ডেস্ক রিপোর্টার, ২২ফেব্রুয়ারি।।
বাংলাদেশে হিন্দু ধর্ম ও হিন্দুর তীর্থস্থান গুলিকে পিশে দেওয়ার জন্য চলছে এক গভীর ষড়যন্ত্র। এই ষড়যন্ত্রের জাল বুনছেন খোদ সেই দেশের প্রশাসন। বেছে বেছে হিন্দুর তীর্থস্থান গুলিকে পর্যটন কেন্দ্র ঘোষনা দিচ্ছে হাসিনা সরকার। আর তাতেই তীব্র আপত্তি পদ্মা – মেঘনার দেশে বসবাসকারী হিন্দুদের। কিন্তু দুর্ভাগ্যের হলেও সত্যি হিন্দুদের এই আপত্তি জনক চিৎকার শুনবে কে?
চট্টগ্রামের চন্দ্রনাথ ধাম গোটা বিশ্বে থাকা হিন্দুদের তীর্থস্থান গুলির মধ্যে অন্যতম।ভারতের বর্দিনাথ, কেদারনাথের সঙ্গে চন্দ্রনাথকেও রাখা হয় এক আসনে। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী, চন্দ্রনাথ পাহাড়ে বিরাজ করেন খোদ ভগবান শিব। তিনি বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন নামে পরিচিত।স্বাভাবিক ভাবেই হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের কাছে চন্দ্রনাথ পাহাড়ের চূড়ায় থাকা শিব মন্দিরের গুরুত্ব কতটা, এটা বলার অপেক্ষা রাখে না।
বাংলাদেশ সরকারের কু – নজরে পড়েছে চন্দ্রনাথ পাহাড়। অর্থাৎ বাংলাদেশে থাকা ভগবান শিবের এই বাসস্থান। বাংলাদেশ সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বিশ্বখ্যাত হিন্দুর তীর্থস্থান “চন্দ্রনাথ পাহাড়” ও মন্দির হবে পর্যটন কেন্দ্র। ধর্মস্থানের সাইনবোর্ড সরিয়ে লাগানো হয়েছে পর্যটন কেন্দ্রের ঢাউশ ঢাউশ সাইনবোর্ড।ঢাকা- চট্টগ্রামের মহাসড়কে বিলবোর্ড আকারে বড়সড় করে ঝুলিয়ে দেয়া হয়ছে। বোর্ডে লেখা হয়েছে,”চন্দ্রনাথ পাহাড় ইকো ট্যুরিজম প্রকল্পের উন্নয়ন শীর্ষক উপ প্রকল্প।”বাংলাদেশের হিন্দুদের বক্তব্য, তীর্থস্থান কখনো পর্যটন কেন্দ্র হয়না। তীর্থস্থান পবিত্র এবং প্রার্থনার জায়গা।চন্দ্রনাথ ধাম বাংলাদেশের সনাতন সম্প্রদায়ের লোকজনের কাছে সবচেয়ে বড় তীর্থস্থান।চন্দ্রনাথ পাহাড়কে ট্যুরিজম প্রকল্পের আওতায় নিয়ে বাংলাদেশ সরকার বুঝিয়ে দিয়েছে তারা ঘুর পথে তীর্থস্থানকে দখল করে তার গরিমায় আঘাত আনতে চাইছে।
বাংলাদেশের সনাতনীদের কথায়, শিবচতুর্দশীতে ২০- ২৫ লক্ষ মানুষের সমাগম ঘটে।প্রতি বছর সীতাকুন্ডে শিবচতুর্দশীতে বহু মানুষকে নানান সমস্যায় পড়তে হয়। সুবন্দোবস্ত না থাকায় আহত হয় বহু পুণ্যার্থী। তীর্থযাত্রীরা চন্দ্রনাথ পাহাড়ে উঠতে গিয়ে সম্মুখীন হন নানান প্রতিকূল অবস্থা। সমস্যা নিরসনে বাংলাদেশ সরকারের কোনো উদ্যোগ নেই। কিন্তু চন্দ্রনাথ পাহাড়কে পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে তুলে ধরার জন্য অর্থ খরচ করতে কোনো সমস্যা নেই ।সনাতনীদের দাবি, চন্দ্রনাথ ধাম প্রার্থনার জায়গা।এই পবিত্র জায়গাটির ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্য রক্ষার্থে পর্যটক মুক্ত হোক।