ডেস্ক রিপোর্টার, ১১জানুয়ারী।।
             অবশেষে দীর্ঘ রোগভোগের পর জীবন যুদ্ধে হেরে গেলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কেশব মজুমদার(৮৮) বৃহস্পতিবার ভোরে শহরের রামনগরস্থিত ছেলের ভাড়া বাড়িতে প্রয়াত হয়েছেন তিনি। কেশব মজুমদারের প্রয়াণে গভীর শোকের ছায়া নেমে আসে রাজনৈতিক মহলে। শোক প্রকাশ করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সিপিআইএম পলিটব্যুরোর সদস্য মানিক সরকার, সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক সহ বাম – কংগ্রেস ও বিজেপি নেতৃত্ব।সি পি আই (এম) ত্রিপুরা রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী কমরেড কেশব মজুমদারের প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করছে, তাঁর স্মৃতির প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছে।


প্রয়াত কেশব মজুমদার ছিলেন একজন স্বনামধন্য শিক্ষানুরাগী। এবং রাজনীতিবিদ।কেশব মজুমদার উদয়পুর রমেশ হাই-স্কুলের শিক্ষকতা কাজে যোগ দিয়ে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি প্রগতিশীল মূল্যবোধে ছাত্রদের উদ্বুদ্ধ করেন এবং এর মাধ্যমে তিনি ছাত্রবৎসল শিক্ষক হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছিলেন।
কেশব মজুমদার ১৯৫৮ সালে অবিভক্ত সিপিআই দলের সভ্যপদ লাভ করেছিলেন।  ১৯৬৪ সালে সিপিআই ভাগ হওয়ার পর তিনি সিপিআইএমে  যোগ দেন। কেশব মজুমদার দীর্ঘ দিন সিপিআইএমের উদয়পুর মহকুমা কমিটির সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন।


১৯৭৭ সালে তিনি তৎকালীন কাকড়াবন বিধানসভা কেন্দ্রে প্রথম সিপিআইএমের টিকিটে তিনি লড়াই করেছিলেন। এবং জয়ী হন। টানা সাত বার তিনি এই কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছেন। ১৯৯৩,১৯৯৮ ও ২০০৩ সালের বাম সরকারের গঠিত মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন কেশব মজুমদার।তিনি বিভিন্ন সময়ে রাজ্যের শিক্ষা, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য ও রাজস্ব দপ্তরের মন্ত্রী ছিলেন। এবং দক্ষতার সঙ্গেই দপ্তর গুলি পরিচালনা করেছেন।১৯৮৫ সালে সিপিআইএমের দ্বাদশ রাজ্য সম্মেলনে কেশব মজুমদার রাজ্য কমিটির সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।  এবং ২০১৮ সালে সিপিআইএমের ২২তম রাজ্য সম্মেলনে স্বাস্থ্যগত কারণে রাজ্য কমিটি থেকে অব্যহতি নিয়েছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *