ডেস্ক রিপোর্টার, ৪মার্চ।।
               রাজ্যের জনজাতিদের স্বার্থে প্রদ্যুৎ কিশোর ভারত সরকার, ত্রিপুরা সরকারের সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি করেছেন। তাতে রাজ্যের জনজাতিদের ইতিহাস, জমির অধিকার, রাজনৈতিক অধিকার, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, পরিচয়, সংস্কৃতি, ভাষা, ইত্যাদি সম্পর্কিত চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। সকল সমস্যা সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে সমাধান করতে সম্মত হয়েছে। এই চুক্তির প্রেক্ষিতে একটি যৌথ ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করার কথা বলা হয়েছে। এই ত্রিপাক্ষিক চুক্তি থেকে রাজ্যের জনজাতিরা কি পাবেন বা কতটা লাভবান হবেন তা বলবে সময়েই তার জন্য অবশ্যই অপেক্ষা করতে হবে আরো কিছুদিন।  


প্রদ্যুৎ কিশোরকে নিয়ে বিজেপি নেতৃত্বের এই তোষণের পেছনে কি শুধু জনজাতি উন্নয়ন নাকি পেছনে রয়েছে অন্য কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য এই প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনীতির অলিন্দে রাজনীতিকরা বলছেন, পাহাড়ে বামেদের কচু কাটা করতে বিজেপির প্রধান অস্ত্র প্রদ্যুৎ কিশোর ঘুরিয়ে বললে ত্রিপুরা মথা এই কারণেই প্রদ্যুৎ জনজাতিদের উন্নয়নের জন্য কৌশলগতভাবে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি করেছে ভারত সরকার। দেশ ও রাজ্যের শাসকদল বিজেপি পাহাড় রাজনীতিতে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতেই প্রদ্যুৎকে বাঁচিয়ে রাখার কৌশল নিয়েছে তার এই একটি পদক্ষেপ হচ্ছে এই ত্রিপাক্ষিক চুক্তি। এর ফলে প্রদ্যুৎ কিশোরও জনজাতিদের সামনে মুখ তুলে কথা বলতে পারবেন।


রাজ্যের পাহাড় রাজনীতিতে প্রদ্যুৎ তথা তিপ্রামথা যতটা সাম্রাজ্য বিস্তার করবে, ততটাই লাভবান হবে বিজেপি।এবং কপাল পুড়বে সিপিআইএমের। এটা বিজেপি বুঝে গিয়েছে। মথা ম জীবিত থাকলে পাহাড়ে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবেনা গণমুক্তি পরিষদ। তাই প্রদ্যুৎকে দিয়ে গণমুক্তি পরিষদকে রাজনৈতিকভাবে টুটি চেপে ধরাই হলো বিজেপির মূল লক্ষ্য।


বিজেপি নেতৃত্ব ভালো করেই জানেন রাজ্যের পাহাড় রাজনীতিতে এখনো তাদের কোন ভিট তৈরি হয়নি ভালোভাবে। যদিও তারা এডিসির বিরোধী দল। প্রদ্যুৎকে ভালোভাবে আঁকড়ে না ধরলে সিপিএম পুনরায় পাহাড়ে তাদের জমি পুনরুদ্ধার করতে ঝাঁপিয়ে পড়বে। এই মুহূর্তে পাহাড়ে বামেরাও পেস খুঁজছে। তারা সুযোগ পেলেই দাড়িয়ে যাবে মাথা তুলে। এই আতঙ্ক বিরাজ করছে বিজেপির নেতৃত্বের মধ্যে। তাই নিজেদের শক্তি কম হওয়ার সুবাদে প্রদ্যুৎকে দিয়েই বামেদের ঘিরে ফেলতে চাইছে প্রদেশ বিজেপি নেতৃত্ব। স্বাভাবিকভাবেই পাহাড় রাজনীতিতে বামেদের আটকে রাখতে প্রদ্যুৎ – হয়ে উঠছেন বিজেপির প্রধান হাতিয়ার। এটা বি লক্ষণ বুঝতে পেরেছেন রাজনীতিকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *