ডেস্ক রিপোর্টার,৩১জানুয়ারি।।
      গোটা রাজ্যে পদ্ম শিবিরে ঘোলাটে পরিস্থিতি।ধর্মনগর থেকে সাব্রুম সর্বত্র বিক্ষিপ্ত ভাবে বিদ্রোহের আগুন।ভোটের মুখে দল ছাড়ছে নেতা – কর্মীরা।
প্রার্থী তালিকায় নাখুশ তারা।
   শাসক দল বিজেপি ২৩- র ভোট যুদ্ধে নামার আগেই কম – বেশি ধাক্কা খাচ্ছে বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্রে।অনেকে প্রকাশ্যে বিদ্রোহ করছে। আবার অনেকে করছে নীরব বিপ্লব। তার প্রভাব পড়বে আগামী ১৬ফেব্রুয়ারি ভোট বাক্সে।বলছেন খোদ দলীয় কর্মীরা। তারা ক্ষোভে ফেটে পড়ছে।ঝুলিয়ে দিচ্ছে দলীয় কার্যালয়ে তালা।
   বিজেপির প্রার্থী ঘোষণার পর প্রথম বিদ্রোহ শুরু হয় উনকোটি জেলার চন্ডিপুর বিধান সভায়। এই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী করেছে দলের দুর্নীতিবাজ নেতা টিংকু রায়কে। মানুষ টিংকুকে মেনে নিতে পারেনি। ক্ষুব্ধ কর্মীরা মণ্ডল কার্যালয়ে থাকা নথী পত্র বাইরে ফেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। ভেঙে দেয় বিভিন্ন বুথ অফিস। অর্থাৎ টিংকুকে টিকিট দেওয়ার কারণে বিদ্রোহের আগুনে ধাও ধাও করে জ্বলে উঠেছিল আগুন টিংকুকে টিকিট দেওয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে বিজেপি ছেড়েছেন দলের দীর্ঘদিনের পোড় খাওয়া লড়াকু নেতা তথা জেলার প্রাক্তন সভাপতি রঞ্জন সিনহা শেষ পর্যন্ত দল ছাড়া অপরাধে রঞ্জন সিনার উপর নেমে আসে প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক চাপ তাদের বাড়িঘর থেকে বের হওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে যায় খোদ প্রশাসনিক লোকজন তাদেরকে হুমকী  হুজ্জুতি দিতে থাকে।এরকম অভিযোগ রঞ্জন সিনহার পরিবারের সদস্যদের।বাধ্য হয়ে তিনি তিপ্রামথাতে যোগ দেন।এবং চন্ডীপুর থেকে তিনি মথার টিকিটে লড়াইও করবেন।
       বাগবাসা কেন্দ্রেও একই অবস্থা। যাদব লালকে কেউ প্রার্থী হিসাবে মেনে নিতে পারেনি। তাই আছড়ে পড়ে বিক্ষোভ । এখানেও ভাঙচুর হয়।মণ্ডল সভাপতি নিজেই নির্দল থেকে প্রার্থী হবেন বলে ঘোষনা করেন।এই কেন্দ্র থেকে যাদব লাল নাথের পাশ করা কঠিন হয়ে উঠবে বলেই মনে করছে স্থানীয় লোকজন।
           জোলাই বাড়িতেও একই অবস্থা।বিজেপি ঢাল তলোয়ার হীন তাদের শরীক দল আইপিএফটি কে আসনটি ছেড়ে দেয়। তা মেনে নিতে পারেন নি দলীয় কর্মকর্তারা।তারা পার্টি অফিসে ঝুলিয়ে দেয় তালা। একই পরিস্থিতি কাঞ্চনপুরে।বিজেপি এই আসনে প্রার্থী করেছে মন্ত্রী প্রেম চন্দ্র রিয়াংকে।তিনি শরীক দল আইপিএফটির নেতা। এলাকাতে তার কোনো জন প্রিয়তা নেই।কাজ করেনি মানুষের জন্য ।বিজেপি নেতৃত্ব সব জেনে বুঝে আসনটি আই পি এফ টি কে ছেড়ে দেয়।আর তাতেই শুরু হয় অশান্তি। কাঞ্চন পুর মণ্ডলের সমস্ত নেতৃত্ব এক হয়ে যায়। এবং তারা নির্দল হিসাবে কাঞ্চন পুরে গুঁজ প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।নেতৃত্ব সাংবাদিক সম্মেলন করে স্পষ্ট ভাবে একথা জানিয়ে দেন ।
    বিজেপিকে আরোও বড় ধাক্কা দেন যুবরাজ নগর।এই বিধানসভা কেন্দ্রের নেতা তথা ডক্টর তমজিত নাথ তিন হাজার ভোটার নিয়ে বিজেপিকে আলবিদা জানিয়ে দেন। সঙ্গে বিভিন্ন স্তরের নেতা ও জন প্রতিনিধি রয়েছে। তমজিত জানিয়েছেন তার ক্ষোভের কথা।
        শাসক দলকে সরাসরি হুমকি দিয়েছেন আমবাসার বিধায়ক পরিমল দেববর্মা। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দলের নেতৃত্বকে কটু ভাষায় আক্রমণ করেন। তিনি বুঝিয়ে দেন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে আমবাসা কেন্দ্রে বিজেপিকে জয় পেতে অনেক কাঠ-খর পোড়াতে হবে ।
    পরিষ্কার করে বললে প্রার্থী ঘোষণা পর থেকেই শাসকদলের অন্দরে ছড়িয়ে পড়ে বিদ্রোহের আগুন। অনেক জায়গায় বিদ্রোহের বহিঃপ্রকাশ হয়েছে। আবার কোন কোন জায়গায় কর্মীরা তাদের ভেতরে চলতে থাকা আগুন ছাই চাপা দিয়ে রেখেছে। তবে ছাই চাঁপা আগুন বেশিক্ষণ থাকতে পারে না। যেকোনো সময় ছাই সরে গেলে দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে আগুন।আগুনের লেলিহান শিখা লাফিয়ে লাফিয়ে বিস্তার লাভ করতে পারে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি। তাই,সাধু সাবধান।
      

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *