ডেস্ক রিপোর্টার,১৯জুন।।
“এতোকাল টাউন বড় দোয়ালি বিধানসভা কেন্দ্রে কোন অভিভাবক ছিলনা,আগামী কিছুদিন পরেই তারা পাবেন অভিভাবককে।”বক্তা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা । রবিবার রাতে এই বিধানসভার গ্র্যাণ্ডডিউস ক্লাব সংলগ্ন এলাকার জনসভায় এ কথা বলেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা বলেন, তিনি যখন বাড়ি বাড়ি প্রচারে যান, তখন মানুষ অভিভাবকহীনতার কথা তুলে ধরেন তার কাছে। আক্ষেপ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এতদিন কি করেছেন এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক? আসলে কিছুই করেননি । শুধু মাতব্বরি করেছেন । মানুষের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিলনা। কাজ ছিল আখের গোছানো।
মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহার বক্তব্য কংগ্রেসের কোন নীতি আদর্শ নেই ।বামেদের সঙ্গে গোপন আঁতাত করে নিজেদের ঝুলি ভর্তি করেছে। আর মানুষের সঙ্গে করেছে প্রতারণা। রাজ্যের মানুষ কংগ্রেস নেতাদের প্রতারণা ধরে ফেলেছে। উপনির্বাচনে কংগ্রেস একেবারে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে । তখন তাদের আরো দমবন্ধকর অবস্থার মধ্যে থাকতে হবে।
ডাক্তার মানিক সাহা তার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী আশীষ সাহার নাম মুখে না নিয়ে বলেন, কংগ্রেস ভবনে বসে মাতব্বরি করলে মানুষ ভোট দেবে না । মানুষের পাশে থাকতে হবে। এতদিন বড়দোয়ালি এলাকার কেন উন্নয়ন হয়নি ? প্রশ্ন খোদ মুখ্যমন্ত্রীর। তিনি বলেন, আশীষ সাহা একজন বিধায়ক হিসেবে তার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ। এলাকা ঘুরলেই এই চিত্র
প্রকট হয়ে উঠে।
সুদীপ রায় বর্মন,আশীষ সাহাকে কটাক্ষ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আসন্ন উপ নির্বাচনের পর কি করবেন তারা? খুঁজেই পাওয়া যাবে না । কখনো তৃণমূল কংগ্রেস, কখনো কংগ্রেস আবার কখনো বিজেপি সব জায়গাতেই দমবন্ধকর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে নাকি তাদের কাটাতে হয়। এটা একটা অদ্ভুত কান্ড কারখানা। এ কারণেই মানুষ তাদের গ্রহণ করতে পারছে না। আগামী দিনে সংশ্লিষ্ট কংগ্রেস নেতাদের অবস্থা করুণ থেকে করুনতর হবে।
মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা কোন রাখঢাক না করেই বলেন, ১৮- র বিধানসভা নির্বাচনে তাকে বড়দোয়ালি বিধানসভার প্রার্থী করার বিষয়টি সামনে উঠে এসেছিল।তা নিযে দলের অন্দরে আলোচনাও হয়েছিলো। কিন্তু দল সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো সিটিং এমএলএদের প্রার্থী করা হবে। এই কারণেই আশীষ সাহাকে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি।
মুখ্যমন্ত্রী আক্ষেপ করে বলেন, কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে কেন ঘুরছে লোকজন? এই সমস্ত কংগ্রেস নেতাদের পেছনে পেছনে ঘুরতে ঘুরতে একাংশ যুবকের কাল দাড়িও নাকি সাদা হয়ে গিয়েছে। তারপরও তারা সংশ্লিষ্ট নেতাদের পেছনে ঘুরছেন। এই সমস্ত লোকজনের প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর আহ্বান, শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়তে আপনারা চলে আসুন ভাজপা শিবিরে।