ডেস্ক রিপোর্টার,২৫ সেপ্টেম্বর।।
                রাজ্যের মুকুটে ফের নতুন পালক।দেশের মদ সেবনকারী প্রথম দশের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে পার্বত্য ত্রিপুরা। দখল করেছে আট নম্বর স্থান। “ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেল্থ সার্ভে – ফাইভ” বা  “জাতীয় পারিবারিক স্বাস্থ্য জরিপ- ৫” এই সংক্রান্ত তথ্য সামনে এনেছে।
         গোটা দেশে বিভিন্ন রাজ্যের অ্যালকোহল ব্যবহারকারীদের উপর সমীক্ষা করে জাতীয় পারিবারিক স্বাস্থ্য কল্যাণ মন্ত্রক। তাদের করা জরিপ থেকে বেরিয়ে আসে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে প্রতিদিনের অ্যালকোহল ব্যবহারের পরিসংখ্যান। তবে এই সমীক্ষা হয়েছে ১৫বছরের ঊর্ধ্বে থাকা লোকজনকে নিয়ে।


জাতীয় পারিবারিক স্বাস্থ্য জরিপের তথ্য অনুযায়ী, গোটা দেশে গড়ে প্রতিদিন অ্যালকোহল ব্যবহার হয় ৯.৯১ শতাংশ। ত্রিপুরাতে প্রতিদিন গড়ে অ্যালকোহল ব্যবহার করে ১৯.৬৮ শতাংশ মানুষ। দেশে মানচিত্রের দিকে তাকালে ত্রিপুরার স্থান আট নম্বরে। এবং উত্তর – পূর্বাঞ্চলের রাজ্য গুলির মধ্যে ত্রিপুরা রয়েছে তিন নম্বরে।অ্যালকোহল ব্যবহারকারী রাজ্যগুলির প্রথম দশটি মধ্যে উত্তর – পূর্বাঞ্চলের পাঁচ রাজ্য রয়েছে।
        সমীক্ষার প্রাপ্ত তথ্য বলছে,অ্যালকোহল ব্যবহারকারীদের মধ্যে দেশের প্রথম দশ রাজ্যের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে অরুণাচল প্রদেশ।এই রাজ্যে ৩৮.৪২শতাংশ মানুষ প্রতিদিন অ্যালকোহল সেবন করে থাকে। দ্বিতীয় স্থানে উত্তর – পূর্বের আরেক রাজ্য সিকিম। সিকিমের ২৮.১১শতাংশ মানুষ প্রতিদিন গড়ে মদ সেবন করে। তালিকার তিন নম্বর স্থানে তেলেঙ্গানা।প্রতিদিন ২৪.৬১শতাংশ মানুষ তেলেঙ্গানাতে ফরেন লিকার গ্রহণ করে থাকে। চার নম্বরে আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে। সেই রাজ্যে প্রতিদিন ২২.২২শতাংশ মদ সেবন করে। পাঁচ নম্বরে গোয়া। সমুদ্র সৈকতের এই রাজ্যের ২০.৯৪ শতাংশ মানুষ প্রতিদিন মদ্য পান করে। ষষ্ঠ স্থানে ঝাড়খণ্ড। এই রাজ্যে প্রতিদিন মদ্যপায়ীদের শতকরা হার ২০.১৫শতাংশ। সাত নম্বর স্থানে ছত্রিশগড়। গড়ে প্রতিদিন ১৯.৬৯ শতাংশ মানুষ ছত্রিশগড়ে মদ্য পান করে থাকে। তালিকার অষ্টম স্থানে জ্বলজ্বল করছে পার্বত্য ত্রিপুরার নাম। প্রতিদিন গড়ে এই রাজ্যে ১৯.৬৮ শতাংশ মানুষ বিলেতি মদে প্রতি হাবি হয়।


ত্রিপুরার পরেই রয়েছে প্রথম দশের শেষ দুই রাজ্য উত্তর – পূর্বাঞ্চলের মনিপুর ও মেঘালয়। নবম স্থানে থাকা মনিপুরে প্রতিদিন গড়ে ১৮.৪৭ শতাংশ মানুষ মদ পান করে থাকে। তালিকার শেষে অর্থাৎ দশম স্থানে আছে মেঘালয়।এই রাজ্যে প্রতিদিন ১৬.৬৫ শতাংশ মানুষ বিলেতি মদে লীন হয়ে থাকে।


রাজ্যের আবগরি দপ্তরের খবর অনুযায়ী,গত সাড়ে চার বছরে  তুলনা মূলক ভাবে রাজ্যে বৃদ্ধি পেয়েছে ফরেন লিকারের দোকানের সংখ্যা। ব্যবসা বৃদ্ধির জন্য সরকার অনেক লাইসেন্সও দিয়েছে।ফরেন লিকার থেকে তুলনা মূলক ভাবে কোষাগারে বাড়ছে করের পরিমাণও।এটা অবশ্যই বাণিজ্যিক ভাবে ভালো লক্ষণ। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কথায়, রাজ্যে ফরেন লিকারের ব্যবসা বাড়ার পাশাপশি  ডেকে আনছে কুফলও। রাজ্যে  মদ্যপায়ীদের সংখ্যা বাড়ছে। তার সঙ্গে পালা দিয়ে সংশ্লিষ্ট মধ্যপায়ীদের শরীরে বাসা বাঁধছে বিভিন্ন রোগের সংখ্যাও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *