ডেস্ক রিপোর্টার,১৩ জানুয়ারি।।
বীরজিৎ সিংহ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার পর ভাঙ্গন ধরেছিল কংগ্রেসে।প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি(অস্থায়ী) পীযূষ কান্তি বিশ্বাস, প্রাক্তন যুব কংগ্রেস সভাপতি পূজন বিশ্বাস সহ প্রাক্তন বিধায়ক তাপস দে বেরিয়ে গিয়েছিলেন কংগ্রেস থেকে।তারা গঠন করেছিলেন নতুন রাজনৈতিক দল “ত্রিপুরা ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট (টিডিএফ)। সাড়া জাগিয়ে জন্ম হয়েছিলো এই নতুন রাজনৈতিক দলের।পীযূষ কান্তি বিশ্বাস, পূজন বিশ্বাসরা ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন কংগ্রেসের হাই-কমান্ডের উপর। “পীযূষ বিশ্বাসকে নাকি পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার অনুমতি দেয় নি হাই-কমান্ড।”—এই সংক্রান্ত অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন টিডিএফ নেতৃত্ব।
রাজনৈতিক মহল ধারণা করেছিলো টিডিএফ সদ্য সমাপ্ত পুর ভোটে প্রার্থী দেবে।কিন্তু পীযূষ বিশ্বাসের নতুন দল সেই পথে হাটে নি।পুর ও নগর ভোটে নীরব ছিলো টিডিএফ।পুর ভোট শেষ হওয়ার পরেও টিডিএফের কোনো কর্মসূচি নজরে পড়ে নি প্রকাশ্যে।স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে কোথায় গেল পীযূষ কান্তি বিশ্বাসের টিডিএফ।তারা এতো নীরব কেন? তাদের উদ্দেশ্যই বা কি?
রাজনীতিকরা বলছে, চটজলদি একটা আবেগ ও ক্ষোভ থেকেই পীযূষ কান্তি বিশ্বাসের দলের জন্ম।এরকম ভাবে জন্ম নেওয়া কোনো রাজনৈতিক দল আজ পর্যন্ত তার স্থায়িত্ব দিতে পারেনি। রাজনীতির বিশারদরা সুবল ভৌমিকের প্রসঙ্গ টেনে বলেন,তিনিও কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে গঠন করেছিলেন”গ্রামীন কংগ্রেস”।কিন্তু গ্রামীন কংগ্রেস রাজ্য রাজনীতির বাজারে বেশি দিন স্থায়ী হয়নি।শেষ পর্যন্ত সুবল ভৌমিক তাঁর গ্রামীন কংগ্রেসকে কুলুঙ্গিতে রেখে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপি’তে।তারপর ফের কংগ্রেস হয়ে এখন তৃণমূল কংগ্রেসে আছেন তিনি।
রাজ্য রাজনীতির অঙ্গনে এর আগেও আবেগ ও ক্ষোভ থেকে এরকম দল তৈরি করেছিলেন রাজনৈতিক নেতারা।কিন্তু রাজনীতির অঙ্গনে এই সমস্ত দলের টেক সই বেশি দিন হয়নি। প্রতিটি দলের আয়ুষ্কাল ছিলো খুব কম সময়।পরবর্তী সময়ে এই সমস্ত দল গঠনকারী নেতারা ফের সামিল হয়েছিলেন নিজেদের পছন্দের জাতীয় দলে।
রাজনীতিকরা প্রশ্ন তুলেছেন এখন কি হবে পীযূষ কান্তি বিশ্বাসের রাজনৈতিক ভবিষ্যত? তিনি কি টিডিএফ নিয়েই থাকবেন?নাকি অপেক্ষায় আছেন কংগ্রেসের “সুদীপ”জামানার? নাকি সব ছেড়ে তিনিও মিশে যাবেন শাসক দল বিজেপি’র ভিড়ে? তা নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।কারণ বিভিন্ন সময়ে রাজ্যের জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতারা ছোট ছোট দল করে টিকে থাকতে পারেন নি।সেই তুলনায় রাজ্য রাজনীতিতে পীযূষ কান্তি বিশ্বাসের তেমন কোনো জনপ্রিয়তা নেই।একই অবস্থা তাঁর ছেলে পূজন বিশ্বাসের।তাপস দে সুদীর্ঘ অতীতের অস্পষ্ট ছায়া মাত্র। এই ত্রয়ী শক্তিকে দিয়ে টিডিএফের পক্ষে রাজ্য রাজনীতির লেখচিত্রে বিচরণ করা প্রায় অসম্ভব। এমন মত পোষণ করেছেন রাজনীতির প্রাজ্ঞরা। তাই তারা টিডিএফকে ক্ষণস্থায়ী রাজনৈতিক দলের তালিকাতেই রাখতে চাইছেন বলে জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *