ডেস্ক রিপোর্টার,২৬ আগস্ট।।
রাজধানী কি ফের হবে রক্তস্নাত? “পাথর বাণিজ্যে”র সিন্ডিকেটের সূত্র ধরে তপ্ত হয়ে উঠছে শহর দক্ষিণের পশ্চিম প্রতাপগড় এলাকা।পশ্চিম প্রতাপগড়ের যুবক মাসুক মিয়া।সে পাথর বাণিজ্যের একজন চাই। অভিযোগ,মাসুক মিয়া নিজেকে আন্ত রাজ্য পাথর ব্যাবসায়ী পরিচয় দিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে মোটা অংকের টাকা। অর্থাৎ স্থানীয় পাথর ব্যবসায়ীদের পাথর সরবরাহ করার নাম করে মাসুক মিয়া কয়েক কোটি টাকা বগল দাবা করেছে। পাথর ব্যবসার অন্তরালে মাসুক মিয়া অস্ত্র ও মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত। তার নেট ওয়ার্ক ছড়িয়ে রয়েছে ভিন রাজ্য সহ বাংলাদেশেও।
খবর অনুযায়ী, পশ্চিম প্রতাপগড়ের বাসিন্দা মাসুক মিয়া তার প্রতিবেশী স্থানীয় পাথর ব্যবসায়ী মফিজউদ্দিন মিয়ার সঙ্গে প্রথমে ব্যাবসা শুরু করে।পাথর দেওয়ার নাম করে ধাপে ধাপে মফিজ উদ্দীনের কাছ থেকে ৮০ লক্ষ টাকা নিয়ে যায়।তার মধ্যে ২৫লক্ষ টাকার পাথর মাসুক দেয় মফিজউদ্দীনকে।এরপরই হাত গুটিয়ে নেয় মাসুক। পাথরের পরবর্তী চালান পাঠায়নি মফিজকে।এই নিয়ে মফিজের সঙ্গে মাসুকের ঝামেলা শুরু হয়। পাথর ও টাকা খুঁজলেই মাসুক মিয়া মফিজউদ্দীনকে পাল্টা হত্যার হুমকি দেয়।বেশ কিছুদিন মাসুক পিস্তল হাতে নিয়ে ঘুরাফেরা করতো প্রতাপগড় এলাকায়।উদ্দেশ্য ছিলো মফিজকে খালাস করার। এই বিষয়টি আচ পেয়ে যান পাথর ব্যবসায়ী মফিজউদ্দীন।
ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর মাসুক মিয়া এলাকা ছেড়ে বিশালগড় শশুর বাড়ীতে চলে যায়।সেখানে বসে মফিজউদ্দীনকে খালাসের ছক কষতে শুরু করেছে বলে খবর।রাজধানীর আরো বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীকে পাথর সরবরাহ করবে বলে কয়েক কোটি টাকা বগল দাবা করেছে মাসুক মিয়া। সম্প্রতি বহিঃ রাজ্যের এক ব্যবসায়ী এসেছিলেন আগরতলায়।মাসুক মিয়ার কাছ থেকে পাওনা টাকা নেওয়ার জন্য। অভিযোগ, মাসুক মিয়া এই ব্যাবসায়ীকে টাকা ফেরত দেবে বলে হোটেল থেকে ডেকে নিয়ে যায় তার গোপন ডেরায়।সেখানে বহিঃ রাজ্যের ব্যবসায়ীকে হত্যার চেষ্টা করে। জখম করে গুরুতর ভাবে।এই ব্যবসায়ী রক্তাক্ত অবস্থায় মাসুক মিয়ার ডেরা থেকে ফিরে এসে পশ্চিম থানায় মামলা দায়ের করেন।কিন্তু পুলিশ তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করে নি এখন পর্যন্ত।
কে এই দুর্দণ্ড প্রতাপ স্ব-ঘোষিত প্রতারক পাথর ব্যবসায়ী? পশ্চিম প্রতাপগড়ের প্রতাপ সংঘ এলাকার বাসিন্দা মাসুক।এক সময় তার সংসারে “নুন আনতে পান্তা ফুরাতো”।একে বারে হত দরিদ্র পরিবার।তার বাবা ছিলেন পেশায় রিকশা চালক। চালাতেন ভাড়া করা রিকশা। হত দরিদ্র পরিবারের মাসুক মিয়া এখন প্রায় ২০কোটি টাকার মালিক।তাতে অবশ্যই দোষের কিছু নেই।সাধারণ পরিবার থেকে উঠে এসে কোটি কোটি টাকা রোজগার করলে কাউর কোনো অসুবিধা নেই।কিন্তু যদি প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে মানুষের রক্তের বিনিময়ে টাকা রোজগার করা হয়,সেটা অবশ্যই অপরাধ।মাসুক মিয়া তারা প্রতারণার জাল ভালো ভাবে বিস্তার করতে বহিঃ রাজ্যে গিয়ে আশ্রয় নেয় “পাঁচতারা” হোটেলে।ভিন রাজ্যের পাথর ব্যবসায়ীদের ডেকে আনে হোটেলে।তার চলন-বলনেও থাকে চাকচিক্য।গলায় মোটা সোনার হার।হাতে সোনার আংটি।শরীরের পোশাক থেকে ব্র্যান্ডেড কোম্পানির।সব মিলিয়ে প্রতারণার পাশাপাশি মাদক কারবার ও অস্ত্র কারবারেও হাত পাকিয়ে নিয়েছে প্রতাপগড়ের দাগি সমাজদ্রোহী মাসুক মিয়া।