেলে দেয় । ভেঙ্গে ফেলে দেয় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। এত ক্ষোভের কারণ কি? তৃণমূল কংগ্রেসেও প্রার্থী নিয়ে সমস্যা। উত্তর জেলার বিভিন্ন আসনে তৃনমূল কংগ্রেস প্রার্থী দিয়েছে। তবে প্রার্থী পছন্দ হয়নি দলের স্থানীয় নেতা কর্মীদের। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব তৃণমূল স্তরের নেতাদের কথার কোনো গুরুত্ব দেয়নি।এই কারণেই ক্ষুব্ধ কর্মীরা অফিস ভাঙচুর করে। উত্তর জেলাতে তৃণমূল এতো দিন টিম টিম করছিল।কিন্তু এখন বাতি জ্বালানোর লোক নেই।বলছে কর্মীরা। যাঁরা ছিলেন, তারা ক্ষোভে ছেড়ে চলে যান।
২৩ – র ভোটের প্রাক লগ্নে তৃণমূল কংগ্রেসের এই চেহারা দেখে ভেঙ্গে পড়েছে দলীয় কর্মীরা।তাদের বক্তব্য, একাংশ নেতার জন্য তৃণমূল এই রাজ্যে মাথা তুলে দাড়াতে পারে নি। নেতৃত্বের ভুল সিদ্ধান্তের কারণে সম্ভাবনাময় তৃণমূল বারবার হাঁটু ভেঙে গেছে। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কিছুই করতে পারবে না। উত্তর জেলার বিভিন্ন জায়গাতেও ক্ষোভে ফেটে পড়ছে কর্মীরা।
তৃণমূল কংগ্রেস এবারের নির্বাচনেও কোনো ফ্যাক্টর হবে না।কারণ তৃণমূল প্রার্থীদের এবারের নির্বাচনেও জামানত জব্দ হবে।উপ নির্বাচনের তুলনায় বিধানসভা নির্বাচনে আরোও খারাপ রেজাল্ট করবে।নেতাদের কারণে মমতা – অভিষেকের ইজ্জতকে নিলামে তুলছে দলীয় নেতৃত্ব।২৩- র বিধানসভা নির্বাচনের পরাজয়ের পর আর ত্রিপুরা নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করবেন না।এমনটাই বলছে খোদ তৃণমূল কর্মীরা। কাঞ্চনপুরে সমস্ত কর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে দেও নদীর জলে ভাসিয়ে দিয়েছে তৃণমূলের আস্ত অফিস,দাবি কর্মীদের।