ডেস্ক রিপোর্টার,৩ নভেম্বর।।
অবশেষে সমস্ত জল্পনা-কল্পনার আবাসন ঘটিয়ে আগরতলা পুর নিগমের ৫১ আসনেই মনোনয়ন পত্র জমা করলো তৃণমূল প্রার্থীরা।তবে সব আসনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দেওয়ার ক্ষেত্রে ত্রাতার ভূমিকা নিলেন বিজেপি’র দুই বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন ও আশীষ সাহা।এবং মান বাঁচালেন তৃণমূল কংগ্রেসের।বঙ্গ নেতৃত্বের কাছে প্রকাশ্যে চলে এলো প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের আহবায়ক সুবল ভৌমিকের ব্যর্থতা।সুবল ভৌমিকের জনপ্রিয়তা যে আগের জায়গাতে নেই তা বুঝতে অসুবিধা হয়নি তৃণমূল কংগ্রেসের থিঙ্ক-ট্যাঙ্কদের।
তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দর মহলের খবর অনুযায়ী, আহ্বায়ক সুবল ভৌমিকের নেতৃত্বে নিগমের সবকয়টি আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি।তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, সুবল অনেকেই অন্তিম সময়ে প্রার্থী হতে রাজি হয়নি। বিজেপি’র রক্তচক্ষুতে তারা ভরকে গিয়েছিলো। তাতে বিপাকে পড়ে যায় তৃণমূল।এই পরিস্থিতিতে কলকাতায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর থিঙ্ক-ট্যাঙ্কদের নিয়ে বৈঠক করেন।কিন্তু কোনো উপায় না পেয়ে অভিষেক সরাসরি ফোনে কথা বলেন বিজেপি’র বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মনের সঙ্গে।শেষ পর্যন্ত দুই নেতার কথোপকথনের পর মাঠে নামেন বিজেপি’র দুই বিধায়ক সুদীপ-আশীষ।তারা নিগমের বিভিন্ন ওয়ার্ডে তাদের অনুগামীদের প্রার্থী করার প্রস্তাব দেন।তৃণমূল কংগ্রেস তাদের প্রস্তাব মেনে নেয়।এবং সেই অনুযায়ী, সুদীপ অনুগামীদের প্রার্থী করে তৃণমূল কংগ্রেস।আর তাতেই শাসক দল বিজেপি’র শিরা-ধমনীতে বেড়ে যায় রক্ত চাপ।বলছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
রাজনীতিকদের দাবি, শাসক দলের দুই বিধায়ক সুদীপ-আশীষ তৃণমূল কংগ্রেসের পাশে দাঁড়িয়ে যাওয়াতে নিঃসন্দেহে শক্তিশালী হয়েছে ঘাসফুল শিবির।চাপ বাড়ছে বিজেপি’র।তাতে ভোটের অংকে লাভালাভ হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা বেড়ে গিয়েছে বামেদের।সব মিলিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সুদীপ-সাহায্য নিয়ে নিগমের ৫১টি আসনে প্রার্থী দেওয়াতে জমজমাট হয়ে উঠেছে শহরের রাজনীতি।
