ডেস্ক রিপোর্টার,৭এপ্রিল।।
আগামী সপ্তাহে ঘোষণা হতে পারে রাজ্যের চারটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন।এমন আভাস নির্বাচন কমিশন সূত্রে। উপনির্বাচন নিয়ে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর মতো তৃণমূল কংগ্রেসও ঘর সাজানোর কাজ শুরু করেছে।তবে তার মধ্যেই প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের সংসারে জ্বলছে অশান্তির আগুন। আগুন ধামাচাপা দিয়ে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমেছেন দলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই মুহূর্তে প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেস দুই ভাগে বিভক্ত। একদিকে সুবল ভৌমিক এবং অন্যদিকে আশীষ দাস সহ দলের পুরানো নেতা-কর্মীরা। রাজনীতিকরা বলছেন, বর্তমানে রাজ্য রাজনীতিতে তৃণমূল অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে। তবে তৃণমূল তা মানতে নারাজ।তারা চালিয়ে যাবে লড়াই। উপনির্বাচন ঘনিয়ে আসতেই দলের দুই গোষ্ঠীর সংঘাত মারাত্মক আকার ধারণ করছে। তাদের মূল উপপাদ্য চার কেন্দ্রের প্রার্থী ইস্যু।
তৃণমূল সূত্রের খবর, সুবল ভৌমিক চাইছেন তাঁর লবির লোকজনকে প্রার্থী করতে।অন্যদিকে আশীষ দাস সহ পুরানো নেতা-কর্মীরা চাইছেন তাদের লোকজনকে প্রার্থী করতে।এই পরিস্থিতিতে ভোটে ফলাফল যাই হোক না কেন প্রার্থী নিয়ে দুই পক্ষের ঝামেলা এখন তুঙ্গে।এই বিষয়টি আচ করতে পেরেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার মধ্যে গোদের উপর বিষ ফোঁড়ার মতো অবস্থা,সুবল ভৌমিকের প্রতিপক্ষ গোষ্ঠি হুমকি দিয়েছে তাদের কথা অনুযায়ী প্রার্থী না দিলে তারা বিকল্প চিন্তা ভাবনা করবে।এমনকি তারা যোগ দিতে পারে তিপ্রামথাতেও। দলের একটা অংশ মথার সুপ্রিমো প্রদ্যুত কিশোরের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছে প্রতিনিয়ত।
ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসের এহেন অবস্থায় ব্যাতিব্যাস্ত হয়ে উঠেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি তড়িঘড়ি বৈঠকের ডাক দিয়েছেন। আগামী ১০এপ্রিল অভিষেক ত্রিপুরার নেতাদের নিয়ে কলকাতাতে করবেন বৈঠক। এই বৈঠকে থাকবেন সুবল ভৌমিক।তিনি আগামী ৯ এপ্রিল কলকাতায় যাবেন।বিপক্ষ শিবির থেকে আশীষ দাসের বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।এই বৈঠকে যোগ দেবেন আশীষ লাল সিং।তিনি আছেন কলকাতাতে। তাছাড়া সুস্মিতা দেব, কুনাল ঘোষ,শান্তনু সেনারা থাকবেন বৈঠকে।এমন খবর রয়েছে তৃণমূল অন্দরে।
তৃণমূল কংগ্রেসের রান্না ঘরের খবর, পুরানোর সুবল ভৌমিকে মেনে নিতে পারছে না।আবার সুবল ভৌমিক তৃণমূল কংগ্রেসের পুরানো কর্মীদের গুরুত্ব দিতে নারাজ। সুবল বিরোধীরা দাবি তুলছে আশীষ দাসকে রাজ্য সভাপতি করতে।কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের সর্ব ভারতীয় নেতৃত্ব সুবল ভৌমিকের ওপর আস্থা রাখছে।এই কারণেই সুবল ভৌমিককে তৃণমূল নেত্রী উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ইনচার্জের দায়িত্ব দিয়েছেন। সব মিলিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে ক্ষয়িষ্ণু তৃণমূলে আরো বেশি করে শুরু হয়েছে রক্ত ক্ষরণ। প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের ঘরোয়া পরিস্থিতি বিচার বিশ্লেষণ করে এমনটাই বলছেন রাজনীতিকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *