ডেস্ক রিপোর্টার,১৩জানুয়ারি।।
রাজ্যের মানুষের কল্যানার্থে এগিয়ে এলো দুই বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান শ্যাম সুন্দর জুয়েলার্স ও সেরাম গ্রুপ। বুধবার আত্ম প্রকাশ ঘটলো শ্যাম সুন্দর জুয়েলার্সের হেলথ কার্ড ও সেরাম গ্রুপের গোল্ড কার্ড।এদিন আগরতলা প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে শ্যাম সুন্দর জুয়েলার্সের কর্ণধার রূপক সাহা ও সেরাম গ্রুপের চেয়ারম্যান সঞ্জীব আচার্য যৌথভাবে হেলথ কার্ড ও গোল্ড কার্ডের উদ্বোধন করেন।ত্রিপুরা ও পশ্চিম বাংলায় হেলথ কার্ড ও গোল্ড কার্ডের সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন মানুষ। অনুষ্ঠিত সাংবাদিক বৈঠকে একথা জানিয়েছেন দুই ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের দুই কর্তা।
অনুষ্ঠিত সাংবাদিক বৈঠকে শ্যাম সুন্দরের কর্ণধার রূপক সাহা জানিয়েছেন,শ্যাম সুন্দরের হেলথ কার্ড নিয়ে সেরাম গ্রুপের ল্যাব থেকে যেকোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে পারবে মানুষ। তার জন্য প্রতিটি টেস্টে ৩০শতাংশ ছাড় পাওয়া যাবে।এই সুবিধা থাকবে চিরন্তন।শ্যাম সুন্দর থেকে গয়না ক্রয় করলেই খদ্দেররা এই সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।তাছাড়া শ্যাম সুন্দরের এই হেলথ কার্ডের সুবিধা পাবেন কোভিড যোদ্ধা ও সাংবাদিকরা।
সেরাম গ্রুপের চেয়ারম্যান সঞ্জয় আচার্য জানিয়েছেন, সেরাম গ্রুপের দেওয়া গোল্ড কার্ড প্রাপকরা শ্যাম সুন্দর থেকে নির্ধারিত ছাড়ে ক্রয় করতে পারবেন গয়না।কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত গোটা দেশ।এই পরিস্থিতিতে শ্যাম সুন্দর জুয়েলার্স ও সেরাম গ্রুপের এই উদ্যোগকে বাহবা জানিয়েছে শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন মহল।
শুধু তাই নয়।দুই বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে থ্যালাসেমিয়া মুক্ত দেশ গড়ার অঙ্গীকার নিয়েছেন।জানিয়েছেন দুই সংস্থার কর্ণধার। এর অঙ্গ হিসাবে এই দুই সংস্থা যৌথভাবে থ্যালাসেমিয়া মুক্ত ত্রিপুরা গড়ার সংকল্প নিয়েছে। আগামী কিছুদিনের মধ্যেই রাজ্যে “থ্যালাসেমিয়া বাহক”দের সনাক্তকরণের কাজ করবে। সেরাম গ্রুপের চেয়ারম্যান তথা মাইক্রোবায়োলজিস্ট সঞ্জীব আচার্য বলেছেন, “থ্যালাসেমিয়া একটি জিন গঠিত রোগ।মা-বাবা এই রোগে আক্রান্ত থাকলে সন্তানদের এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।তাই বিয়ের আগে প্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে-মেয়েদের থ্যালাসেমিয়া টেস্ট বাধ্যতামূলক।”
সেরাম গ্রুপের চেয়ারম্যান সঞ্জীব আচার্য জানিয়েছেন, আগামী কিছু দিনের মধ্যে শ্যাম সুন্দরের সঙ্গে যৌথভাবে রাজ্যে “থ্যালাসেমিয়া রোগী সনাক্তকরণের কাজ শুরু করবে।তিনি তথ্য দিয়ে বলেছেন,গোটা দেশে একশ জন মানুষের মধ্যে ১২-১৩জন থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত। চিকিৎসা বিজ্ঞানের তথ্য তুলে ধরে মাইক্রোবায়োলজিস্ট সঞ্জীব আচার্য ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন,” দুইজন থ্যালাসেমিয়া বাহক নর-নারীর মধ্যে বিবাহ হলে তাদের সন্তান
থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত হওয়ার বেশি সম্ভাবনা থাকে।কিন্তু বিবাহিত নর-নারীদের মধ্যে একজন “থ্যালাসেমিয়া বাহক” বাহক হলে কোনো সমস্যা নেই।তাদের সন্তানও নিরাপদ থাকবে থ্যালাসেমিয়া থেকে।”
এই কারণেই থ্যালাসেমিয়া মুক্ত ত্রিপুরা গড়ার লক্ষ্যে কলেজ ও স্কুলের ছেলে মেয়েদের মধ্যে থ্যালাসেমিয়া সনাক্তকরণের কাজ শুরু করবে শ্যাম সুন্দর ও সেরাম গ্রুপ।এক্ষেত্রে তারা রাজ্য সরকারকে সঙ্গে নিয়েই এই কাজ শুরু করবে বলে জানিয়েছেন রূপক সাহা ও সঞ্জীব আচার্য। পাশাপাশি তারা এইডস মুক্ত ত্রিপুরা গড়ার জন্যও কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *