ডেস্ক রিপোর্টার,২৬ আগস্ট।।
যে কোনো সময় রাজ্যে বেজে উঠবে আগরতলা পুর নিগমের নির্বাচনের নির্ঘন্ট।সঙ্গে অন্যান্য পুর সংস্থা ও নগর ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হতে পারে। রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে এমনই খবর। নির্বাচনের নির্ঘন্ট যে খুব শীঘ্রই ঘোষণা হতে চলেছে তা বিলক্ষণ বুঝতে পেরেছে রাজ্যের শাসক দল বিজেপি।এই কারণেই পুর ও নগর ভোটকে পাখির চোখ করে সমস্ত রণ কৌশল তৈরি করছে বিজেপি। প্রতিটি মন্ডল ও জেলা কমিটি সহ রাজ্য কমিটিকে এই সংক্রান্ত বিষয়ে অবগত করেছে রাজ্য কমিটি। রাজনীতিকরা বলছে,এবারের পুর ও নগর ভোট হবে ২৩-র সেমিফাইনাল।হঠাৎ করে তৃণমূল কংগ্রেস মাথাচাড়া দেওয়াতে বিজেপি আরো বেশি সুসংঘটিত হয়ে মাঠে বিচরণ করতে শুরু করেছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেত্রী প্রতিমা ভৌমিকের উপস্থিততে আশীর্বাদ যাত্রার মাধ্যমে ফের নিজেদের শক্তির জানান দিতে পেরেছে বিজেপি।রাজ্য রাজনীতিতে ধারেবারে বিজেপির কাছে কেউ নেই। বলছেন রাজনীতিকরা।
তৃণমূল কংগ্রেস চেষ্টা করছে গত কয়েকদিন ধরে।তারা সেই অর্থে দলকে টেনে নেওয়ার জন্য প্রকৃত কোনো মুখের সন্ধান পায়নি।এখনো দল দাঁড়াতে পারেনি শক্ত ভিতের উপর।নেতারা খেলা হবে স্লোগান দিলেও বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়ে পুর ভোটে দল কতটা সফলতা পাবে তা বলা কঠিন।
রাজ্যের প্রধান বিরোধী শক্তি সিপিআইএম’রও পায়ের নিচে জমি নেই।তৃণমূল কংগ্রেস রাস্তায় নামার সঙ্গে সঙ্গে বামেরাও তাদের সাংগঠনিক কার্যকলাপ শুরু করে দিয়েছে।কিন্তু বড় অংশের মানুষ এখনও বামেদের প্রতি বীতশ্রদ্ধ।তারা বামেদের জায়গা দিতে রাজি নয়।বামেরা যে পুর ও নগর ভোটে ক্ষমতা দখল থেকে কয়েক হাজার যোজন দূরে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।আর বাদবাকি কংগ্রেস।তাদের অবস্থা খুব করুন।তৃণমূল দুমড়েমুচড়ে দিয়েছে কংগ্রেসকে। কংগ্রেস এখন অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াইয়ে ব্যস্ত। বাকি রইলো তিপ্রামথা।তিনটি ওয়ার্ডের তারা প্রার্থী দেবে।এই ঘোষণা দিয়েছিলেন দলের সুপ্রিমো প্রদ্যুত কিশোর। পুর ভোটে সিন্ধুতে বিন্দুর মত অবস্থা প্রদ্যুতের তিপ্রার।এই চিত্র থেকে পরিস্কার পুর ভোটে শাসক দল বিজেপিকে টেক্কা জন্য নেই কোনো রাজনৈতিক শক্তি নেই।বিজেপি হাসতে হাসতেই শহর থেকে নগর সব জায়গাতেই বিজয় কেতন উড়াবে।
রাজনীতির এই পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেই বিজেপি নেতৃত্ব বুথ থেকে রাজ্য স্তর পর্যন্ত নিজেদের ঘর গুছিয়ে নিয়েছে ইতিমধ্যে।দলের একাংশ নেতা কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ থাকলেও অনেকটা ড্যামেজ কন্ট্রোল করেছেন প্রতিমা ভৌমিক।সঙ্গে দলের সভাপতি মানিক সাহা।সর্বোপরি মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।
সব মিলিয়ে বিনা দুরচিন্তাতেই হট ফেভারিট হিসাবেই পুর ও নগর ভোটের ময়দান কাঁপতে গেরুয়া শিবিরের খেলোয়াররা। ধারণা রাজনীতির বিশারদদের।