।।মানি কালেক্টরের টাকা নিয়ে যাচ্ছেন নেতা।।(প্রতীকী ছবি)

ডেস্ক রিপোর্টার,৩০ জুলাই।।
             ১৮- র পর ২৩ শেও রাজ্যের মসনদ
    দখল করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি।১৮- র নির্বাচনে বিজেপি একা দখল করেছিলো ৩৬টি আসন।সঙ্গে শরিক দল আইপিএফটির দখলে ছিল ৮টি আসন। বিজেপি – আই পি এফ টি জোট মোট পেয়েছিল ৪৪টি আসন। ২৩- র ভোটে বিজেপির ১৮- র তুলনায় চারটি আসন কম পায়। অর্থাৎ মোট আসন সংখ্যা ৩২।শরিক দল আইপিএফটি পেয়েছে মাত্র একটি আসন। এই মুহূর্তে বিজেপির আসন সংখ্যা ৩১টি। ধনপুরে ইস্তফা দিয়েছেন প্রতিমা ভৌমিক। ১৮ তে এতো ম্যান্ডেজ পাওয়া একটি দল কিভাবে তলানিতে চলে এলো?সরকারকে ঝুলতে হচ্ছে সূতোর উপর।


তার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে রাজনীতিকরা বলছেন,১৮ – র নির্বাচনের পর থেকেই বিজেপির কমতে শুরু করেছে ভোট কালেক্টরের সংখ্যা। মাথা চাড়া দেয় মানি কালেক্টর। আর এই জায়গাতেই পিছিয়ে গিয়েছে বিজেপি।২৩- র ভোট এর ফল পেয়েছে হাতে নাতে।

।।tমানি কালেক্টর মাফিয়া।(প্রতীকী ছবি)

ভারতীয় জনতা পার্টির তথ্য বলছে, বিজেপিতে দিন দিন কমছে ভোট কালেক্টরের সংখ্যা। অর্থাৎ বুথে বুথে ভালো নেতা – কর্মীদের সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। যাদের মুখ দেখে সাধারণ ভোটাররা বিজেপি মুখী হয়েছিলো। রাজনীতির পরিভাষায় তারা “ভোট কালেক্টর” হিসাবে পরিচিত।১৮- র নির্বাচনের পর থেকেই ভোট কালেক্টরের সংখ্যার পতন ঘটতে থাকে।

।।ভোট কালেক্টর ও ভোটার।।

এই সমস্ত নেতা- কর্মীদের সংখ্যা কমে যাওয়ার প্রভাব হারে হারে টের পাওয়া গিয়েছে ২৩- র ভোটে। এই সময়ের মধ্যে বিজেপিতে হু হু করে বেড়ে গিয়েছে মানি কালেক্টরের  সংখ্যা।এই কারণেই রাজ্যের ৬০টি মণ্ডলেই দাপট বাড়ছে তোলা বাজদের। এই তোলা বাণিজ্য এখন গোটা রাজ্যেই রূপ নিয়েছে কুটির শিল্পের। তার রেজাল্টও পাচ্ছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।


রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বক্তব্য, ধর্মনগর থেকে সাব্রুম  সব জায়গাতেই শাসক দলের মানি কালেক্টরদের  অবাধ বিচরণ।তাদের নিয়ন্ত্রণ করছে রাজ্য কমিটির নেতাদের একাংশ।কারণ মানি কালেক্টরদের কাছ থেকে রাজ্য নেতৃত্ব পেয়ে থাকেন টু – পাইস। তাই এখন বাড়ছে মানি কালেক্টরদের কদর। বাস্তব অর্থে এরাই এখন প্রদেশ বিজেপির নেতাদের “এসেট”। বিজেপির  এই এসেটরা এখন কাল হয়ে উঠেছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এই মানি কালেক্টরদের বিরুদ্ধে নীরব কেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব?

সৎ-নিষ্ঠাবান ভোট কালেক্টরদের অভাব বিজেপিতে।

আসন্ন লোকসভা নির্বাচন ও ধনপুর এবং  বক্সনগর কেন্দ্রে ভাজপাকে প্রচন্ড বেগ পেতে হবে মানি কালেক্টরদের সৌজন্যে।বলছেন রাজনীতির প্রাজ্ঞরা।
পেছনের দিকে তাকালে দেখা যাবে, বাম জামানার শেষ লগ্নেও মানি কালেক্টরদের রমরমা ছিলো।


আর তারাই কমিউনিস্টদের ঢুকিয়ে দিয়েছে রাজনীতির সুড়ঙ্গের মধ্যে। এখনো সুড়ঙ্গ থেকে বের হতে পড়ছে না। প্রতি মুহূর্তে করছে হাসফাঁস।তাই ভাজপার সাধুদের সাবধান হওয়া উচিত বলেই মনে করছে রাজনীতিকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *